শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করার আহ্বান আল্লামা আহমদ শফী’র

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ahmad_shofi_hathajari

আওয়ার ইসলাম: এশিয়ার অন্যতম বিখ্যাত ও প্রাচীন ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহ্ফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলন আজ (শুক্রবার) লক্ষাধিক মুসল্লীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক, হেফাজতে ইসলামের আমীর, দেশের শীর্ষ আলেম, শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী বলেছেন, তাক্বওয়া তথা খোদা ভীতি ছাড়া পরিপূর্ণ মুমিন হওয়া যায় না। অপরদিকে আল্লাহর ভয় মানুষের অন্তরে না থাকার ফলে সমাজে জুলুম-অত্যাচার, অপরের অধিকার হরণ, জেনা-ব্যভিচার, খুন-খারাবিসহ অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। অন্তরে খোদাভীতি থাকলে কারো পক্ষে শরীয়তের হুকুম লঙ্ঘন করা, হারাম পথে চলা, কোন অন্যায়, অপকর্ম, সন্ত্রাসে লিপ্ত হওয়া কিছুতেই সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, খোদাভীতির অপর নাম তাক্বওয়া, আর এই তাক্বওয়া থেকে দূরে থাকার কারণেই বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মুসলমানগণ নানাভাবে পর্যুদস্ত ও নির্যাতিত হচ্ছে। মুসলমানদেরকে এই দুর্দশা থেকে রেহাই পেতে পূর্ণাঙ্গ তাক্বওয়া অর্জনের পাশাপাশি ঈমানী শক্তি নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। তিনি সকল ভেদাভেদ ভুলে এক কালিমার ভিত্তিতে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, ইসলামের পাঁচটি ভিত্তি যথা- কালিমা, নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাত মুসলমানগণ পরিপূর্ণভাবে মেনে চলছে না। এই পাঁচটি ভিত্তি পরিপূর্ণভাবে মেনে চললে মুসলমানদের ইহ ও পরকালীন জীবন হবে পরিপূর্ণ শান্তির জীবন। এই পাঁচটি ভিত্তি মনেপ্রাণে পরিপূর্ণভাবে মেনে চলতে পারলে কোন মুসলমান অন্যায়, অপরাধ, চুরি, ডাকাতি, ঘুষ, মদ, জুয়া, জেনা-ব্যভিচার, মারামারি, হানাহানি, অপরের সম্পদ লুটপাটের মতো অপরাধে জড়াবে না। সঠিক উপায়ে যাকাত আদায় করলে সমাজে কোন ফকীর-মিসকীন ও গরীব থাকবে না। ইসলামের সকল বিধানই মানব কল্যাণের জন্যে। আজকে আমরা ইসলামকে না মেনে শান্তি খুঁজি। অথচ ইসলামেই রয়েছে প্রকৃত শান্তির চাবিকাঠি।

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী অভিযোগ করে বলেন, আজ সর্বত্র ইসলামকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা চলছে। আমাদের অনৈক্য আর নিজ ধর্মের মধ্যে কতিপয় গোমরাহ মতবাদ ও ধর্মবিরোধীর কারণেই ইসলাম নির্মূলবাদি ভোগবাদিরা নিজেদের স্বার্থে এটাকে কাজে লাগাচ্ছে। ইসলামে অসত্য, অন্যায়, সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের কোন স্থান নেই। ইসলাম ন্যায় ও শান্তির ধর্ম। ইসলামকে অনুসরণ করতে পারলে এদেশে কোন হানাহানি ও সন্ত্রাস থাকবে না। আর ইসলামী শিক্ষায়ও কোন প্রকার সন্ত্রাসের স্থান নেই।

বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, আল্লামা তফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী, আল্লামা মুফতী নূর আহমদ, আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, আল্লামা হাফেজ মুহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলীপুরী, মাওলানা মুফতী মুজাফফর আহমদ, মাওলানা সাজেদুর রহমান, মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, ড. মাওলানা আফম খালেদ হোসেন, মাওলানা সলীম উল্লাহ, মাওলানা মুফতী জসীম উদ্দীন, মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা মুহাম্মদ আনাস মাদানী, মাওলানা লোকমান হাকীম, মাওলানা সৈয়দুল আলম আরমানী, মাওলানা আজিজুল হক আল-মাদানী, মাওলানা নোমান ফয়জী, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী প্রমুখ।

বার্ষিক মাহফিলে হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, স্কুল পাঠ্যবইয়ে কয়েক বছর আগে সংযোজন করা নাস্তিক্যবাদি ও বিজাতীয় ধ্যান ধারণার চরম বিতর্কিত কিছু গল্প-কবিতা বাদ দেওয়ায় ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠীর গায়ে জ্বালা ধরে গেছে। তিনি বলেন, জনগণের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও প্রতিবাদের পর সরকারের নীতি নির্ধারকগণ বিষয়টির গুরুত্ব ও নাজুকতা উপলব্ধি করতে পেরে সিলেবাসে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন। কিন্তু পাঠ্যপুস্তকে হেফাজতের দাবী শতভাগ পুরণ করা হয়েছে বলে যারা ইসলাম বিদ্বেষী উস্কানীমূলক কথাবার্তা বলছেন, যারা সাম্প্রদায়িকতার বিষয়বস্তু আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে ইসলামী ভাবধারার গল্প কবিতার প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করছেন, মূলতঃ তারাই মুসলমানদের ঈমানী চেতনাবোধ মুছে ফেলে বাংলাদেশে ইসলাম বিদ্বেষ ও ভোগবাদিতা ছড়িয়ে দেওয়ার এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছেন। এরা নানাভাবে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে দেশের বৃহৎ মুসলিম জনসমাজকে বিক্ষুব্ধ করে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করে আধিপত্যবাদি শক্তির আগ্রাসনের পথ সুগম করতে চায়। পাঠ্যবইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ইসলাম বিদ্বেষী এই চক্রের বক্তব্য গ্রাহ্য করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, যারা স্কুল পাঠ্যবইয়ে সামান্য ইতিবাচক পরিবর্তনেও বির্তক তুলতে চাইছে, তারা সমাজ ও জনবিচ্ছিন্ন। এদেরকে কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে।

হেফাজত মহাসচিব নামোল্লেখ না করে বলেন, দেশী-বিদেশী কিছু প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া স্কুল পাঠ্যবই নিয়ে ইসলাম নির্মূলবাদিদের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করে চলেছে। এসব মিডিয়া বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস ও নৈতিক আদর্শের উপর নানাভাবে আঘাত দিয়ে ও হেয়প্রতিপন্ন করে যাচ্ছে। এসব পত্রপত্রিকা ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে সকলেই চেনেন। তাদের উচিত, ইসলাম নির্মুলবাদিদের মুখপত্রের ভ‚মিকা পালনের পরিবর্তে বাংলাদেশের গণমানুষের চিন্তা ও আদর্শকে তুলে ধরা। অন্যথায় তারা গণমানুষের রোষাণলে পড়তে সময় লাগবে না।

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, ২০১৩ সালের পর স্কুল পাঠ্যবই থেকে যুগ যুগ ধরে বিদ্যমান থাকা ১৭টি গল্প ও কবিতা এক সাথে বাদ দিয়ে তদস্থলে হিন্দুত্ব ও নাস্তিক্যবাদি মতাদর্শের নতুন ১২টি গল্প ও কবিতা সংযোজন করা হলো। অর্থাৎ- ২০১৩ সালের পর একসাথে ২৯টি গল্প ও কবিতা পরিবর্তিত হয়ে মুসলমান শিশুদের ঈমান ধ্বংসের এতবড় আয়োজন ঘটে গেল, কিন্তু এখন স্কুল পাঠ্যবই নিয়ে যে বা যারা চেঁচামেচি করছেন, তারা তখন এত বড় পরিবর্তনে টু শব্দটিও করেনি। মূলতঃ তাদের ষড়যন্ত্র ও উৎসাহেই আদর্শ বিরোধী এই বিশাল পরিবর্তন হয়েছিল। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, এটা সকলেরই জেনে রাখা দরকার যে, বাংলাদেশের স্কুল পাঠ্যবইয়ে ইসলাম এবং জাতীয় আদর্শ ও চেতনাবিরোধী কোন লেখা থাকতে দেওয়া হবে না। নাস্তিক্যবাদি ধ্যান-ধারণার এখনো অনেক লেখা ও ছবি রয়ে গেছে, এগুলোও পরিবর্তন করতে হবে। পাশাপাশি ইসলাম বিদ্বেষী শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন পরিবর্তন করতে হবে। এখনো স্কুল পাঠ্য বইয়ে ৩০-৪০ ভাগ অমুসলিম লেখকের মুসলিম আদর্শ বিরোধী গল্প কবিতা রয়ে গেছে।

হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বেষ্টনি দিয়ে আড়াল তৈরি করে গ্রিক দেবীর মূর্তি নির্মাণ চরম নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, ৯০ ভাগ মুসলমান তো নয়ই, বরং হিন্দু, বৌদ্ধরাও আমার জানামতে গ্রীক দেবী থেমিসে বিশ্বাস রাখে না। কোন মুসলমান গ্রীক দেবী থেমিসকে ন্যায়পরায়ণার প্রতীক বিশ্বাস করলে তার ঈমান থাকবে না। এমন বিশ্বাস কুফরী ও শিরকী চিন্তা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই মূর্তি স্থাপনের কোনই যৌক্তিকতা নেই। এটা জনগণের আদর্শিক চিন্তা-চেতনার ঘোরতর বিরোধী এবং বাংলাদেশ থেকে ইসলাম ও মুসলিম পরিচিতি মুছে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র। এই মূর্তি অবশ্যই অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় ষড়যন্ত্রকারীদেরকে অবশ্যই গণরোষের প্রতিফল ভোগ করতে হবে।

হেফাজত মহাসচিব বলেন, ইসলাম নির্মূলবাদী চক্র বরাবরই শিক্ষা ও সাংস্কৃতি নিয়েই সবচেয়ে বেশী ষড়যন্ত্র করে আসছে। একদিকে তারা স্কুল পাঠ্যবইয়ে নাস্তিক্য পাঠ যুক্ত ও মাদ্রাসা শিক্ষাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আদর্শচ্যুত করতে ষড়যন্ত্র করছে, অন্যদিকে তারা দাড়ি, টুপি, হিজাব নিয়ে নানাভাবে বাধা তৈরি ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বিজাতীয় নগ্ন ও ভোগবাদি সংস্কৃতি চাপিয়ে দিতে চায়। জনগণের সামনে তাদের এই ষড়যন্ত্রের রূপ ও ধরণ এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে। সনদের স্বীকৃতির নামে খাঁটি ইসলামী শিক্ষার প্রাণকেন্দ্র কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চায়। তিনি বলেন, ওলামায়ে কেরাম ও মাদ্রাসা ছাত্রদেরকে বুঝতে হবে, সনদের স্বীকৃতি নয়, বরং প্রকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে আলেমদের পায়ে শেকল পরানো এবং তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে হরণ করা।

কওমী সনদের সরকারী স্বীকৃতির ইস্যুটা সম্পূর্ণই প্রতারণাপূর্ণ উল্লেখ করে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, সরকারী আলীয়া মাদ্রাসাসমূহের সনদের শতভাগ সরকারী স্বীকৃতি আছে। কিন্তু বড় বড় সরকারী পদে ফাযেল, কামেল পাশ সরকারী আলেমদেরকে নিয়োগ পেতে তো দেখা যায়ই না, বরং কোন প্রাইমারী স্কুলেও শিক্ষকতার পদে কোন আলীয়া মাদ্রাসা শিক্ষিতকে নিয়োগ দেওয়া হয় না। অথচ অনেক প্রাইমারী স্কুলের মুসলিম শিশুদেরকে ইসলাম ধর্ম শিক্ষা বইয়ের ক্লাস নিতে হয় হিন্দু শিক্ষকদের কাছে। এমনকি, আলীয়া মাদ্রাসা শিক্ষিতদের জন্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সমূহেও সকল বিষয়ে উচ্চ শিক্ষার্জনের সুযোগ রাখা হয়নি। সুতরাং কওমী মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদীসের সনদের সরকারী স্বীকৃতি নিয়ে কী অর্জিত হবে? বরং কওমি সনদের সরকারী স্বীকৃতি নেওয়া হবে চরম আত্মঘাতি।

উল্লেখ্য, গতকালের বার্ষিক মাহফিল শেষে ইশা’র নামাযের পর দস্তারবন্দী সম্মেলন বা বিশেষ সমাবর্তনে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস (টাইটেল) উত্তীর্ণ আড়াই হাজার তরুণ আলেমকে প্রতিষ্ঠানের নাম ও মনোগ্রাম খচিত বিশেষ সম্মানসূচক পাগড়ী প্রদান করা হবে। পাগড়ী প্রদান করবেন হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীসহ প্রতিষ্ঠানের মুহাদ্দিসবৃন্দ। বিশেষ সমাবর্তনে দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক হেফাজত আমীর আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী তরুণ আলেমদের উদ্দেশ্যে উপদেশমূলক হিদায়াতী বক্তব্য রাখবেন বলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা গেছে।

গতকালের হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাজার হাজার উলামায়ে কিরাম ছাড়াও লক্ষাধিক মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন। আল্লামা শাহ আহমদ শফী শুক্রবার বাদ জুমা উপস্থিত লক্ষাধিক উলামায়ে কেরাম ও তৌহিদী জনতার উদ্দেশ্যে বিশেষ হিদায়াতী বয়ান পেশ করেন। মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলন শেষে আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করবেন শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী। মুনাজাতে তিনি দেশের সকল হানাহানি, সন্ত্রাস বন্ধ হয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাত করে আল্লাহর সাহায্য কামনা করে বিশেষ দোয়া মুনাজাত পরিচালনা করবেন বলে জানা গেছে।

এশিয়ার অন্যতম বিখ্যাত দারুল উলূম হাটহাজারী মাদ্রাসার বার্ষিক মাহফিল ও দস্তারবন্দী সম্মেলন উপলক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা ভবন, ছাত্রাবাস ভবন, বিশাল সামিয়ানা এবং চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কসহ সমগ্র হাটহাজারী এলাকা হাজার হাজার উলামা-মাশায়েখ ও তরুণ আলেমের এক মিলন মেলায় পরিণত হয়।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ