বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল চক্রান্তের ফাঁদে না পড়ে সর্বোচ্চ ধৈর্য ধারণের আহ্বান শায়খ আহমাদুল্লাহর ভোলায় জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও স্মরণসভা চরমোনাইর বার্ষিক অগ্রহায়ণ মাহফিল বুধবার, চলছে সর্বশেষ প্রস্তুতি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান আসিফ মাহমুদের অসহায় শীতার্তের পাশে মাওলানা গাজী ইয়াকুবের তাকওয়া ফাউন্ডেশন দেশের তিন জেলায় শিক্ষক নিচ্ছে ‘আলোকিত মক্তব’ বৃদ্ধার দাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবন্ধীদের ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা দিতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে: ধর্ম উপদেষ্টা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: মাওলানা আরশাদ মাদানী

নতুন পাঠ্যবই প্রত্যাহারে ৮৫ বিশিষ্টজনের বিবৃতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

boi_silebasআওয়ার ইসলাম: অবিলম্বে ভুলে ভরা পাঠ্যবইগুলো প্রত্যাহার ও নবীন শিক্ষার্থীদের সাম্প্রদায়িক ও কূপমণ্ডূক হওয়ার হাত থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের ৮৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। আজ (মঙ্গলবার) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা এ দাবি জানান। সেইসঙ্গে পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িক ও ধর্মীয় বৈষম্যমূলক বিষয় অন্তর্ভুক্তি এবং গুরুত্বপূর্ণ ও প্রগতিশীল লেখকদের লেখা বাদ দেয়াসহ নানা অসংগতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।

বিবৃতিতে বিশিষ্টজনের বলেছেন, “বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে সব শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যবই পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সফলতা অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে দেয়া পাঠ্যবইগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে গত কয়েক বছর ধরেই। চলতি বছরের পাঠ্যবইগুলোতে ছাপার ভুল, বানান-তথ্য বিকৃতি নিয়ে বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ঘটনাগুলোকে দায়িত্বে অবহেলা হয়েছে বলে চালানোর চেষ্টা করা হলেও ধীরে ধীরে বের হয়ে এসেছে এসব বিকৃতির পেছনের ঘটনা। পশ্চাৎপদ ও মৌলবাদের তোষণনীতির কারণেই পাঠ্যপুস্তকে এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পরিবর্তনগুলো আনা হয়েছে। এর পেছনে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির যে ভয়ানক বিস্তার রয়েছে, তা গত কয়েক বছর ধরেই স্পষ্ট। এ বছরের পাঠ্যপুস্তক সেই সাম্প্রদায়িক অপরাজনীতির সঙ্গে সরকারের আপসরফারই চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অনুমোদিত পাঠ্যপুস্তকগুলোতে যে ভুল ও তথ্য বিকৃতির ছড়াছড়ি, একটু লক্ষ্য করলেই বোঝা যায়, এটি তিন ধরনের। বানান ও তথ্যগত বিকৃতি, বাক্য গঠনে ভুল এবং মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক মনোবৃত্তির অনুপ্রবেশ ঘটানো। এক ও দুই নম্বর ভুলগুলো সঠিক পরিকল্পনা এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে হচ্ছে। কিন্তু তৃতীয় ভুলটি পরিকল্পিত। যাঁরা করছেন, তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবেই একটি সাম্প্রদায়িক জাতিরাষ্ট্র গঠনের জন্য এই কাজটি করে চলছেন।...শিশুদের মগজে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে সাম্প্রদায়িক বিষ এবং তার বিস্তার ঘটানো হচ্ছে রাষ্ট্রের প্রতিটি পর্যায়ে।”

পাঠ্যপুস্তকে দলীয়করণ ও তোষামোদী করার অভিযোগ তুলে তারও নিন্দা জানান বিশিষ্ট এই ব্যক্তিরা।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন- আহমেদ রফিক, কামাল লোহানী, যতীন সরকার, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হায়াৎ মামুদ, সৈয়দ হাসান ইমাম, হাসান আজিজুল হক, সনৎ কুমার সাহা, অজয় রায়, সফিউদ্দিন আহমদ, কাজী মদিনা, আবুল মোমেন, রামেন্দু মজুমদার, দ্বিজেন শর্মা, মামুনুর রশিদ, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, কবি আসাদ চৌধুরী প্রমুখ।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ