শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


চারদিনের সফরে নয়া দিল্লি পৌছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

hasina_modiশুক্রবার দুপুর ১২ টায় চারদিনের দ্বিপাক্ষিক সফরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সফরে রয়েছেন মন্ত্রী-সচিব-উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলসহ ২৮৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ভারতের ভারী শিল্প ও গণপরিবহন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকসহ দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ।

বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লির ঐতিহ্যবাহী রাষ্ট্রপতি ভবনে। চারদিনের এই রাষ্ট্রীয় সফরকালে সেখানেই অবস্থান করবেন শেখ হাসিনা।

আজ সকাল ১০টায় নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী আকাশপ্রদীপ। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ অসামরিক-সামরিক ঊর্ধতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের এক সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে সম্মাননাপ্রাপ্ত ভারতীয়রা এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া ভারতীয় সৈনিকদের পরিবারের সদস্যরা যোগ দেবেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক আলোচনা ও একান্ত বৈঠক হবে আগামীকাল শনিবার। নয়াদিল্লির অতিথি ভবন হায়দ্রাবাদ হাউসের ওই বৈঠকে সাত বছর ধরে ঝুলে থাকা অভিন্ন তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সই হচ্ছে না বলে আগেই জানানো হয়েছে। তিস্তা চুক্তির ক্ষেত্রে মূল বাধা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতা। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মমতাকে রাজি করিয়ে সহসাই এই চুক্তি সম্পন্ন করার পথে অগ্রসর হবে মোদী সরকার।

সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা

দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ চুক্তি, বিদ্যুত্-জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, আন্তঃযোগাযোগ তথা কানেকটিভিটি, উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা, জনযোগাযোগ, গঙ্গা ব্যারেজ নির্মাণ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত সুরক্ষা, নিরাপত্তা সহযোগিতা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচাররোধ বেশি গুরুত্ব পাবে।

আলোচনার পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ৩০টির বেশি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পাশাপাশি দুই প্রধানমন্ত্রী বিরল-রাধিকাপুর রুটে মালামাল পরিবহনকারী রেল চলাচল, খুলনা-কলকাতা রুটে যাত্রীবাহী বাস ও রেল চলাচল এবং ত্রিপুরার পালাটানা বিদ্যুত্ প্রকল্প থেকে বাংলাদেশে অতিরিক্ত ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ সরবরাহ উদ্বোধন করবেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিসহ বাংলাদেশ সীমান্ত সংশ্লিষ্ট ভারতের রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ