বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫


হাজারও পাঠক যখন বলে হৃদয় গলে সিরিজ পড়ে হু হু করে কেঁদেছি, তখন নিজের চেষ্টাকে সফল মনে হয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

mufijul-islam

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম। হৃদয় গলে সিরিজ লিখে যিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন সারা দেশে। তৈরি হয়েছে অসংখ্য ভক্ত পাঠক। উপকৃত হয়েছে হাজারও মানুষ। আওয়ার ইসলামের পাঠকদের জন্য নেয়া হলো এই মানুষটির জীবনভিত্তিক সাক্ষাৎকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আওয়ার ইসলামের নরসিংদী জেলা প্রতিনিধি উমায়ের আহমদ

 আওয়ার ইসলাম : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আমাদের সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আমার মতো একজন সাধারণ মানুষের সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য আপনারা এত দূর থেকে কষ্ট করে এসেছেন এজন্য আপনাদেরও অন্তরের অন্তস্থল থেকে মোবারকবাদ জানাই।

আওয়ার ইসলাম : আপনার নিজের সম্পর্কে এবং আপনার শিক্ষা জীবনের বিস্তাতি জানতে চাই।

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার ভাদুঘর গ্রামে ১৯৭১ সালে আমার জন্ম। বাবার নাম আলহাজ্ব আব্দুল আজীজ, মায়ের নাম মানিক চান নেসা।

ছোটবেলায় আমি স্থানীয় মক্তবে হাফেজ মাওলানা শহীদুল্লাহ সাহেবের কাছে পবিত্র কুরআন শিখি। তার কাছে আমি কয়েক পারা কুরআন মুখস্থও করি। এরপর ভাদুঘর পূর্ব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করি। নিয়াজ মুহাম্মদ হাইস্কুলে ভর্তি হই এবং ১৯৮৮ সালে এসএসসি পাশ করি। এরপর বি-বাড়িয়া সরকারী কলেজে ইন্টারমিডেট পর্যন্ত পড়াশুনা করি।

ছাত্রজীবনে আমি তাবলিগে বেশ সময় দেই এবং এই মেহনতের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়ি। এসময় আমার মনে আলেমগণের অশেষ ফজিলত ও উচ্চ মর্যাদার কথা শুনে আলেম হওয়ার তীব্র বাসনা জাগে। ফলে ইন্টারমিডেট পরীক্ষা দেওয়ার পর আমি ঢাকা মিরপুর ১২ নম্বরে অবস্থিত মাদরাসা দারুর রাশাদে ভর্তি হয়ে ৫ বছরের কোর্সে ১৯৯৫ সালে দাওরায়ে হাদিস শেষ  করি। তারপর উস্তাদগণের নির্দেশ ও পরামর্শক্রমে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজ থেকে ডিগ্রি এবং তেজগাঁও কলেজে এডমিশন নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করি।

আওয়ার ইসলাম : স্কুল থেকে হঠাৎ করে মাদরাসায় চলে এলেন, এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো বা ঘটনা।

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : আমি আগেই বলেছি, দাওয়াতের মেহনতের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার পর আমার মনে আলেম হওয়ার ইচ্ছা জাগে। দিন যতই যাচ্ছিল এই ইচ্ছা ততই তীব্রতর হচ্ছিল। একদিন আমি মাগরিব নামাজের পর আমাদের গ্রামের ভূইয়া পাড়া মসজিদে বয়ান করছিলাম। শ্রোতাদের মধ্যে তখন নাদিয়াতুল কুরআনের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল ওয়াহ্হাব ভূইয়া রহ.ও উপস্থিত ছিলেন। বয়ান শেষে তিনি আমাকে কাছে ডাকলেন। তারপর বড়ই মমতার সাথে বললেন, তুমি এক কাজ করো। আমার মেয়ের জামাই মাওলানা হাবীবুর রহমান মাদরাসা দারুর রাশাদের শাইখুল হাদীস। তুমি ওই মাদরাসায় ভর্তি হয়ে আলেম হয়ে যাও। ওখানে ৫ বছরেই আলেম হওয়ার সুব্যবস্থা আছে। তার একথা শুনে আমার মনের বাসনাটি আরও তীব্র হয়ে উঠে। আমি তাঁকে বললাম, ঠিক আছে, আমি আব্বা-আম্মার সাথে এ ব্যাপারে পরামর্শ করব।

পরামর্শ করলাম। আম্মা সহজেই রাজি হলেন। কিন্তু আব্বা রাজি হলেন না। তার ইচ্ছে ছেলেকে তিনি ম্যাজিস্ট্রেট, ব্যরিস্টার কিংবা সরকারি কোনো বড় কর্মকর্তা বানাবেন। এ সময় আমি জানতে পারলাম, ইলমে দীন শিক্ষা করা যেহেতু ফরজ, তাই বাবার অমতেও দীন শিক্ষার জন্য কোথাও গেলে কোনো গোনাহ হবে না। তাই অবশেষে আমি আল্লাহর উপর ভরসা করে মাদরাসায় ভর্তি হয়ে যাই। পরবর্তীতে অবশ্য আব্বা তার ভুল বুঝতে পারেন এবং আলহামদুলিল্লাহ, তিনি এখন আমাকে নিয়ে গর্বও করেন।

আওয়ার ইসলাম : লেখালেখিতে কবে কিভাবে এলেন?

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : আজ থেকে প্রায় ২০/২৫ বছর আগে আমি যখন মাদরাসা দারুর রাশাদে পড়াশুনা করি তখন একটি বিষয় খুব গভীরভাবে উপলব্ধি করি, লেখালেখির ময়দানে বাংলাদেশে কওমি উলামায়ে কেরামের পদচারণা নিতান্তই কম। বামপন্থী লেখকদের তুলনায় তাঁদের বই-পুস্তক খুবই অপ্রতুল। এসব বাম লেখকরা তাদের লেখনি দ্বারা অসংখ্য মানুষের মগজকে দিন দিন ধোলাই করে তাদের দলে ভিড়িয়ে নিচ্ছে। ধর্ম পালনের আগ্রহকে ধীরে ধীরে শেষ করে দিচ্ছে। সেইসাথে উলামায়ে কেরাম থেকে জনসাধারণকে অতি কৌশলে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। এই উপলব্ধি থেকেই মূলত আমার লেখালেখিতে আসা।

দারুর রাশাদে পড়াশুনা করার সময় আমি মাঝে মধ্যে দেয়াল পত্রিকা বের করতাম। কখনো মাসিক পত্রিকায়ও লেখা পাঠাতাম। তাছাড়া আমার প্রিয় উস্তাদ মাওলানা হাবীবুর রহমান সাহেবের বিভিন্ন বইয়ের কাজে সহযোগিতা করতাম। কিছু কিছু অনুবাদও করতাম। এভাবেই ছাত্রজীবন থেকেই আমার লেখালেখির হাতেখড়ি।

আওয়ার ইসলাম : আপনার প্রথম বইয়ের নাম কী? কবে প্রকাশিত হয়?

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : উস্তাদ শাগরেরেদ হক ও তালীম তারবিয়তের তরীকা এটি আমার অনূদিত প্রথম গ্রন্থ। এর মূল লেখক হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ.। প্রথম প্রকাশ হয় ১৯৯৬ সালে।

আওয়ার ইসলাম : হৃদয় গলে সিরিজ কবে থেকে শুরু করেন? এ পর্যন্ত এই সিরিজের বইয়ের সংখ্যা কত?

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : হৃদয় গলে সিরিজ প্রথম প্রকাশ হয় ২০০২ সালের অক্টোবর মাসে। এ পর্যন্ত এই সিরিজের ৮০টি বই বের হয়েছে।

আওয়ার ইসলাম : সবগুলো বই কি একই প্রকাশনী থেকে বের হয়েছে?

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : না। প্রথম ৫০টি বই বের হয়েছে ‘ইসলামিয়া কুতুবখানা’ থেকে। বাকি ৩০টি বই বের হয়েছে ‘মাকতাবাতুত তাকওয়া’ থেকে।

আওয়ার ইসলাম : সিরিজটি কত পর্যন্ত চালাতে চান?

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : আল্লাহ তাআলা তাওফীক দিলে আরও ২০টি খণ্ড বের করে ১০০ খণ্ড পূর্ণ করার ইচ্ছা আছে।

আওয়ার ইসলাম : বাকিগুলোর কাজ ধরেছেন?

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : হ্যাঁ, আগামী ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যেই সবগুলো না পারলেও অন্তত ৮/১০টি বই বের করার ফিকির করছি।

আওয়ার ইসলাম : সেগুলো কি গল্পের বই হবে না অন্য কোনো বিষয়ের?

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : না, সবগুলো গল্পের বই হবে না। অন্য বিষয়ের বইও থাকবে। যেমন ‘মাযহাব ও আহলে হাদীস : একটি নিরপেক্ষ পর্যালোচনা’, ‘আদর্শ উস্তাদ আদর্শ ছাত্র’, ‘আত্মার চিকিৎসা দেহের চিকিৎসার চেয়েও জরুরি’ ইত্যাদি।

আওয়ার ইসলাম : হৃদয় গলে সিরিজ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে, আপনি আপনার চেষ্টায় সফল হয়েছেন বলে মনে করেন?

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : হাজার হাজার পাঠক যখন অসংখ্যবার ফোন দিয়ে কিংবা সরাসরি সাক্ষাত করে বলে, ‘হুজুর! আপনার বই পড়ে কত যে চোখের পানি ঝরিয়েছি, কতবার যে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বাচ্চাদের মতো কেঁদেছি, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।’ ‘হুজুর! আপনার বইগুলো পাষাণ হৃদয়কেও মোমের মতো গলিয়ে দিতে সক্ষম।’ তখন মনে হয়, আল্লাহর অসীম কৃপায় আমি আমার চেষ্টায় সফল হয়েছি।

আওয়ার ইসলাম : আপনি লেখালেখিতে নিজের পরিশ্রমকে সার্থক বলে মনে করেন?

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : হ্যাঁ। কারণ এ পর্যন্ত অন্তত কয়েক হাজার পাঠক হৃদয় গলে সিরিজ পাঠ করে নিজের জীবনে অভূতপূর্ব পরিবর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছেন। কিছু পাঠক-পাঠিকার এ ধরনের অভিব্যক্তিগুলো সিরিজের শেষের দিকে ছাপানো হয়েছে। কেউ ইচ্ছে করলে দেখে নিতে পারেন।

আওয়ার ইসলাম : হৃদয় গলে সিরিজটা মাসুদ রানা বা তিন গোয়েন্দা সিরিজের অনুকরণে তেরি?

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : না আমি মাসুদ রানা কিংবা অন্য কোনো সিরিজের অনুকরণ করি না।

আওয়ার ইসলাম : এই যে লেখালেখি করছেন দীর্ঘ দিন ধরে, এর দ্বারা আপনার মূল উদ্দেশ্য কী?

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : লেখালেখির মাধ্যমে আমি এমন একটি সুন্দর সমাজ গড়তে চাই যে সমাজের প্রতিটি মানুষ হবে আদর্শ, দীনদার, নেককার, খোদাভীরু ও চরিত্রবান। মানুষের প্রতি যাদের ভালোবাসা হবে আকাশচুম্বি, দয়া-মায়া ও মানবতার গুণে যারা হবে বিশেষভাবে গুণান্বিত; যাদের মধ্যে থাকবে পথহারা মানুষকে আল্লাহর সাথে জুড়িয়ে দেওয়ার এক অন্তহীন বাসনা।

আওয়ার ইসলাম : আপনার লেখা কি জাতীয়মানের লেখকদের মতো মানোত্তীর্ণ?

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : সে দাবি করার দুঃসাহস আমার নেই।

আওয়ার ইসলাম : এতগুলো বই লিখেও আপনি কোনো পুরস্কার বা সম্মাননা পাননি এতে কি আপনার কোনো ক্ষোভ আছে?

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : কোনো পুরস্কার বা সম্মাননা পাইনি- কথাটি ঠিক নয়। গত ২০১৫ সালে ‘মাসিক সত্যের সন্ধানে’র [বর্তমান নাম মাসিক আলোর পথ] পক্ষ থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আমাকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। আর ক্ষোভের কথা বলছেন! ক্ষোভ থাকবে কেন! আমি তো কোনো কোনো পুরস্কার বা সম্মাননা পাওয়ার জন্য লিখি না। আমার লেখালেখি যদি মহান আল্লাহ উম্মতের হেদায়েতের জন্য কবুল করে নেন, তবেই আমি আমার শ্রমকে স্বার্থক বলে মনে করব। আমি তো আমার পুরস্কার তাঁর কাছ থেকেই নেব।

আওয়ার ইসলাম : আপনি জনপ্রিয় একটি সিরিজের উদ্ভাবক, কিন্তু মিডিয়ায় আপনার উপস্থিতি দেখি না কেন?

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : একটি লেখা তৈরি করতে অনেক শ্রম দিতে হয়, অনেক কষ্ট করতে হয়। আমার কাছে কেন জানি মনে হয়, এত কষ্ট করে তৈরিকৃত একটি লেখা মাত্র একদিন পড়েই শেষ! হতে পারে আমার এ চিন্তাটি ভুল। কিন্তু তারপরেও আমার কাছে এমনটিই মনে হয়। তাই দৈনিক পত্রিকায় লেখা না দিয়ে আমি গ্রন্থ রচনায় মনোনিবেশ করেছি। যাতে যুগ যুগ ধরে মানুষ তা থেকে উপকৃত হতে পারে।

আওয়ার ইসলাম : আমরা জানি, দেশ-বিদেশের পাঠকগণ বই পাঠ করার পর আপনার কাছে অভিব্যক্তি বা মতামত প্রকাশ করে। সেইসব মতামত থেকে কার মতামতটি পেয়ে আপনি সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ হয়েছিলেন?

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : আসলে অসংখ্য পাঠকের অসংখ্য মতামতই আমাকে মুগ্ধ করেছে। তবে ভারত থেকে প্রেরিত এক বৃদ্ধের মতামতটি আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছে।

আওয়ার ইসলাম : তার মতামতটি কি আমাদের একটু জানাবেন?

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম : হ্যা বলছি। বৃদ্ধের নাম মুহাম্মদ সামসুল হক মোল্লা, চিত্রশালী, সীতাকুণ্ড, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, ভারত। তিনি তার মতামত জানিয়ে লিখেছেন, আমি একজন ৮০ বছরের বৃদ্ধ। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, এই বুড়ো বয়সেও আমি প্রেমে পড়েছি। শুনে নিশ্চয়ই
আশ্চর্য বোধ করছেন। এখানে আশ্চর্য হওয়ার কী আছে? বুড়ো বয়সে কি মানুষ নতুন করে প্রেমে পড়ে না? থাক আশ্চর্য হয়ে লাভ নেই। ব্যাপারটা তাহলে খুলেই বলি- একদিন আমার এক ছেলে হৃদয় গলে সিরিজের কয়েক খানি বই নিয়ে আসে। আমি ওর কামরায় গিয়ে  বইগুলো দেখতে পাই এবং সঙ্গে সঙ্গে পড়া শুরু করি। সত্যি বলতে কি, কিছুক্ষণ পড়ার পর আমি হৃদয় গলে সিরিজ ও আপনার প্রেমে পড়ে যাই। শুধু প্রেমে পড়ে যাই বললে ভুল হবে, বরং প্রেমে পড়ে হাবুডুবু খেতে থাকি। এই হলো আমার সংক্ষিপ্ত প্রেম কাহিনী। যে কাহিনী আপনাকে না জানানো পর্যন্ত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারিনি। পরিশেষে দু'আ করি, আপনি ও আপনার সহযোগী যারা এই সিরিজের জন্য জান-মাল, বুদ্ধি ও শ্রম দিয়ে সাহায্য করছেন, প্রচার প্রসারের জন্য দিন-রাত মেহনত ও ফিকির করে যাচ্ছেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের সবাইকে উত্তম প্রতিদান নসীব করুন। আমীন।

আওয়ার ইসলাম : আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম সম্পর্কে কিছু বলুন।

মাওলানা মুহাম্মদ মুফীজুল ইসলাম: আমার জানা মতে, এই ওয়েবসাইটটি ইসলাম প্রচার ও মানবতার কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। পথচলা আরো দীর্ঘ হোক এই কামনা করি।

হৃদয়গলে সিরজের বইগুলো পড়তে বা কিনতে এখানে ক্লিক করুন

 

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ