শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


‘সুপ্রীমকোর্টে ভাস্কর্য বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থি’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ruhul-amin2আওয়ার ইসলাম: বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রীমকোর্টের প্রবেশ পথে ভাস্কর্যের নামে ভিন দেশের দেবীর প্রতীক কোনো ভাস্কর্য স্থাপন মেনে নেওয়া হবে না। সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণে মূর্তি স্থাপন বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থি কাজ।

দেশের মানুষ এমন কাজ কোনোভাবেই সমর্থন করবে না বলে মন্তব্য করেছেন খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের আমীর ও গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহাপরিচালক পীরে কামেল আল্লামা মুফতি রুহুল আমীন।

আজ এক বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, সুপ্রীমকোর্ট হলো দেশের নির্যাতিত মানুষের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জায়গা, এটা মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। এখানে কোনো দেবীর মূর্তি স্থাপন ন্যায়বিচারকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ঐক্যের প্রতীক সুপ্রীম কোর্ট সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে বিরূপ ধারণা সৃষ্টি হবে। তাই অনতিবিলম্বে স্থাপিত দেবীর মূর্তি সরিয়ে ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে মহাগ্রন্থ পবিত্র কুরআনের ভাস্কর্য স্থাপনের জোর দাবি জানান তিনি।

মুফতি রুহুল আমিন বলেন, দেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করেছিলেন এবং মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের সংগঠন ওআইসি সম্মেলনে গিয়েছিলেন। তিনি দেশে মদ-জুয়া ও ঘোড়াদৌড় নিষিদ্ধ করেছিলেন। সুপ্রীম কোর্ট এলাকার নিকটে তাবলিগের মারকাজ কাকরাইল মসজিদের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছিলেন। তিনি ইসলামের চেতনাকে সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেই দেশের সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রীক নারী দেবী থেমিসের নগ্ন-অশ্লীল মূর্তি স্থাপন চরম ধৃষ্টতা এবং একটি অকল্পনীয় ও অগ্রহণযোগ্য কাজ।

মুফতি রুহুল আমীন বলেন, দেবীর ভাস্কর্য মূর্তি স্থাপনের মতো অপতৎপরতা ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিচলিত করে তুলেছে এবং স্থাপন রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের অবমাননা। এটা মুসলমানদের ঈমানের ওপর চরম আঘাত। বিষয়টি সরকারে ঘাপটি মেরে থাকা একটি বিশেষ মহলের কারসাজি। ওই মহলটি সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে মূর্তি স্থাপনের মতো ন্যক্কারজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। বিষয়টি এখনই আমলে না নিলে, সরকার জনসমর্থন হারাবে।

মুফতি রুহুল আমীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, দেশের মানুষ আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। ধর্ম ও ইসলাম বিদ্বেষী এমন কাজ বন্ধের সিদ্ধান্ত যত দ্রুত আসবে ততই মঙ্গল হবে। কারণ, শান্তির ধর্ম ইসলামে মূর্তি স্থাপন হারাম।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ