সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

সোমবার ইলেক্টরাল ভোট; হিলারির প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা এখনো

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

hillary-trump-doh1আওয়ার ইসলাম: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন তা এরইমধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে। প্রশাসনের সদস্যদের বাছাই করছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে সোমবার বদলে যেতে পারে সবকিছু। কেননা তাকে অতিক্রম করতে হবে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের বাধা। এ নিয়মে প্রেসিডেন্ট হবার সুযোগ থাকছে পরাজিত প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনেরও।

যদিও আমেরিকার সংবিধানে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। তবে ২০১৬ সালে ইলেক্টোরাল কলেজের ভূমিকায় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কয়েকজন সদস্য এখনো তাদের ভোটের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছেন না। অনেকেই আবার নির্বাচনে হ্যাকিংয়ের অভিযোগ ওঠায় ট্রাম্পকে ভোট না দেয়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন।

সোমবার ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে অংশ নেবেন ৫৩৮ ইলেক্টোর। প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমপক্ষে ২৭০ ইলেক্টোরে ভোট পেতে হবে প্রার্থীকে। আর তাই নির্বাচনের ফলাফল এখন সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে ইলেক্টোরাল কলেজের সদস্যদের ওপর। এ ভোট শেষে তিনটি ফলাফল হতে পারে-

১. ইলেক্টোরাল কলেজ সদস্যরা ট্রাম্পকে ভোট দেবেন এবং তিনিই হবেন প্রেসিডেন্ট
গেলো ৮ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পপুলার ভোটে হিলারির থেকে পিছিয়ে থাকলেও ৩০৬টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ইলেক্টোরাল সদস্যরা ইচ্ছে করলে নিজেদের ভোট ফিরিয়ে নিতে পারেন। তাই চূড়ান্তভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার জন্য কমপক্ষে ২৭০ ইলেক্টোরাল কলেজ সদস্যর ভোট পেতে হবে। এর ফলাফল প্রকাশ করা হবে আসছে ৩ জানুয়ারি। তাই কোনো অঘটন না ঘটলে ট্রাম্পই হচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।

২. ইলেক্টোরাল কলেজ সদস্যরা ট্রাম্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে হিলারি জয়ী
হিলারি ক্লিনটনের পাওয়া ইলেক্টোরালের ভোটের সংখ্যা ২৩২টি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে তার আরো প্রয়োজন হবে ৩৬টি ভোট। ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর আস্থা হারানো ইলেক্টোরাল কলেজ সদস্যরা যদি হিলারিকে ভোট দেন, তাহলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে লেডি ক্লিনটনকে দেখা খুব অস্বাভাবিক না। এরইমধ্যে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একজন রিপাবলিকান বলেছেন, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেবেন না।

৩. বাদ পড়তে পারেন হিলারি-ট্রাম্প দু’জনই
অমিমাংসিতভাবেও শেষ হতে পারে আমেরিকার এ নির্বাচন প্রক্রিয়া। আমেরিকার সংবিধানে ইলেক্টোরদের বাধ্য করার কোনো বিধান রাখা হয়নি। তাই, যদি কোনো ইলেক্টোরাল সদস্য ট্রাম্প বা হিলারি কাউকেই ভোট না দিতে চান সেটাও করতে পারেন। আবার কোন প্রার্থীই যদি ২৭০ ভোট না পায়, সেক্ষেত্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ। আর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট।

তাই বারাক ওবামার উত্তরসূরি কে হচ্ছেন তা জানাতে অপেক্ষায় থাকতে হবে আসছে বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত।

আরআর


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ