শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


নারায়ণগঞ্জ ভীতিকর এলাকা, এখানে ক্লিন ইমেজের মেয়র চায় জনগণ: মুফতি মাসুম বিল্লাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

masum_billah3

রোকন রাইয়ান: ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। চলছে নানা রকম উত্তাপ। কে হবেন পরবর্তী নগরপিতা। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নেমেছে সেনা। একদিন পার হলেই ভোট।

এখানে আওয়ামী লীগ বিএনপির পাশাপাশি অংশ নিচ্ছে দুটি ইসলামি দল। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও ইসলামী ঐক্যজোট। অন্যদের মতো তারাও আশাবাদী নিজেরা নির্বাচিত হবেন। নানা রকম সেবা নিয়ে পাশে থাকবেন জনগণের। কিন্তু কতটুকু প্রস্তুতি নিলেন তারা, জনগণকেই বা কী দিতে চান এবং তাদের কেন ভোট দেবে জনগণ এই নিয়ে আজ থাকল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মুফতি মাসুম বিল্লাহর সাক্ষাৎকার।

নারায়নগঞ্জবাসী আপনাকে কেন ভোট দেবে?

নারায়ণগঞ্জ একটি স্পর্শকাতর ও ভীতিকর এলাকা। এখানকার মানুষের আকাঙ্ক্ষা একজন ক্লিন ইমেজের মানুষ। পরোপকারী এবং যিনি অতীতে কোনোরকম বিশৃঙ্খল কাজে জড়িত নয় এমন প্রার্থী আশা করেন। সে দিক থেকে মানুষ ইসলামী আন্দোলন বেছে নিতে পারে। আরেকটা বিষয় মানুষ ইসলামকে পছন্দ করে এবং দীনের ওপর থাকতে চায়। ইসলামী আন্দোলন সেই মিশন নিয়ে কাজ করছে। ব্যক্তি জীবন বিকশিত করার পাশাপাশি রাজনীতিটাও এখানে আছে শালীনভাবে। সেদিক থেকে আশাবাদী মানুষ এবার ইসলামী আন্দোলনকে ভোট দেবে।

গত নির্বাচনে এখান থেকে আতিকুর রহমান নান্নুমুন্সি নির্বাচন করে মাত্র ৬ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়েছেন। আপনি কি তারচেয়ে বেশি পাবেন? এবারের টার্নিং পয়েন্ট কী?

হ্যাঁ গতবার ৬ হাজার মানুষ ইসলামী আন্দোলনকে ভোট দিয়েছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী রয়েছে অনেক বেশি। এখানে একটা ব্যাপার লক্ষণীয়, সেটা হলো গতবার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ছিল না। নান্নুমুন্সী গরুগাড়ি মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। এখনকার প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। আমি পীর সাহেব চরমোনাইয়ের হাতপাখা প্রতীকে নির্বাচন করছি। ব্যবধানটা এ কারণে লম্বা হবে। তাছাড়া দলীয়ভাবে এবার কাজ হয়েছে বেশি।

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে গিয়ে কোনো রকম হয়রানি বা ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে কি?

না সেরকম বলার মতো কিছু হয়নি। আমরা বাধামুক্তভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

[caption id="" align="alignnone" width="960"]Image may contain: 4 people, people standing and outdoor এলাকায় গণসংযোগ করছেন মুফতি মাসুম বিল্লাহ[/caption]

জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য আগে জনগণের পরিচিত হতে হয়, তাদের জন্য তৃণমূলে কাজ করতে হয়। আপনার উল্লেখ্যযোগ্য কী কাজ রয়েছে?

আলেমদের কাজ হলো মানুষকে দীনি পরিবেশের ভেতর আনা। তাদেরকে ইসলাম চেনানো। দাওয়াত পৌছানো। এই কাজগুলোতে একক এবং দলীয়ভাবে অংশ নেয়ার সুযোগ হয়েছে। নির্বাচিত হলে জনগণের কাছাকাছি থেকে পুরোপুরি সার্বিক কাজে অংশ নেব ইনশাআল্লাহ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তো প্রচুর কর্মী, কিন্তু জনশ্রুতি আছে ভোটের সময় এদের পাওয়া যায় না বিষয়টি কি আপনি মানেন?

হ্যাঁ এটা একটা সময় ঠিক ছিল। কিন্তু এখন আলহামদুলিল্লাহ ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা এমন নয়। এ ব্যাপারে আমাদের দলের আমীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই অনেক কাজ করেছেন। তিনি প্রায় সময়ই নসিহতে এসব বলেন। দলের সঙ্গে থাকতে হলে পূর্ণাঙ্গভাবেই থাকতে হবে। এ কারণে পরিস্থিতি আগের চেয়ে পাল্টেছে। এখনকার কর্মীরা মনে প্রাণে ইসলামী আন্দোলনকে ধারণ করেই চলে। সুতরাং তাদেরকে ভোটের সময় পাওয়া যায় এ কথা বলা যাবে না।

আপনি জয়ী হলে এলাকার জন্য কী করবেন?

একজন সাধারণ মানুষের যেসব অধিকার তা নিশ্চিত করাই হবে আমাদের প্রথম কাজ। জনজীবনের উন্নয়ন, বিদ্যুত পানির নিশ্চয়তা, রাস্তাঘাট নির্মাণ এসবের পাশাপাশি আরেকটা বড় বিষয় হলো মানুষ যাতে পূর্ণাঙ্গ ইসলামি জীবন যাপন করতে পারে সে জন্য কাজ করা। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জে নানারকম অপরাধকর্ম রয়েছে। কিছুদিন আগেও ৭ খুন হয়েছে এখানে। এসব উত্তেজনা সবসময় লেগেই থাকে এখানে। আমাদের কাজের মধ্যে এসবও থাকবে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা থাকবে ইনশাআল্লাহ।

এআর

নাসিক নির্বাচনে মুফতী মাসুম বিল্লাহ

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ