শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

jela_nirbachanআওয়ার ইসলাম: দেশের ৬১ জেলা পরিষদে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো নির্বাচন। ইতোমধ্যেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

৬১ জেলার ২১ জেলায় নির্বাচন হয়নি। এরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

 

শেরপুর : শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক) হুমায়ূন কবীর রুমান। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পালকে পরাজিত করেছেন। মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে হুমাযূন কবীর রুমান পেয়েছেন ৫৬৩ ভোট। আর আনারস প্রতীক নিয়ে অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পেয়েছেন ১৭৬ ভোট।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৬৫০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. শফিকুল আলম। তার নিকটতম প্রতিন্দ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ এমদাদুল বারী পেয়েছেন ৫৯৯ ভোট।

নরসিংদী : নরসিংদীর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট আসাদোজ্জামান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বুধবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ৫৮০ ভোট পেয়ে তিনি জয় লাভ করেন। তার নির্বাচনী প্রতীক ছিল আনারস।

গাইবান্ধা : জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান সরকার (ঘোড়া) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।   বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

সাতক্ষীরা : জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম দলীয় প্রার্থী মুনসুর আহমেদকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন।   জেলার ১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম ৬৪৮ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মুনসুর আহমেদ ১৭৮ ভোট পেয়েছেন। স্থগিতকৃত তিনটি কেন্দ্রে ভোটের সংখ্যা ২০৭। তাই স্থগিতকৃত ভোট কেন্দ্রের ভোট দ্বারা চেয়ারম্যান পদের ফলাফল পরিবর্তন হওয়া সম্ভব নয়।

কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. জাফর আলী ৬৫০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাপপিরিচ প্রতীকের পনির উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ২৭৯ ভোট। জেলার নয় উপজেলায় ১৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৪ টিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। উচ্চ আদালতের আদেশে ৬নং ওয়ার্ডে ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়নি। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৬৮টি।

কক্সবাজার : কক্সবাজার জেলা পরিষদের বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন মোস্তাক আহমদ চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ৭৬৮ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী সালাউদ্দিন মাহমুদ পেয়েছেন ২১৯ ভোট। বুধবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

পটুয়াখালী : জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী খান মোশারফ হোসেন জয়লাভ করেছেন। জেলায় মোট ১ হাজার ২৯ ভোটের মধ্যে আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৯৩০ ভোট। তার নিকটতম দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নূর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সিকদার পেয়েছেন ঘোড়া প্রতীকে ৭৬ ভোট।

বরগুনা : বরগুনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. দেলোর হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে মোট ১৫ ভোট কেন্দ্র থেকে পাওয়া ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৯৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও বরগুনার সোবেক এমপি ও সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাষক মো. জাফরুল হাসান ফরহাদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ১৭ ভোট।

ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাবু কনক কান্তি দাস বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৩৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হারুন অর রশিদ পেয়েছেন ৩৯২ ভোট। জেলা নিবার্চন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সংরক্ষিত নারী ১৮ এবং সাধারণ সদস্য পদে ৬১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মাগুরা : জেলায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু। ৯১ ভোটের ব্যবধানে তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের প্রার্থী রানা আমির ওসমানকে পরাজিত করেছেন।   বিজয়ী প্রার্থী পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি পেয়েছেন ২৭০ ভোট। অন্যদিকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিদ্রোহী প্রার্থী রানা আমির ওসমান পেয়েছেন ১৭৯ ভোট। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক।

মেহেরপুর : মেহেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম রসুল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিয়াজান আলী পেয়েছেন ৮৪ ভোট।

 

লালমনিরহাট :  লালমনিরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান বিজয়ী হয়েছেন। মতিয়ার রহমান কাপ পিরিচ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৭৯ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা। নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৫৫ ভোট। বিজয়ী অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এবং নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

মাদারীপুর : মাদারীপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মিয়াজ উদ্দিন খান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন।

পঞ্চগড় : পঞ্চগড়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী আমানুল্লাহ বাচ্চু টেবিল ফ্যান প্রতীক নিয়ে ১৩৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটত প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু বক্কর ছিদ্দিক পেয়েছেন ১২২ ভোট।

পাবনা : পাবনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল রহিম লাল বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনের পর ভোট গণনা শেষে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রাপ্ত ফলাফলে রেজাউল রহিম লাল (আনারস) ৬৬১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন (মোবাইল) পেয়েছেন ৩০৮ ভোট।

পিরোজপুর : পিরোজপুরে ৪২৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে জয় লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম পেয়েছেন ৩০২ ভোট।

রংপুর : রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সিফিয়া খানম ৭৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদ (আম্বিয়া-বাদল) সমর্থিত আব্দুর সাত্তার পেয়েছেন ৩১৯ ভোট।   জেলার ৮টি উপজেলার ১৫টি ভোটকেন্দ্রে বুধবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে ৩৫ জন ও সংরক্ষিত আসনে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শামসুল আবেদীন খোকন (মোবাইল) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ২৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মঞ্জু (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ২৪৭ ভোট।

ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ইউসুফ খান পাঠান (আনারস) বিজয়ী হয়েছেন। সর্বমোট ২ হাজার ৭০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ২ হাজার ৬৫। এর মধ্যে ইউসুফ খান পাঠান পেয়েছেন ১ হাজার ৭৩১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম ফখরুল আলম বাপ্পি চৌধুরী (চশমা) পেয়েছেন ২৮৮ ভোট এবং অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নুরুল ইসলাম রানা (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৩৩ ভোট।

রাজশাহী : বেসরকারিভাবে রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার। আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৭৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত মাহবুব জামান ভুলু তালগাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪১৭ ভোট। ভোট গণনা শেষে বুধবার বিকেলে রাজশাহী জেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বেসরকারি এ ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিলেট : সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৭৯৬ ভোট। অন্যদিকে, লুৎফুর রহমানের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনামুল হক সরদার কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে ৫৫৩ ভোট পেয়েছেন। ১, ৩, ৮, ৯ ও ১৪ নং ওয়ার্ডের পুরুষ সদস্য পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এছাড়া সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডে সমান ১৭ ভোট পেয়েছেন গোলাম কিবরিয়া হিরা মিয়া (টিউবওয়েল) ও মো. মতিউর রহমান (হাতি)। তাদের দুজনের সমানসংখ্যক ভোট পাওয়ায় ওই ওয়ার্ডের ফল ঘোষণা করা হয়নি।

মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ নিবার্চনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. আজিজুর রহমান ৩৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এম এম শাহীন পেয়েছেন ২৮৯ ভোট। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী ইস্তেফাজুল হক আকন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নীলফামারী : নীলফামারী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানও বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন। তিনি পেয়েছেন ৪৪২ ভোট।

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে ৫৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. শামছুল ইসলাম (আনারস প্রতীক)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী  প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলা উদ্দিন (ঘোড়া প্রতীক) পেয়েছেন ১৯৫ ভোট।

বরিশাল : বরিশাল জেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে বিকেল পৌঁনে ৪টায় চেয়ারম্যান পদে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান। ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. মইদুল ইসলাম ৯৬৮ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী খান আলতাফ হোসেন ভুলু ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৫৫ ভোট।    প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ৭১৩ ভোট বেশি পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মইদুল ইসলাম।

শরীয়তপুর : শরীয়তপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকদার বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৫৪৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আ. রব মুন্সি পেয়েছেন ৩৫৯ ভোট।

রাজবাড়ী : রাজবাড়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার তালগাছ প্রতীক নিয়ে ৫০৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাজবাড়ী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি রকিবুল হাসান পিয়াল আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৮৫ ভোট।

 

নোয়াখালী : নোয়াখালী  জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. এবিএম জাফর উল্যা (টেবিল ফ্যান প্রতীক) ৮৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ডা. একে এম জাফর উল্যা (চামশা প্রতীক) পেয়েছেন ২৪২ ভোট।

গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক বিপুল ভোটে বে-সরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আনারস প্রতীকে ৯২৩ ভোট পেয়েছেন । তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়দুল্লাহ বাকী কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ১৫ ভোট।

এছাড়া ৬১টি জেলার মধ‌্যে ২১টিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন।

তারা হলেন- নারায়ণঞ্জে আনোয়ার হোসেন, গাজীপুরে মো. আখতারুজ্জামান, ঠাকুরগাঁওয়ে সাদেক কোরাইশী, জয়পুরহাটে আরিফুর রহমান রকেট, নাটোরে সাজেদুর রহমান খাঁন, সিরাজগঞ্জে আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, যশোরে শাহ হাদিউজ্জামান, বাগেরহাটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু, ঝালকাঠিতে সরদার শাহ আলম, ভোলায় আব্দুল মোমিন টুলু, নেত্রকোনায় প্রশান্ত কুমার রায়, মুন্সীগঞ্জে মো. মহিউদ্দিন, দিনাজপুরে আজিজুল ইমাম চৌধুরী, নওগাঁয় এ কে এম ফজলে রাব্বি, ফেনীতে আজিজ আহমেদ চৌধুরী, কিশোরগঞ্জে মো. জিল্লুর রহমান, ঢাকায় মো. মাহবুবুর রহমান, হবিগঞ্জে মো. মুশফিক হুসেন চৌধুরী, চট্টগ্রামে এম এ সালাম, টাঙ্গাইলে ফজলুর রহমান খান ফারুক ও ফরিদপুরে মো. লোকমান মৃধা।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ