রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত নারী সংস্কার কমিশন ও প্রস্তাবনা বাতিলের দাবি খেলাফত মজলিসের

রিজার্ভের ১ কোটি ৫০ লাখ ফেরত পেলো বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

riserve

আওয়ার ইসলাম:  রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ রিজার্ভ থেকে চুরি যায় মোট ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। শুক্রবার ফিলিপাইনের একটি আদালত তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ১৫ মিলিয়ন (দেড় কোটি ডলার) বাংলাদেশ ব্যাংককে দিতে নির্দেশ দেন। এরপর ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিদলকে নগদে দেড় কোটি ডলার বুঝিয়ে দেয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজি হাসান জানান, শুক্রবার ফিলিপাইনের এএমএলসি’র কাছ থেকে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ নগদ এই অর্থ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ বিভাগের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে তিনি এ অর্থ গ্রহণ করেন। গৃহীত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছে।

চুরি যাওয়া এই অর্থ ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের মহাব্যবস্থাপক দেবপ্রসাদ দেবনাথের নেতৃত্বে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলটি গত ৭ নভেম্বর ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় যায়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে একটি নামের বানান ভুলের কারণে শ্রীলংকায় যাওয়া ২ কোটি ডলার ছাড় হয়নি।তবে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের মাকাতি শাখায় যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের প্রায় পুরোটাই ছাড় করা হয়। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাইবার চুরির ঘটনা। এ ঘটনা ফাঁসের পর বিশ্বজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। প্রশ্ন উঠে আর্থিক বার্তা প্রেরণের মাধ্যম সুইফট ও ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।

বিভিন্ন পক্ষের তৎপরতায় ফিলিপাইনের সিনেটে কয়েক দফা শুনানি শেষে কিম অং তার আইনজীবীর মাধ্যমে চার দফায় এক কোটি ৫২ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ জমা দেন। এরপর দেশটির মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ কাউন্সিলে (এএমএলসি) জমা হওয়া অর্থ পরে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হয়। এখন তা বাংলাদেশের অনুকূলে অবমুক্ত করতে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আদেশ দেন দেশটির আঞ্চলিক বিচারিক আদালত।

এ বি আর


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ