বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


মাওলানা সা’দ সাহেবের রুজু বিষয়ে জরুরি ঘোষণা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

deubond_sadআওয়ার ইসলাম: ভারতের তাবলিগ মারকাজ নিযামুদ্দীনের মুরুব্বি মাওলানা মুহাম্মদ সাদ কান্ধলভির বিতর্কিত বক্তব্যের রুজু বিষয়ে গতকাল রাতে আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমে ‘শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রুজু করলেন হজরত মাওলানা সাদ' শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশ করা হয়৷

প্রতিবেদনটির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেলেও দারুল উলুম দেওবন্দের অফিসিয়াল ওয়েব সাইটে আপলোড না হওয়ায় পাঠক মহলে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। দেওবন্দ থেকে অনেক শিক্ষার্থীসহ বাংলাদেশের অনেক আলেম ফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন।

দেওবন্দ সূত্রে জানা গেছে, মাওলানা সাদ কান্ধলভীর পক্ষ থেকে রুজু বিষয়ে একটি চিঠি দারুল উলুম দেওবন্দে এসেছে এবং বিষয়টি নিয়ে দেওবন্দের শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন। বিষয়টি আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে দুজন প্রতিনিধিকে নিযামুদ্দীনে পাঠানো হয় চিঠির বিষয়ে পরিষ্কার হওয়ার জন্য। কিন্তু এরই মধ্যে মাওলানা সাদ কান্ধলভির বুধবার সকালে দেয়া বক্তব্যে আরো বিতর্কিত বিষয় উত্থাপনের অভিযোগ এলে প্রতিনিধিদের ফেরত আনা হয়। এবং বিষয়টি সময় নিয়ে ভেবে দেখার সিদ্ধান্ত হয়।

দারুল উলুম দেওবন্দের এ সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এবং ওলামায়ে দেওবন্দের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি অটুট রেখে আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের গতকালের প্রতিবেদনটি প্রত্যাহারের করা হলো। এ বিষয়ে পরবর্তীতে দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগ যে সিদ্ধান্ত নেয় আমরা তা জানাবো ইনশাআল্লাহ।

এদিকে দারুল উলুম দেওবন্দের অনলাইনের পরিচালক ডক্টর মুফতি ইয়াসির নাদিম আল ওয়াজদি তার ফেসবুক পেজে লিখেন, আজ সকালে হজরত মুহতামিম সাহেব দারুল ইফতায় আগমন করেন এবং একটি বৈঠক করেন, যাতে দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগের মুফতিয়ানে কেরাম উপস্থিত ছিলেন৷ অধমও তাদের পেছনে বসা ছিলো৷ হজরত মুহতামিম সাহেব বললেন, হজরত মাওলানা মুহাম্মদ সাদ কান্ধলবি সাহেবের তরফ থেকে একটি রুজুনামা এলো, যাতে স্পষ্টভাবে হজরতের রুজুর বিষয়টি উল্লেখ ছিলো৷ আর গতকালের বৈঠকে আপনারা (মুফতিয়ানে কেরাম) উপস্থিত ছিলেন৷ আমরা এরপরে একটি পত্র তৈরি করে দুজন প্রতিনিধি মারফত প্রেরণ করি৷ কিন্তু বিকেলে হজরত মাওলানা সাইয়িদ আরশাদ মাদানি সাহেবের ফোন এলো৷ তিনি বললেন, আমি দিল্লি যাচ্ছি৷ আমি আজ ভোরে হজরত মাওলানা সাদ সাহেবের একটি বয়ান শুনেছি, যাতে তিনি হজরত মুসা আলাইহিস সালামের ব্যাপারে সেই পুরোনো অগ্রহণযোগ্য আপত্তির কথাটিই উল্লেখ করলেন৷ বরং আরও বহু প্রশ্ন উত্থাপনযোগ্য কথা বললেন৷ এরপর হজরত বৈঠকের উপস্থিতিদের সেসব কথা শুনিয়ে দিলেন, যেগুলি প্রশ্ন উত্থাপনযোগ্য ছিলো৷ এরপর হজরত স্পষ্ট করলেন, দারুল উলুম দেওবন্দের এখনও ঐ অবস্থান এ ব্যাপারে, যা আগে ছিলো৷ আপনাদের কাছে অনুরোধ, কেউ এ ব্যাপারে গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে কাউকে কিছু না বলুন৷ এখন হজরত সফরে রয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, ফেরার পরে পরামর্শ করা হবে ইনশাআল্লাহ৷ আল্লাহ হজরতকে সুস্থতা দান করুন এবং হজরতের সফরের ক্লান্তি সহজ করে দিন৷ আমিন৷

নাদিম ওয়াজদি সূত্রে জানা যায়, প্রতিনিধি দুজন দেওবন্দ থেকে রওনা হয়ে দিল্লির কাছাকাছি গাজিয়াবাদ পর্যন্ত যখন পৌঁছোয়, তখন হজরত আরশাদ মাদানি সাহেবের ফোন আসে৷

উল্লেখ্য, ইয়াসির নাদিম সকালে এই পোস্টটি দেয়ার পর মুহতামিম সাহেবের নিষেধের কারণে সেটি দুপুরে ডিলেট করে দেন।

আশা করি এ বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি থেকে সবাই বিরত থাকবেন।

-সম্পাদক


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ