শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


মূর্তির সংস্কৃতি মুসলমানের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র; ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

isha38

ওবায়দুল্লাহ সাআদ : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী বলেছেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে সর্বোচ্চ বিচারালয় প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত করা হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহঘেঁষে লেডি মূর্তি স্থাপন করে মুসলি­দের নামাজ বিনষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জাতীয় ঈদগাহ’র সম্মান রক্ষার্থে অবিলম্বে লেডি মূর্তি অপসারণ করুন অন্যথায় সর্বত্র কঠোর আন্দোলন গড়ে উঠলে সরকারের আখের রক্ষা হবে না।

আজ শুক্রবার বাদ জুমআ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, ছাত্রনেতা হাসিবুল ইসলাম, মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলাম, ঈমান উদ্দিন, এইচ এম ছিদ্দিকুর রহমান, এহতেশামুল হক পাঠান, শরীফুল ইসলাম। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ূম, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম, দক্ষিণ সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, উত্তর সেক্রেটারী মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

অধ্যক্ষ মাদানী ১৩ মার্চ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জ্বালানী মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি পেশ, মূর্তি অপসারণের দাবীতে ১৮ মার্চ গণসমাবেশ, ২১ এপ্রিল জাতীয় মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, গ্রিক মূর্তি স্থাপন করে মুসলমানের ঈমানে চরম আঘাত করা হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ’র পাশে এভাবে মূর্তি স্থাপন কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। মূর্তির সংস্কৃতি ইসলাম ও মুসলমানের বিরুদ্ধে নতুন ষড়যন্ত্র। এ থেকে সরকারকে বের হয়ে আসতে হবে।

অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রধান বিচারপতি দেশের সম্পদ নষ্ট করে মূর্তি স্থাপন করায় জনগণের কাছে তার জবাব দিতে হবে।

মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, মূর্তি অপসারণ না করলে যেভাবে দেশময় ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে সরকারের বিরুদ্ধে সে জনমত চলে গেলে সরকারের পতন ঘন্টা বেজে যাবে।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ অনেকে মূর্তির পক্ষে অবস্থান নেয়ায় মৃত্যুর পর তাদের জানাজা কোন মুসলমান পড়বে না এবং তাদের সাথে কেউ আত্মীয় করবে না। ভবিষ্যতে কেউ মূর্তির পক্ষে অবস্থান নিলে তাদেরও কেউ জানাজা পড়বে না। তিনি অবিলম্বে মূর্তি অপসারণের দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় আন্দোলন সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে সরকারের সামাল দেয়া কঠিন হবে।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ