সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ‘সরকারের রাসায়নিক হামলার’ পর দেশটির বিভিন্ন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনের এ খবর দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের খান শেইখুন শহরে রাসায়নিক হামলায় ৭২ জন নিহত হওয়ার পর সারা বিশ্বে নিন্দা আর সমালোচনার মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ঘাঁটি লক্ষ্য করে আজ অন্তত ৫০টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানানো হয় বিবিসির ওই প্রতিবেদনে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সিরিয়ার যেসব বিমানঘাঁটি থেকে রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছে, সেখানে বিমান হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রের মৌলিক নিরাপত্তার জন্যই জীবনঘাতী রাসায়নিক অস্ত্রের বিস্তার বন্ধ করতে হবে।’
ট্রাম্প আরো বলেন, ‘সিরিয়া যে রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে, সে বিষয়ে কোনো মতানৈক্য নেই। আসাদের স্বভাব পরিবর্তনে আমাদের আগের চেষ্টা বারবার ব্যর্থ হয়েছে।’
হামলার বিষয়ে প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হামলার আগে আসাদ সরকারের সহযোগী রাশিয়াকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছিল।
রাসায়নিক হামলার পর পরই ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া-বিষয়ক তাঁর ‘কৌশল’ পরিবর্তনের আভাস দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এ হামলা সিরিয়ার নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে হামলা। এটা নিন্দনীয়। সভ্য বিশ্বের বাসিন্দারা এটা এড়িয়ে যেতে পারেন না।
আসাদ সরকার ও তাঁর সামরিক সহযোগীদের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেন, সিরিয়া সব ধরনের সীমা অতিক্রম তরে গেছে।
এর পরই বিমান হামলার খবর নিশ্চিত করেছে পেন্টাগন। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনও এ খবর জানিয়েছেন।
সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়ান মার্ক এ বৈঠক ডাকেন। পাশাপাশি ওই হামলাকে ঘৃণ্য বলে উল্লেখ করেন বিভিন্ন বিশ্ব নেতারা।
যদিও গোড়া থেকেই এ ধরনের হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে সিরিয়ার আসাদ সরকার।
এনটিভি