শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


শব্দ হচ্ছে কাপড়ের সুতোর মতো তা দিয়ে ইসলাম বুনলে ইসলামি সাহিত্য হয়: মুহাম্মদ যাইনুল আবেদীন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

jainul abidinমুহাম্মদ যাইনুল আবেদীন। একজন আলেম লেখক ও অনুবাদক। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তার। ১৯৬৭ সালের ২০ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। তার পিতার নাম সিদ্দিকুর রহমান সরকার এবং মাতার নাম পেয়ারা বেগম।

১৯৯১-৯২ সালে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ ক্লাস দাওরোয়ে হাদিস সম্পন্ন করেন এবং ১৯৯৩ সালে আরবি সাহিত্যে বিষয়ে ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি। লেখালেখি ও বাংলা ভাষায় ইসলাম চর্চার নানা গুরুত্বপূর্ণ দিক ও বিষয় নিয়ে প্রিয়.কমের সাথে কথা বলেন ইসলামী অঙ্গনের সুপ্রসিদ্ধ এই লেখক। পাঠকের কল্যাণে প্রিয়.কমে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারটি আমরা পুনপ্রকাশ করছি।

প্রশ্ন : আপনি কেন লেখালেখি করেন?

যাইনুল আবেদীন : বিষয়টি কুরআনে আল্লাহপাক স্পষ্ট করে বলেছেন যে, প্রতিটি জনপদের কিছু মানুষ দ্বীনের গভীর জ্ঞান অর্জনের জন্য তাদের নিজেদের অঞ্চল ছেড়ে বাহিরে যাবে, এরপর তারা যে জ্ঞান অর্জন করবে তার মাধ্যমে তারা স্বজাতিকে সর্তক করবে। মূল কথা হচ্ছে- তারা যে শিক্ষাটা গ্রহণ করেছে বা করবে সেই শিক্ষাটাকে তারা জাতির কাছে পৌঁছে দেবে। এটা প্রত্যেক আলেমেরই কর্তব্য। এই কর্তব্যের কারণেই আমাদের লেখা, বলা, ওয়াজ করা, তাবলিগ করা। আমি যা জানি তা অন্যের কাছে পৌঁছানোর মূল্যবোধ থেকে লিখি। প্রত্যেক লেখকের উচিত জ্ঞানকে অন্যের কাছে পৌঁছানোর মূল্যবোধ থেকে লেখালেখি করা।

প্রশ্ন : দাওয়াত পৌঁছানোর মাধ্যেমে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিতর্ন সাধিত হয়েছে। এই পরিবতর্নকে আপনি কিভাবে দেখেন?

যাইনুল আবেদীন : যদি কোনো মাধ্যম ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক না হয় তাহলে দাওয়াত পৌঁছানোর সব মাধ্যম ব্যবহার করে ইসলামের বাণী মানুষের কাছে পৌঁছাতে কোনো বাধা বা নিষেধ নেই।

প্রশ্ন : এখন পযর্ন্ত কতগুলো বিষয়ের উপর আপনার বই প্রকাশ হয়েছে? এবং আপনার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা কত?

যাইনুল আবেদীন : সুনির্ষ্টভাবে বিষয়টা বলা একটু কঠিন। তবে স্বাভাবিকভাবে আমি ইসলামের মূল দাওয়া যেটা সেটা নিয়েই লেখি। এই মূল শিক্ষা বা মূল চেতনার মাঝে যেগুলো মানুষকে স্পর্শ করে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে লেখালেখি করি। যার ফলে আমার লেখায় ফিকাহ, ইতিহাস, দর্শনসহ দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো উঠে এসেছে। আমি নিদির্ষ্ট কোন বিষয়কে চিহ্নিত করে লিখিনি কেননা এইভাবে লেখালেখি করলে লেখালেখি একটা শ্রেণীর মাঝে আটকে যেতে হয়। আমার প্রকাশিত বইয়ের সখ্যা ৭০টির উপরে হবে।

প্রশ্ন : লেখালেখির মাধ্যমে জীবিকা উপর্জনের বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভাঙ্গি কী?

যাইনুল আবেদীন : এখানে দুইটি বিষয়। একটি হলো আইন বা বৈধ্যতা। আর দ্বিতীয় বিষয় হলো- আদর্শ। যাকে ইসলামের পরিভাষায় আজিমত বলি। ইসলামের আদর্শিক দিক হলো দাওয়াসহ সকল কাজ শুধু আল্লাহর জন্য করতে হবে কেননা সকল কাজের প্রতিদান তো শুধুই আল্লাহ দেবেন। আর আইন ও বৈধতার বিষয়ে আমাদের ফকিহগণ বলেছেন, যদি কোনো কাজ এমন না হয় যেটা শুধুই ইবাদত (যেমন নামাজ, রোজা ইত্যাদি) তাহলে সেই কাজের বিনিময় নেওয়া বৈধ। আর যদি শুধু ইবাদতের ব্যাপারে এমনটা হয় যে আমাকে শুধু ইবাদতের সময়টুকু দিলেই হচ্ছে না বরং তার বাহিরেও আমাকে সময় দিতে হচ্ছে এবং এর কারণে অন্য কোথাও কোন পেশায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না তাহলে এর বিনিময় যদি কেউ নিতে চায় তাহলে সে নিতে পারবে। যেমন ধরুণ আমি যদি কোন একটা মসজিদের ইমামত করতে চাই তাহলে কিন্তু আমাকে শুধু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় উপস্থিত থাকলেই হচ্ছে না বরং এই নামাজের জন্য আমাকে সারা দিন থাকতে হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে একটি কথা আমি বলবো- কোনো লেখক যদি লেখালেখির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে তাহলে সৃজনশীলতার অঙ্গিকার রক্ষা করা তার জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। তাই একজন লেখকের উচিত হবে জীবন ধারনের প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জনের জন্য অন্য কোনো পথ গ্রহণ করা আর নিজের মত করে লেখালেখি করা তাহলে সে নিজেকে একটা অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবে।

প্রশ্ন : ইসলামী প্রকাশনার জগতে বানান নিয়ে একটা বিভ্রাট অবস্থা দেখা যায় যেমন এক একটা প্রকাশনি এক একটা বানান রীতি অনুসরণ করে। এই বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাই।

যাইনুল আবেদীন : এই ক্ষেত্রে আমি প্রথমে আপনার বিভ্রাট শব্দের সাথে এক মত হবো না। আমি বলবো আমরা একটি বানান ব্যতিক্রম লক্ষ্য করি। আমরা যদি একটু উদারভাবে দেখি তাহলে দেখবো বাংলা ভাষা চর্চার মূল কেন্দ্র হচ্ছে দুইটি। ঢাকা ও কলকাতা। এই দুইটি জায়গাতেও বানানের ক্ষেত্রে আমার কখানো সমানভাবে চলতে দেখি না। এছাড়া দেশে যেসব প্রিন্ট মিডিয়া রয়েছে প্রত্যেকের বানানরীতি আলাদা আলাদা। সুতরাং বিষয়টি হচ্ছে সকল ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম আছে। সকল ক্ষেত্রেই যখন ব্যতিক্রম তো বিষয়টিকে আমরা উদারভাবে নিতে পারি।

বানানের ক্ষেত্রে এই ব্যাতিক্রম বিষয়টিকে নিয়ে আমাদের অনেক বন্ধুরাই এমন অনেক প্রচারণা চালাচ্ছে যে, ইসলামী বইপত্রে বানান ভুল আর নয় এমন অনেক অ্যাড অনেকেই দিচ্ছে। এর অর্থ তিনি বুঝাতে যাচ্ছেন যে ইসলামী বইয়ে বানান ভুল হয় এটাই স্বাভাবিক। আমি মনে করি এটা উদার দৃষ্টি নয়। আপনারা যদি অন্যান্য ধর্ম বিষয়ে কাজ দেখেন আর ইসলামী ধর্ম বিষয়ে কাজ দেখেন তাহলে দেখবেন তাদের কাজ আমাদের কাজের ধারে কাছেও নেই। তাদের ধর্মীয় বইয়ের অনুবাদ পড়লে কিছুই বোঝা যায় না। সুতরাং সামগ্রিক পড়াশোনার অভাবের কারণে অনেকে এটা করছে। দেখুন বাংলা একাডেমিও বলছে ইমান “ই” ও “ঈ” দুইটা দিয়েই লেখা যায়। কিন্তু আমাদের অনেক তরুণ বিষয়টিকে ভুল মনে করে। আমি মনে করি আমাদের এই বন্ধুরা নিজেদেরকে অধুনিক ভাবতে গিয়ে নিজেদেরকে প্রসারিত করছে না।

প্রশ্ন : এই অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ কি?

যাইনুল আবেদীন : দেখুন বাংলা একাডেমি যে নিয়ম বেধে দিয়েছে সেই নিয়ম কি সকল দৈনিকগুলো মানছে? প্রথম আলোও তাদের নিয়ম মানছে না কিন্তু তাতে তেমন কিছু হয়না কিন্তু ইসলাম পন্থীরা না মানলে সেটা হয় হচ্ছে দোষের। আমার মনে হয় এই মানসিকতা বর্জণযোগ্য। মূলত কিছু ব্যতিক্রমকে ভুল বলা হচ্ছে। এই ব্যতিক্রমকে ভুল বলা কি ভুল নয়। হুমায়ূন আজাদের কথা বলুন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান ছিলেন। সবাই সাদকে “স” দিয়েই লেখেন কিন্তু তিনি সাদা লেখেন “শ” দিয়ে- এটাকে তো কেউ ভুল বলছে না। তার বইয়ের একটা জায়গাতেও “স” দিয়ে সাদা লেখা নেই। আসলে যেই শব্দগুলোর ব্যতিক্রম আছে সেই শব্দকে ভুল বা বিভ্রাট না বলা উচিত।

 

প্রশ্ন : আপনি যতগুলো বই লিখেছেন তার মধ্যে সেরা বই কোনটি এবং সেই বইটিকে আপনি সেরা কেন বলবেন?

যাইনুল আবেদীন : আমার মনে হয় এই প্রশ্নের উত্তর কেউ-ই ভালোভাবে দিতে পারেনি। কারণ বড় ছেলে যেমন বড় ছেলে হিসাবে প্রিয় আবার ছোট ছেলে ছোট হিসাবে প্রিয়। আমি যেই চিন্তাগুলো ধারণ করি সেই চিন্তাগুলো প্রত্যেকটাই একটা না একটা বইয়ে এসেছে। প্রত্যেকটা বইয়েরই আলাদা আলাদা একটা চেহারা আছে। আসলে এই প্রশ্নের উত্তর পাঠকই ভালো দিতে পারবে। একজন লেখকের কাছে প্রত্যেকটা কাজেরই আলাদা আলাদা মূল্য থাকে।

প্রশ্ন : ইসলামী সাহিত্য বলতে কি বুঝায়? যে কোন ভালো কাজকেই কি ইসলামী সাহিত্য বলতে পারি?

যাইনুল আবেদীন : এই প্রশ্নের উত্তরটা খুবই সহজ। আপনার শরীরে যে কাপড়ের জামাটি আছে সেটা হয়তো কোন হিন্দু ধুতির জন্য তৈরি করেছে কিন্তু আপনি সেটাকে পাঞ্জাবী হিসাবে ব্যবহার করছেন। আবার কেউ হয়তো আছে এটাকে ধুতি হিসাবেই ব্যবহার করছেন। সুতরাং এই কাপড়ের সুতার মত হচ্ছে শব্দ। এই শব্দটা যে সভ্যতা ধারণ করে সেটা যদি নজর কাড়ার মতো হয় তাহলে ঐ সভ্যতাটা কাপড়ের রংকে ছাপিয়ে যাবে। যেই লেখাগুলোতে বেশি পরিমাণে ইসলামী সভ্যতা উঠে আসে সেটাকে আমরা না বললেও অন্যরা বলে এটা ইসলামী লেখা বা ইসলামী সাহিত্য।

প্রশ্ন : আপনি যখন লেখেন তখন কি আগে শিরোনাম ঠিক করে লেখেন, নাকি আগে বিষয়টা লেখার পরে শিরোনাম ঠিক করেন? একজন লেখকের এই ক্ষেত্রে কি করা উচিত?

যাইনুল আবেদীন : এই ক্ষেত্রে একেক জনের একক রকম অভ্যস থাকতে পারে। তবে আমি স্বাভাবিকভাবে আগে লেখার বিষয় ঠিক করি তার পরে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকে নোট করি। অনেক সময় লেখা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই শিরোনাম পেয়ে যাই। আবার অনেক সময় লেখার মাঝা মাঝি সময়ই মনে হয় এই বাক্যটা শিরোনাম হওয়া প্রয়োজন। অনেক সময় এমন হয় যে একটা শিরোনামের জন্য এক সপ্তাহও অপেক্ষা করতে হয়। কারণ শিরোনামটা এমন হওয়া প্রয়োজন- সে যেন সম্পূর্ণ লেখাটার প্রতিনিধিত্ব করতে পারে।

প্রশ্ন : মিডিয়ার ব্যবহার সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?

যাইনুল আবেদীন : যে কোন মিডিয়া যদি ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক না হয় তাহলে আমরা ইসলামের দাওয়াতের কাজের জন্য ব্যবহার করতে পারি। তবে আমি একটা কথা বলবো- আমাদের যেই তরুণরা আজ মিডিয়াতে কাজ করতে যাচ্ছে তাদেরকে সেই বিষয়ে প্রচুর লেখাপড়া করতে হবে। কারণ মানুষ এমনিতেই ত্রুটি খোঁজার চেষ্টা করে। সুতরাং যদি এই বিষয়ে লেখাপড়া না থাকে তাহলে তাকে সামনে কাজ করা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে।

প্রশ্ন : তাসলিমা নাসরিন প্রায়ই বলে থাকেন একজন লেখকের ঘন ঘন বই প্রকাশ পাওয়া আর একজন নারীর ঘন ঘন সন্তান জন্ম দেওয়া উভয়টাই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

যাইনুল আবেদীন : তিনি একজন লিখিকা, তিনি যদি এটাকে তার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক কিছু পেয়ে থাকেন তাহলে সেটাকে আমরা কিভাবে না বলবো। আমরা আমাদের চোখের সামনে যেটা দেখতে পাচ্ছি সেটা হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের পরে দুই বাংলায় সৃজনশীল ও ব্যাপক সাহিত্য কর্ম সম্ভবত সৈয়দ শামসুল হকের উপরে আর কারো নেই। মোট কথা সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই যেই শাখায় তিনি সৃজনশীল কাজ করেননি। তার বই তো হচ্ছে ২০০ এর উপরে। সুতরাং তার বিষয়ে কি কেউ এমন কোন মন্তব্য করেছে। আসলে বিষয়টা হচ্ছে মানুষের মেধার, মানুষের শক্তির।

প্রশ্ন : আপনার লেখক জীবনের আদর্শ কে? এবং তিনি কেন আপনার আদর্শ?

যাইনুল আবেদীন : শুরুর দিকে আমরা যখন ঢাকাতে লেখাপড়া করেছি তখন ইসলামী অঙ্গনে একমাত্র লেখক হিসাবে পরিচিত ছিলেন ফরীদ উদ্দীন মাসউদ সাহেব। আরো একটু পরে আখতার ফারুক সাহেবকে পেয়েছি। এর পরে যখন আমাদের লেখা ছাপা পযর্ন্ত পৌঁছেছে তখন আমরা মহিউদ্দিন খান সাহেবকে পেয়েছি। আমার জীবনে লেখকদের মধ্যে যাদের কাজ কর্ম আমার জীবনে রেখাপাত করেছে তারা হলেন এই তিন ওস্তাদ।

প্রশ্ন : ইসলামী প্রকাশনার ক্ষেত্রে অনুবাদের অধিক্য দেখা যায়। বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

যাইনুল আবেদীন : এটা হলো একটা বাস্তবতা এবং আমরা মনে করি এমনটা হওয়াই ঠিক ছিল তাই এমনটা হয়েছে। খ্রিস্টানরা এক সময় এই অঞ্চলের মানুষদের খ্রিস্টান বানাতে চেয়েছে তখন শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রা) এদের মিশন ছিল এই অঞ্চলের লোকদেরকে মুসলিম হিসাবে টিকিয়ে রাখা। এই মিশনটা ধরে রাখতে গিয়ে তারা প্রথম যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন সেটা হচ্ছে এই এলাকার লোকদেরকে দৈনন্দিন জীবনের সকল বিষয় শিক্ষা দিতে হবে। যার ফলে দেখা গেছে বাংলাদেশে ভারত ও পাকিস্তানের থেকে হাফেজ, আলেম বেশি। আরো একটা বিষয় হলো এই অঞ্চলের মুসলিমরা ইংরেজদের বস্যতা স্বীকার করে নেইনি। আমরা আমাদের ধর্মকে বিসর্জন দেইনি। এটাই আমাদের অর্জন। ফলে আলেমদেরকে বিনা বেতনে মসজিদ মাদরাসায় পরে থেকে মানুষকে কালেমা শিখাতে হয়েছে। যার কারণে লেখালেখিতে আসতে তাদের দেরি হয়েছে। তখন আমাদের ভারত-পাকিস্তানের ভাইয়েরা অনেক কাজ করে ফেলেছে। যার ফলে এটা খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজন ছিল যে, তারা যে কাজ করেছে সেটা আমরা নগদ এনে আমরা আমাদের ভাইদেরকে দেই। এটাই একটা স্বাভাবিক কাজ ছিল এবং তারা সেটা করেছে। এখন যেহেতু ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো চলে এসেছে তাই আমরা এখন স্বাধীনভাবে কাজ করছি।

প্রশ্ন : বর্তমানে আলেম তরুণ যারা মিডিয়াতে কাজ করছেন তাদের উদ্দেশে আপনি কিছু বলুন?

যাইনুল আবেদীন : আমার মনে হয় ইসলামটাকে আমাদের ব্যাপকভাবে জনতে হবে তাহলে আমরা সকল জাগয়াতেই সম্মানের সাথে কাজ করতে পারবো। আর যদি আমরা সেটা না জানি তাহলে আমি যেখানেই যাই না কেন আমার মনে হবে আমি একটা দুর্বল জায়গা থেকে এসেছি। আর দুনিয়ার একটা রীতি হলো দুর্বলকে মারো। সুতরাং আমরা কোথায় গিয়েই শক্ত করে দাঁড়াতে পারবো না।

সৌজন্যে : প্রিয়.কম


সম্পর্কিত খবর