বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :

ট্যানারি স্থানন্তর প্রক্রিয়ায় ফাঁদে পড়ল শ্রমিরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:  হাজারিবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প স্থানন্তর প্রক্রিয়ার দীর্ঘ সুত্রতায় বেকারত্বের ফাঁদে পড়েছে ঠ্যানারি ম্রমিকরা।

গত ৮ ই এপ্রিল হাইকোর্টের নির্দেশে হাজারীবাগের সবগুলো ট্যানারি কারখানার বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন  করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদফতর। এর পর থেকে শুরু হয়েছে শ্রমিকদের অনিশ্চত ভাবনার গতিপথ।

এই ঘটনার জেরে মালিক শ্রমিক ৯ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে। এ নিয়ে মালিকদের বিরুদ্ধে শ্রমিকদেরকে সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামানোর অভিযোগ ‍তুলেছেন ম্যমিক নেতারা।। শ্রমিকদের বেতন-ভাতাসহ সমস্ত ক্ষতিপূরণের দায় থেকে মুক্ত হতে মালিকরা এ ধরনের কৌশল এটেছেন বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন শ্রমিক নেতা।

শ্রমিক-মালিকের ৯ দফা দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার সকালে রাজধানীর হাজারিবাগে ট্যানারি মোড়ে হাজার হাজার শ্রমিক ও কয়েকজন মালিক কালো পতাকা মিছিল বের করেন। মিছিলে নারী শ্রমিকদেরও দেখা যায়। তবে বেশিরভাগ মালিকই কর্মসূচিতে অংশ নেননি।

শ্রমিকরা মিছিলে অংশ নিয়ে স্লোগান তুলে সরকারের উদ্দেশ্য বলেছেন, তাদের ৯ দফা দাবি মানতেই হবে। সাভারের কারখানায় শ্রমিকদের বাসস্থান, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল স্থাপন করতে হবে। ১৫ দিনের মধ্যে সাভার কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি সংযোগ দিতে হবে। এছাড়া তাদের বেতন ভাতাসহ সমস্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

মিছিলে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ ফিনিশ লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের দ্বিতীয় রফতানি আয় অর্জনকারী চামড়া শিল্প ধ্বংসের পেছনে তো আমরা দায়ী নই, দায়ী সরকার। আমরা তো সাভারে যেতেই চেয়েছি। কিন্তু ষড়যন্ত্র করেছে বিসিক ও কিছু পরিবেশবাদী সংগঠন। উৎপাদন বন্ধ থাকলে রফতানিও বন্ধ থাকবে, ফলে আয়ও বন্ধ থাকবে। তাহলে শ্রমিকদের বেতন কীভাবে দেবো? শ্রমিকদের বেতন সরকারকেই দিতে হবে।’

এদিকে হাজার হাজার শ্রমিক মিছিলে উপস্থিত থাকলেও বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন না। তাকে বুধবার সন্ধ্যায় ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ ছিলাম তাই মিছিলে যেতে পারিনি।’

শ্রমকিদের অভিযোগ ও তাদের বেতন-ভাতা দেবেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের পুরো চামড়া শিল্পই আজ স্তব্ধ হয়ে গেছে। উৎপাদন নেই। তাহলে আমরা শ্রমিকদের বেতন কীভাবে দেবো?’

শ্রমিকদের এক/দুই মাসের বেতন দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার যদি সাভার প্রস্তুত করতে করতে এক বছর সময় নেয় তাহলে আমরা তো এক বছর শ্রমিকদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিতে পারবো না। হয়ত এক/দুই মাসের বেতন দিতে পারি। এছাড়া ব্যাংকও আমাদের এখন ঋণ দেবেনা। তাহলে আমরা এখন কোথায় যাবো?’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক নেতা বলেন, আমরা কর্মচারি, মালিকের চাকরি করি। আমরা তো সরকারি চাকরি করি না যে সরকার বেতন-ভাতা দেবে। আমাদের বেতন ভাতা মালিকদেরকেই দিতে হবে। তাছাড়া মালিকদের জরিমানার টাকাও সরকার মওকুফ করে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আজ বাধ্য হয়ে রাস্তায় কালো পতাকা নিয়ে নেমেছি। কারণ মালিকরাই আমাদের  রাস্তায় নামতে বলেছেন। তারা বলেছেন রাস্তায় না নামলে দাবি আদায় হবে না।

ট্যানারি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা আমরা আজ ভুক্তভোগী। এর দায় সরকার ও মালিক দুপক্ষেরই ‘

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ