শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
ইসরায়েলে হামলা: ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’

রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালনে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি; হক্কানি আলেমদের উদ্বেগ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

eidআওয়ার ইসলাম: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা. সর্বোচ্চ মর্যাদায় ও সর্বোচ্চ পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যাপকভাবে পালনের লক্ষ্যে ১২ দফা দাবিতে সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ আন্তর্জাতিক উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল ৭ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকা জেলা প্রশাসক মুহম্মদ সালাউদ্দিনের কাছে হস্তান্তর করেন। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি ও বাংলাদেশ আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি লায়ন মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, সম্মিলিত গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, বঙ্গবন্ধু ওলামা ফাউন্ডেশনের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী, সাংবাদিক মুক্তাদুল ইসলাম প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে উত্থাপিত ১২ দফা দাবীর মধ্যে রয়েছেঃ রাসূল সা. এর শানে মানহানিকর বক্তব্য, লেখা, প্রকাশনা, টিভি প্রোগ্রাম, রেডিও প্রোগ্রাম, ইন্টারনেটে স্ট্যাটাসসহ যে কোন বিষয় প্রচার, প্রকাশ ও প্রদানকারীর শাস্তি শুধুমাত্র মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। মানহানিকর সকল বিষয় নিষিদ্ধ করতে হবে এবং দোষী ব্যক্তির শাস্তি কার্যকরে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এ ছাড়াও স্মারকলিপিতে অন্যতম দাবি হিসেবে উত্থাপন করা হয়েছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা. পালনে সরকারিভাবে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করা।

এছাড়াও মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, ইয়াতিমখানা, জেলখানা, ভবঘুরে কেন্দ্রসহ সামাজিক প্রতিষ্ঠানসমূহে বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা, দেশের সকল বিভাগ, জেলা, থানাভিত্তিক তথা সারাদেশব্যাপী সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। স্মারকলিপি গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক নিজ জেলা ঢাকায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঈদে মিলাদুন্নবীর সা. কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রদান করেন।

এদিকে ঈদে মিলান্নবী সা. রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনে হক্কানি আলেমদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। গতকাল থেকে আওয়ার ইসলামকে ফোন করে অনেক আলেম বিষয়টির প্রতিবাদ জানান এবং এ সংক্রান্ত বিষয়গুলো পরিষ্কার করে তুলে ধরার আহ্বান জানান। তাদের বক্তব্য, ইসলামি শরিয়তে ঈদে মিলাদুন্নবী সা. পালনের কোনো ইতিহাস নেই। এটি নব্য সৃষ্টি যা বেদাতিরা করে থাকে। সরকারকে এ বিষয়টি আরো ভালো করে খেয়াল রাখতে হবে বলে তারা মনে করেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ইসলামি ফিকহ একাডেমি’র সেক্রেটারি মুফতি মুহাম্মদ আমিমুল ইহসান বলেন, আমরা রাসুল ও পরবর্তী তিন যুগে  ঈদে মিলাদুন্নবী নামে কোনো জিনিস পাইনি। হক্কানি ও আহলে সুন্নাতের আকিদা হলো সিরাতুন্নবী সা. অনুসরণ। সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে জনগণের মধ্যে সিরাতের চর্চার প্রসার করতে পারে এতে করে দেশে নৈতিকতা বৃদ্ধি পাবে এবং জঙ্গি বা সন্ত্রাসবাদ থাকবে না। কিন্তু দেশের বৃহৎ হক্কানি গোষ্ঠীর বাইরে বিছিন্ন কিছু মানুষ ও দলের কথায় একটা বেদাতি কর্মকাণ্ডকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের উদ্যোগ ক্ষতি ছাড়া কিছুই হবে না।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ