শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


গণপরিবহনের ভাড়া পরিশোধে আসছে ‘র‌্যাপিড পাস’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

BRTC-BUS20150712193839আওয়ার ইসলাম : রাজধানী ঢাকায় বাসের টিকিট কাটতে আর টাকা লাগবে না। সঙ্গে রাখবেন ‘র‌্যাপিড পাস’। রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থায় যাত্রীদের হয়রানি কমাতে সমন্বিত ই-টিকেটিং পদ্ধতি ‘র‌্যাপিড পাস’ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এ লক্ষ্যে গতকাল বুধবার ডাচ -বাংলা ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ)। আগামী বছরের জুন নাগাদ ই-টিকেট সুবিধা চালু হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিববহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। চুক্তিতে নিজ নিজ পক্ষে সই করেন ডিটিসিএর পক্ষে ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক  মো. জাকির হোসেন মজুমদার এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘র‌্যাপিড পাস’ ব্যবহারকারীদের নগদ অর্থ বহন করে যাতায়াত করতে হবে না, যাতায়াত হবে ঝামেলামুক্ত। ভবিষ্যতে এই কার্ড দিয়ে নির্দিষ্ট দোকানে  কেনাকাটাও করা যাবে। এতে আধুনিকভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে, কার্ড জাল করা সম্ভব নয়।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সব পরিবহনে একই কার্ড অর্থাৎ ‘র‌্যাপি পাস’ দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। ভবিষ্যতে মেট্রোরেল, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি),  রেল, বিআরটিসির সব রুট, বিআইডব্লিউটিসি, গণপরিবহনে এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে।

একাধিক পরিবহন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভাড়া আদায় ব্যবস্থার সন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে ‘ক্লিয়ারিং হাউজ’। এ দায়িত্ব পালন করবে ডাচ বাংলা ব্যাংক। র্যা পিড পাস ব্যবহারকারীরাদের পাশাপাশি পরিবহন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানও নগদ অর্থ বহনের ঝামেলা এড়াতে পারবে বলে মনে করছে ডিটিসিএ।

সমন্বিত ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে জাইকা। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩৯ কোটি ৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকা দেবে ২৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সরকার দেবে ১০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, জাইকার চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ তাকাতোশি নিশিকাতা প্রমুখ।

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ