আওয়ার ইসলাম: দলীয় সংসদ সদস্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রী মোদির বাসভবন ঘেরাও করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন ৩৬ তৃণমূল সংসদ সদস্য।
দিল্লির ৭ নম্বর রেসকোর্স রোড থেকে দিল্লি পুলিশ তাদের আটক করে তুঘলক রোড থানায় নিয়ে যায়। ওই দলে মুকুল রায়, শতাব্দী রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দিব্যেন্দু অধিকারী, ইদ্রিস আলী, ডেরেক ও'ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার, সুখেন্দুশেখর রায়, দীনেশ ত্রিবেদীরা ছিলেন।
তৃণমূলের অভিযোগ, পুলিশ তাদের সংসদ সদস্যদের হেনস্থা করেছে। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিতে আহত হয়েছেন দুই সংসদ সদস্য। প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় জানান, প্রসূন এবং কল্যাণ ব্যানার্জিকে মারধর করেছে পুলিশ। ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেন, 'আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। নারী সংসদ সদস্যদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছে পুলিশ।
এদিকে রোজভ্যালি কাণ্ডে তৃণমূল সংসদ সদস্য তাপস পাল (রোববার) ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (মঙ্গলবার) গ্রেফতারের প্রতিবাদে কলকাতা থেকে দিল্লি পর্যন্ত বিক্ষোভ শুরু করেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। সড়ক ও রেলপথ অবরোধের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ডের যোগাযোগ। অভিযোগ উঠেছে, কলকাতার বড়বাজারে বিজেপি দলের নেতা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র বাড়িতেও হামলা-ভাংচুর চালিয়েছে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
হুগলি বিজেপির কার্যালয়েও এদিন আগুন ধরিয়ে দেয় তৃণমূল কর্মীরা। এর মধ্যেই বুধবার সুদীপকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিন সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ভুবনেশ্বর আদালত। খবর এনডিটিভি ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
তৃণমূল নেত্রী পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, নোট বাতিল ইস্যুতে বিরোধিতার জন্যই পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল সংসদ সদস্যদের গ্রেফতার করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার।
ডিএস