বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


ধান পাকার আগেই হাওড় এলাকা তলিয়ে গেছে, কাঁদছে কৃষক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

kishrganjমাহমুদুল হাসান
কিশোরগঞ্জ থেকে

কিশোরগঞ্জের ইটনা, মিঠামইন, অষ্ট্রগ্রাম হাওড় অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে আর কয়েক দিন পরই সোনালি ফসল ঘরে তোলার কথা ছিল কৃষকদের। বছরজুড়ে তারা হাওড়ে যে স্বপ্ন বুনেছিলেন তা বাস্তবায়নের আশায় বুকও বেঁধেছিলেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর বাস্তব রূপ নিচ্ছে না। ইতোমধ্যে অনেকের স্বপ্ন চোখের সামনেই তলিয়ে গেছে পানিতে; আবার অনেকের স্বপ্ন যেকোনো সময় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে হাওরজুড়ে এখন শুধুই হাহাকার আর কান্না। হাওরের লাখ লাখ কৃষক অতি শোকে এখন কাতর।

প্রবল বর্ষণ ও  বন্যার পানিতে  কিশোরগঞ্জের হাওড় অধ্যুষিত এলাকার হাজার হাজার একর ইরি-বোরো জমির কাঁচা-পাকা ধান ইতোমধ্যে তলিয়ে গেছে। যা বাকি আছে তাও তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, গত কয়েক দিনের বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে জেলার হাওর উপজেলা অষ্টগ্রাম, ইটনা, মিঠামইনে কয়েক হাজার একর জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে অষ্ট্রগ্রামেই ২৫ হাজার একর জমির কাঁচাপাকা ধান তলিয়ে গেছে।

[মসজিদ কি স্থানান্তর করা যায়? ইসলাম কী বলে?]

ব্যাথিত মনকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্যে পানির নিচ থেকে কৃষকেরা ডুবিয়ে ডুবিয়ে কাচাঁপাকা ধান কেটে আনছে। এই ক্ষতির ফলে অষ্টগ্রাম সদর, পূর্ব অষ্টগ্রাম, কলমা, আদমপুর,  খয়েরপুর আব্দুল্লাপুর, কাস্তল, বাংগালপাড় ইউনিয়ন, ইটনা উপজেলার বরিবাড়ি, রায়টুটি, এলেংজুড়ি, বাদলার ভান্ডার বাঁধ, খুনা তলার বাঁধ, থানেশ্বর, কুর্শির বাঁধ, ধনপুর ও মৃগা ইউনিয়নের ঝুকিপূর্ণ জিওলের বাঁধ, তেরাইল্লার বাঁধ, কাটইর দীনেশপুরের কাটাকালির বাঁধ, মৃগার বাঁধ, বাউন্দিগা, কলাবিল, নরবিল ও কালিপুরের বাধ ঝুকিপুর্ন রয়েছে। এছাড়াও নিকলী, করিমগঞ্জ ও মিঠামইনের অনেক জমি তলিয়ে গেছে। এতে করে মাঝারী কৃষক, বর্গাচাষীই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

আলাপকালে উক্ত অঞ্চলের কৃষকরা জানান,  সরকার অত্র অঞ্চগুলির কৃষকদের  ব্যপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশাবাদি।

আরআর

মক্কা-মদীনার খতীব আসছেন বুধবার


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ