বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

‘সাংবাদিকরা ‘নাটুকে’ প্রকাশক রবিনের পাল্লায় পড়ছে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

samsujjaman_khanআওয়ার ইসলাম: একুশের বইমেলায় শ্রাবণ প্রকাশনীকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে সমালোচনায় ক্ষুব্ধ বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান রবিন আহসানকে ‘নাটুকে’ প্রকাশক বলে ইঙ্গিত করে সাংবাদিকদেরও সমালোচনা করেন। মহাপরিচালক তার নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘তরুণ সাংবাদিকরাও তাই। তাই তারা চতুর ফন্দিবাজ ও যেকোনোভাবে সংবাদপত্রের পাতায় থাকার কৌশল করছে এবং প্রতি বছরই এমন এক প্রকাশক নামধারীর পাল্লায় পড়ছে।’

জানা গেছে, গত বছর মেলায় ব-দ্বীপ প্রকাশনীর ‘ইসলাম বিতর্ক’ নিষিদ্ধ এবং বইটির প্রকাশক শামসুজ্জামান মানিককে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন শ্রাবণ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী রবিন আহসান। আগামী একুশের বইমেলায় অংশ নেয়ার আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে সম্প্রতি তিনি জানতে পারেন যে তাকে দুই বছরের জন‌্য নিষিদ্ধ করেছে মেলার আয়োজক সংস্থা বাংলা একাডেমি।

তার ওই তৎপরতাকে ‘মেলার পরিপন্থী’ যুক্তি দেখিয়ে শ্রাবণ প্রকাশনীকে নিষিদ্ধ করেছে বাংলা একাডেমি, যার প্রতিবাদও চলছে এখনও। প্রতিবাদী একটি কর্মসূচি থেকে একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামানের পদত‌্যাগও চাওয়া হয়।

তবে শামসুজ্জামান এসব সমালোচনার জবাবে লিখেন, ‘গত বছর ব-দ্বীপ প্রকাশনীর ‘ইসলাম বিতর্ক’ বইয়ের বিরোধিতা করে আমি নাকি মুক্তবুদ্ধি চর্চার ওপর আঘাত হানছি। এত বড় মিথ্যাচার আর হয় না।’

তিনি লিখেছেন, ‘সে ঐতিহাসিক দলিলপত্র আমার অফিসে এলে দেখাতে পারি। প্রপিতামহ, পিতামহ পিতা সবাই মক্তবুদ্ধির (মুক্তবুদ্ধির হবে) অনুসারী ছিলেন। যাহোক, সে ইতিহাস বিস্তারে লিখবো পরে। এখন বর্তমানে ফিরি। ১৯৭৫ সালের পর লেখক- সংস্কৃতি কর্মীদের মধ্যে আমিই প্রথম মক্তবুদ্ধির চর্চার জন্য স্বৈর সামরিক শাসন আমলে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী NSI কর্তৃক ধৃত হই। আমার দোষ ছিল বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি বিভাগের একুশের আলোচনায় বিষয় দিয়েছিলাম : মুসলিম সাহিত্য সমাজ ও শিখা আন্দোলন (১৯২৬ )। স্মর্তব্য যে এরাই বাঙালি মুসলমানদের মধ্য প্রথম প্রগতিশীল; এদের শ্লোগান ছিল: বুদ্ধির মুক্তি, 'Imancipation of Intellect '. এদের নেতা কাজী আব্দুল ওদুদকে ঢাকা ছেড়ে কলকাতার চলে যেত বাধ্য করা হয়। আমাকে পূর্বোক্ত গোয়েন্দা সংস্থাও দিনভর মানসিক নির্যাতনের পর চট্টগ্রাম বদলি করা হয়। আমাকে এই বিপদে ফেলার মূলে ছিলেন জিয়ার মন্ত্রী আকবর কবীর (খুশি কবীরের পিতা; তাই গতকাল ওদের সঙ্গ তার যোগদান খুব তাৎপর্যপূণ) খোন্দকার আব্দুল হামিদ, মনিরউদ্দিন ইউসুফ ও বাংলা একাডেমির তৎকালীন ডিজি আশরাফ সিদ্দিকী।’ ‘হায়! এখন মুক্তবুদ্ধিচর্চার নতুন ধান্দাবাজদের এই কুমভিরাশ্রারু দেখে মনে হয় ধরণী দ্বিধা হও।’

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ