শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ফ্যাসিস্ট সরকারের সব অন্যায়ের বিচার হবে : ডা. জাহিদ কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব

করুনা নয়; আলেমরা স্বীকৃতি পাচ্ছেন তাদের জ্ঞান ও দক্ষতায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুসা আল হাফিজ
কবি ও কলামিস্ট

কাজী ফিরোজ রশিদসহ কিছু নেতা কওমি মাদরাসার স্বীকৃতিকে ডিফেন্স করে বক্তব্য রেখেছেন। তাদের ধন্যবাদ। কিন্তু সে বক্তব্যে উঠে এসেছে কিছু দিক,যাকে থামতে বলা উচিত।

তারা স্বীকৃতির পক্ষে বলতে গিয়ে যুক্তি এনেছেন 'তারা কি মানুষ নয়? তারা কি বাঁচার অধিকার রাখে না?'

নেতৃবৃন্দ, সবিনয়ে বলছি, এ বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। আলেমরা স্বীকৃতি পাচ্ছেন তাদের জ্ঞান ও দক্ষতার উপর।তারা কুরআন-হাদিস স্পেশালিস্ট। কুরআন-হাদিস স্পেশালিস্ট এর ডিগ্রি ক্যাম্ব্রিজ-অক্সফোর্ডও দেয়।পৃথিবীর সকল দেশে দেয়া হয়। একটি বিশেষ সিলেবাস সমাপ্ত করে সে ডিগ্রি পান গ্রাজুয়েটরা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ডিগ্রি প্রধান করে কর্তব্য আদায় করে মাত্র।

কওমি মাদরাসা শিক্ষার্থিরা একটি বিশেষ সিলেবাস সমাপ্ত করেন। যা তাদের কুরআন-হাদিসের উপর যোগ্যতা ও পারদর্শিতার সেই জায়গায় নিয়ে যায়, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়েও যেখানে যেতে পারেন না অনেকেই। সমাজ তাদের দক্ষতার সুফল ভোগ করে যুগ যুগ ধরে। কিন্তু রাষ্ট্র তাদের শিক্ষিত বলে স্বীকার করতো না। এ ছিলো অন্যায়, মারাত্মক বৈষম্য। এখন সে অন্যায়ের অবসান হতে চলছে। রাষ্ট্র তার নাগরিকদের একটি জ্ঞানালোকিত অংশের প্রতি বৈষম্যের অবসান ঘটাতে যাচ্ছে।

কিন্তু তাদের বক্তব্যে মনে হয়, স্বীকৃতি ওদের অমানবিক অবস্থান থেকে উদ্ধারের প্রয়াস। তাদের প্রতি নিতান্তই করুণা।

বিষয়টি হচ্ছে, তাদের আদর্শিক শক্তির জায়গাকে বুঝতে না পারা। স্বীকৃতি না থাকলেও এই আলেমরা জীবনের সেই মানবিক মার্গ ও মানদণ্ড ধারণ করতেন, যা থেকে বহুদূরে অবস্থান করছেন হাজার হাজার ডিগ্রিওয়ালা।

ডিগ্রি তাদের মানুষ করে তুলবে, এমন ভাবনার প্রচ্ছন্ন সুর শুনা যাচ্ছে আমাদের অনেক বন্ধুর বক্তব্যে।
বিষয়টিতে সত্যের অনুকূলতা নেই। কিন্তু মিডিয়া, বুদ্ধিজীবি, রাজনীতিকসহ অনেকেই ধরে নিচ্ছেন, স্বীকৃতির অর্থ না খেতে পারা, না বাঁচতে পারা, মানবেতর জীবনে পড়ে থাকা মাদরাসা শিক্ষিতদের জাতে তুলা।

হাস্যকর!

এ ভাবনার গোড়ায় আছে সব কিছুকে বস্তুবাদী চোখ দিয়ে দেখার প্রবণতা। নগদ টাকা- কড়ি, বিত্ত-বেসাতই মানবিক জীবনের মাপকাটি! এতে যার যত কমতি,মানুষ হিসেবে সে তত কম।

অন্ধ এই দৃষ্টিকোণ দেশ ও জাতিকে ভেতরগতভাবে মানবেতর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে। এতোই গরিব বানিয়ে দিচ্ছে যে, করুণা হয়। এ থেকে উত্তরণের পথে কওমি মাদরাসার সনদের স্বীকৃতি সরকার ও সমাজকর্তাদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।

হাটহাজারীতে কওমি স্বীকৃতি কমিটির ১ম বৈঠক রবিবার

স্বীকৃতি বাস্তবায়নে এখনো আন্তরিকতাপূর্ণ ঐক্যের অভাব রয়েছে: মাওলানা মাহফুজুল হক

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ