বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


মুসলিম নারী ভোটারের প্রতি বিজেপির আপত্তিকর মন্তব্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

borkaআওয়ার ইসলাম : ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির যেনো মুসলিম বিদ্বেষের শেষ নেই। ‘মুসলিমদের কবর দেয়ার পরিবর্তে দাহ করা আবশ্যক’ মন্তব্যের বিতর্ক শেষ না হতে এবার সামনে আসলো বোরকা বিতর্ক।

ভারতের উত্তর প্রদেশের চলমান নির্বাচনের  শেষ দুই দফার ভোট-গ্রহণের আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠিয়ে বলেছে বোরকা পরে যারা ভোট দিতে আসবেন, তাদের পরিচয় যেন ভাল করে খতিয়ে দেখা হয়।

বিজেপির দাবি, বোরকা পরে অনেক পুরুষ নাকি ভোট দিয়ে যাচ্ছেন - এরকম খবর পেয়েছে তারা। আগের দফার নির্বাচনগুলির সময়ে নাকি দলীয় কর্মীরা জানিয়েছেন যে বোরকা পরে অনেক পুরুষ মানুষ ভোট দিয়ে গেছেন।

বিজেপির এই দাবীতে মুসলিম সমাজ ক্ষুব্ধ হয়ে বলছে এটা তাদের অসুস্থ মানসিকতার পরিচয় আর ধর্মের ভিত্তিতে ভোট মেরুকরণের প্রচেষ্টা। উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আজ ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।

মার্চের ৮ তারিখ শেষ দফার ভোট - যার মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে এলাকার সংসদ সদস্য, সেই বারানসিও।

বিজেপির উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মুখপাত্র বিজয় পাঠক বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, "অনেক এলাকা থেকেই কর্মীরা জানিয়েছেন যে বোরকা পরে পুরুষ মানুষরা ভোট দিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু বুথে মহিলা ভোট কর্মী নেই বলে বোরকার আড়ালে আসলে পুরুষ আছে না নারী, সেটা খতিয়ে দেখা যাচ্ছে না।"

তবে তাকে যখন জিজ্ঞাসার করি যে গ্রামীণ অঞ্চলে তো বহু হিন্দু নারীও গলা পর্যন্ত ঘোমটা দিয়ে ঢেকে বাইরে বের হন - তাদের পরিচয় খতিয়ে দেখার আবেদন কেন করা হল না, উত্তরে মি. পাঠক জানিয়েছেন যে হিন্দু নারীরা তো শাড়ি পরে - কোনও পুরুষ তো আর শাড়ি পড়ে ঘোমটায় মাথা ঢেকে ভোট দিতে আসবে না।

বিজেপির এই দাবীকে অসুস্থ মানসিকতার পরিচয় বলে অভিহিত করছে মুসলিম নারী সংগঠনগুলি।

মুসলিম উইমেন পার্সোনাল ল বোর্ডের প্রেসিডেন্ট শাহিস্তা অম্বর বলেন, "বিজেপি বা তার মতো অন্য দলগুলো যখন এসব কথা বলে, তাতে তাদের অসুস্থ মানসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়।"

"তারা ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা করছে এসব বলে। আগেই তো তারা ভোট প্রচারে ধর্মের প্রসঙ্গ এনে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ভঙ্গ করেছে আর এখন তারা একটা বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে," বলেন মিসেস অম্বর।

 

৪০৩ আসনের বিধানসভায় প্রায় ১২০টি আসন এমন রয়েছে, যেখানে মুসলমান ভোটারের সংখ্যা ২০%র থেকে বেশী - অর্থাৎ সেখানে মুসলমানরাই নির্ণায়ক শক্তি বলে মনে করা হয়।

রাজ্যের পূর্বাঞ্চল - যেখানে আজ আর ৮ তারিখ - শেষ দুই দফার ভোট - সেখানে কোনও কোনও আসনে মুসলমানদের জনসংখ্যা ২৭ % পর্যন্তও রয়েছে।

সূত্র : বিবিসি

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ