বুধবার, ০৮ মে ২০২৪ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫


‘তাতারীদের ইতিহাস’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শনিবার বিকালে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

book

আওয়ার ইসলাম : আগামীকাল ৩রা ডিসেম্বর শনিবার বিকালে যাত্রাবাড়ী কিতাব মার্কেট অনুষ্ঠিত হবে তাতারীদের ইতিহাস গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। তাতারীদের ইতিহাস গ্রন্থের মূল লেখক ড. রাগেব সারজানী রচিত, বাংলাভাষায় অনুবাদ করেছেন, মাওলানা আবদুল আলীম। কাল গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।অনুষ্ঠানের  প্রধান অতিথি : মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন। তাতারীদের ইতিহাস গ্রন্থের ভূমিকায় জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়ার শিক্ষা সচিব, লেখক গবেষক মাওলানা মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন বলেছেন,  ড. রাগেব সারজানী একজন আধুনিক আরবলেখক। ইসলামের প্রতি আস্থা ও ভালোবাসা, ইসলামের ইতিহাসের প্রতি দরদ ও শ্রদ্ধা―তার চোখের তারায় যে আগামীর স্বপ্ন আঁকে―সেই স্বপ্ন বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতেই তার লেখালেখি। এই স্বপ্ন ছবি হয়ে উড়ে বেড়ায় তার রচনার ছত্রে ছত্রে।

বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটির আলোচ্য বিষয় বর্বর তাতারীদের ঘৃণ্য জঘন্য ইতিহাস। লেখক প্রতিষ্ঠিত সত্যের পাটাতনে দাঁড়িয়ে বলে গেছেন ইতিহাসের দাস্তান। সেই সঙ্গে ইসলামের শাশ্বত বিশ্বাস বরিত চরিত্র এবং মুসলমানদের রক্তে নির্মিত ঐতিহ্য ও আদর্শের প্রতি যত্নবাস থেকেছেন পূর্ণ সতর্কতায়। লেখকের গদ্য শক্তিমান ও প্রাঞ্জল।

আরবী আধুনিক এবং বর্ণনাভঙ্গি ঋজু। ইতিহাসের গ্রন্থ বলে শব্দব্যবহারে ভাষাপ্রাচুর্যও লক্ষণীয়। সবমিলিয়ে তাতারীদের ইতিহাস একটি বর্ণাঢ্য রচনা।

দুই. উত্থান-পতনই এই পৃথিবীর জীবনছন্দ এবং যুদ্ধে পরাজয় কোনো বীরের জন্যে সাময়িক অপমান হতে পারে, আবার সেটাই হতে পারে তার জাতির জন্যে বিজয়ের পাঠ ও পাঠশালা। যেকোনো সভ্য জাতির জন্যে ইতিহাস-ঘনিষ্ঠতার এবং ইতিহাস-মুখিতার রহস্যও হয়তো এটা। তাই যে জাতি তার পেছনের ইতিহাস সংরক্ষণ করে না, পড়ে না, চর্চা করে না―সে জাতি কোনো দিন বুক টান করে দাঁড়াতে পারে না। এ কারণেই আমাদের পূর্বসূরি মনীষীগণ শত্রুর কয়েদখানায় বসেও জিহাদের দাস্তান লেখতে ভোলেননি। কয়লার কালিতে, কাফনের কাপড়ে ইতিহাস লেখার ইতিহাস তো আমাদেরই।

তিন. মাওলানা আবদুল আলীম অসামান্য মেধাবী এক তরুণ। ঈর্ষণীয় প্রতিভার অধিকারী এই তরুণ আলেম। ভেবে দেখেছি―কলমই তার যথার্থ জগৎ। আধুনিক এই আরবী গদ্যের অনুবাদে তিনি আমাকে আশান্বিত করেছেন। আমি তার অনুবাদ পড়ে মুগ্ধ হয়েছি। আমাদের তরুণ পাঠকগণ এই বই পড়ে অনুবাদ নয়―মৌলিক গদ্যের স্বাদ পাবেন ইনশাআল্লাহ। আর পড়তে পড়তে কখনও বা কাতর হবেন বেদনায়, আবার কখনওবা মনের অজান্তেই প্রবল ক্ষোভে মুষ্টিবদ্ধ হয়ে উঠবে হাত। বড় আনন্দের কথা, জাতির কর্ণধার আলেমসমাজ কলমের নেতৃত্বে শক্ত পোক্তভাবে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। তাদের বহুরৈখিক রচনাসম্ভার এবং দৃষ্টিনন্দন প্রকাশনার মুখ দেখে শয়তানপাড়ায় গাত্রদাহ শুরু হয়েছে আরও আগেই। আমাদের সৃজনশীল এই সত্যসংগ্রামে বাণিজ্য নয়―আদর্শের শপথে যারা সময় স্বপ্ন সম্পদ অবারিত হাতে বিলিয়ে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে মাকতাবাতুল হাসান পরিবার অন্যতম। এই গ্রন্থ তার বিষয় তথ্যশক্তি টার্গেট এবং ভাষার সৌকর্যে আমাদের বাঙলা সাহিত্যে একটি উত্তম সংযোজন বলে বিবেচিত হবে। ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ দয়াময় এর লেখক প্রকাশককে কবুল করুন। আর অনুবাদক প্রিয় আবদুল আলীমকে ঠাঁই দিন তার প্রিয় কলমসৈনিকদের বরিত কাফেলায়। আমীন।

মাওলানা আবদুল আলীম কাল গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

আআ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ