সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নোয়াখালীতে দায়িত্বে অবহেলা করায় ১২শিক্ষককে অব্যাহতি   নারী কমিশনের প্রস্তাবনা, অসভ্যতা প্রসারের নীল নকশা: নেজামে ইসলাম জামায়াতের সঙ্গে মতভিন্নতা আছে, শত্রুতা নয়: মাওলানা ফজলুর রহমান মসজিদে নববীর ইমামকে মালদ্বীপে লালগালিচা অভ্যর্থনা মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করলে আমাদের জীবন আলোকিত হবে : ধর্ম উপদেষ্টা বর্তমানে ‘উলূমুল হাদিস’-এর প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশের মতো সম্প্রীতি আশপাশের দেশে খুঁজে পাবেন না: ধর্ম উপদেষ্টা ‘গাজাবাসীর পাশে দাঁড়ানো উম্মাহর আবশ্যিক দায়িত্ব’ নারী কমিশনের প্রস্তাবে পতিত স্বৈরতন্ত্রের সুযোগ: গাজী আতাউর বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভবনের স্বীকৃতি পেল মসজিদুল হারাম

সার্চ কমিটি এবারও ব্যর্থ: ড. আকবর আলি খান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

journalism_cors4-768x409আওয়ার ইসলাম : অতীতের মতো এবারও সার্চ কমিটি নির্বাচন কমিশনার সুপারিশের ক্ষেত্রে সফল হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান।

তিনি বলেছেন, ‘অনুসন্ধান করলে দেখা যাবে, উনি (প্রধান নির্বাচন কমিশনার) আদৌ সচিব ছিলেন না। কোর্টের জাজমেন্ট অনুসারে তাঁকে সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সচিবের দায়িত্ব তিনি পালন করেননি।’

আজ শনিবার এফডিসিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ড. আকবর আলি খান এসব কথা বলেন।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম এ সবুর।

ড. আকবর আলি খান বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটিকে ১০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন দলের কাছ থেকে প্রার্থীর নাম নিয়ে, সেখান থেকে তাঁদের পছন্দমতো নাম বাছাই করেছেন। কিন্তু এত সহজে নাম বাছাই করা যায় না। মাত্র ১০ দিনে লোকের তালিকা দেখে এটা করা সম্ভব নয়। সার্চ কমিটিকে আরো কিছু দিন সময় দেওয়া দরকার ছিল বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন,  যাদের অতীতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্তার ইতিহাস রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নেই সে সব লোককে নির্বাচন কমিশনার বাছাই না করাই শ্রেয়। তাই নির্বাচনকালীন সরকার কি হবে, তা নিয়ে এখন ভাবা উচিত।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার লাগবে কি না, সে সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলো কেন নেবে? এ সিদ্ধান্ত জনগণের হাতে ছেড়ে দেন। গণভোট করেন। গণভোটে যদি জনগণ চায়, তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে। না চাইলে দরকার নেই।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে বিরাজমান অসহিষ্ণুতা ও অশালীন বাকযুদ্ধ গণতন্ত্রের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য সহায়ক নয়। তিনি উল্লেখ করেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আরো দুই মেয়াদের জন্য তত্ত্ববধায়ক সরকার রাখা যেতে পারে মর্মে যে অভিমত দেওয়া হয়েছিল, সেই বিষয়টিও বিবেচনা করা যেতে পারে।

-এআরকে

 


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ