সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

জঙ্গিবিরোধী অভিযান নিয়ে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে কেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

s_বাংলাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর চালানো বিভিন্ন জঙ্গিবিরোধী অভিযান নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে নানা সন্দেহ তৈরি হচ্ছে, এবং এ সব অভিযানের সরকারি ব্যাখ্যা নিয়ে তারা নিজেরাও সন্দিহান - বলছে বিরোধীদল বিএনপি

পুলিশের একজন কর্মকর্তা অবশ্য এসব সন্দেহকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন।

তবে এই 'সন্দেহের' কথা নতুন করে উঠেছে ঢাকার পূর্ব আশকোনা এলাকায় পুলিশের জঙ্গীবিরোধী অভিযানের পর।

আশকোনায় নিহতদের একজন এক মহিলা - যিনি নিজের শরীরে বাধা গ্রেনেডের আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিহত হন । আরেক নিহত কিশোর আফিফ কাদেরীর মৃতদেহ পাওয়া যায় বাড়িটির ভেতরে । তার শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে মৃতদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন।

অভিযানের সময় জঙ্গী সন্দেহে আটক দু'জন নারীকে আজ আদালতে হাজির করে সাত দিনের পুলিশী রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

কিন্তু এসব অভিযানের সময় ঠিক কি ঘটে তা নিয়ে লোকজনের সাথে কথা বললে তাদের মধ্যে এক ধরণের বিভ্রান্তি দেখা যায়। ঢাকার কল্যাণপুর সহ বিভিন্ন এলাকার জঙ্গিবিরোধী অভিযান নিয়েও এধরণের বক্তব্য পাওয়া গেছে।

ঢাকার রাস্তায় কয়েকজনের সাথে কথা বলে দেখা গেল, তাদের মনে সন্দেহ রয়েছে এবং পুলিশের বক্তব্য তাদের কাছে পরিষ্কার নয়।

একজন বলেন - "সরকার যা বলে তাই আমাদের বিশ্বাস করতে হয়, কারণ সরকারের বক্তব্য যাচাই করার সুযোগ আমাদের নেই ।"

একজন তরুণী বললেন, যা ঘটছে তা তার কাছে 'কনফিউজিং' লাগছে - "কখনো মনে হচ্ছে এগুলো সত্যি ঘটছে, কখনো মনে হচ্ছে সরকার পক্ষে এগুলো দেখানোর জন্য প্ল্যান করে ।"

'এসব অভিযানের ভিত্তি কি, জঙ্গীদের উৎসস্থল কি' - এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন একজন।

ওদিকে পুলিশের জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজনৈতিক দলও। আশকোনার অভিযানের পর বিরোধীদল বিএনপির একজন মুখপাত্র বলেছেন, এই অভিযানের সরকারি ব্যাখ্যা নিয়ে তারা সন্দিহান।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলছেন, জঙ্গী ইস্যুকে জিইয়ে রাখার জন্য সরকার অবিযানের নামে এসব ঘটনা সাজাচ্ছে বলে তারা মনে করেন।

বাংলাদেশ

আইন ও সালিশ কেন্দ্র নামে একটি মানবাধিকার সংগঠনের নূর খান লিটন বলেন, আগের অভিযানগুলোর সময় আটক ব্যক্তিরা আদালতে তাদের অনেক আগে থেকে আটক করে রাখার কথা বলেছিল।

"কোর্টে অনেকে বলেছেন চয় মাস বা একবছর আগে তাদের আটক করা হয়েছে। ফলে এসব অভিযান নিয়ে সন্দেহ তৈরি হচ্ছে। তবে সব ক্ষেত্রেই যে এটা সত্য - তা নাও হতে পারে।"

তবে পুলিশ এসব বক্তব্য মানতে রাজী নয়। ঢাকা পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, এসব অভিযান ঘটেছে দিনের আলোতে, যা ঘটেছে তা তারা প্রকাশও করেছেন। কিন্তু একটি মহল এ নিয়ে সন্দেহ তৈরির চেষ্টায় আছে বলে তাদের ধারণা।

"আমরা শতভাগ স্বচ্ছতা, সততা এবং জবাবদিহিতার সাথেই এ সব অভিযান চালাচ্ছি। এতে বাড়ির মালিক, ভাড়াটে, আশপাশের লোক - সবারই বর্ণনা থাকে। কেউ সন্দেহ করবে এটা আমরা চিন্তাই করি না " - বলেন মি. রহমান।

"আর যাদের সন্দেহ করার - এমন এক শ্রেণীর লোক সারা জীবনই থাকবে যারা সন্দেহই করে যাবে, কোন কাজ করতে পারবে না" - বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

সূত্র: বিবিসি বাংলা


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ