শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


চাঁদপুরের টুপিতে চলে সারাদেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

tupiআশিক বিন রহিম: ছোট্র পরিসরে হলেও চাঁদপুর জেলার প্রথম ও একমাত্র টুপি তৈরির কারখানা ‘রিপন ক্যাপ প্রোডাক্টস’। বর্তমানের এই কারখানায় ৩০ জন নারী ও পুরুষ কাজ করে তাদের জীবীকা নির্বাহ করছেন।

চাঁদপুর-রায়পুর সেতু সড়কের পূর্ব পাশে মাজার রোডে অবস্থিত এই কারখানার তৈরী টুপি সুনামের সাথে বিক্রি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার চান্দ্রা এলাকার মো. শাহাদাত হোসেন রিপন সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজের এ কুটির শিল্পকে দাঁড় করিয়েছেন। রিপন স্বপ্ন দেখেন তার তৈরি টুপি একদিন মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে রফতানি হবে।

এতে তার ছোট্ট কারখানার আয়তন বাড়ার পাশা পাশি এখানে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে অখংখ্য বেকার নারী-পুরুষের।

যা এই জেলার বেকারত্ব দূর করণে সামান্য হলেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে। কিন্তু অল্প পুঁজির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হওয়ায় তার সে স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেছে।

সম্প্রতি চাঁদপুর-রায়পুর সেতু সড়কের পূর্ব পাশে মাজার রোডে রিপনের টুপি কারখানায় গিয়ে নানা কারুকাজ ও বিভিন্ন মানের টুপি তৈরি করতে দেখা যায় শ্রমিকদের।

নারী-পুরুষ শ্রমিকরা কেউ হাতে কেউবা মেশিনে টুপি তৈরি করছেন। বেশিরভাগ নারী-পুরুষ অভিজ্ঞতা ছাড়াই এখানে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে তারা দক্ষ শ্রমিক। বর্তমানে তাদের অধিকাংশের মাসিক বেতন ১২ হাজার টাকা।

কারখানার মেশিন অপারেটর সুজন আলম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘কানো ধরণের অভিজ্ঞতা ছাড়াই এ কারখানায় কাজ করতে আসেন তিনি। গত এক বছরে তিনি টুপি তৈরির কাজ ভালোভাবে রপ্ত করতে পেরেছেন।;

কারখানার নারী শ্রমিক পারভীন বেগম জানান, ‘তিনি স্থানীয় বাসিন্দা। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এখানে কাজ করেন। এখান থেকে যে মজুরি পান তা সংসারের জন্য ব্যয় করেন। এলাকায় এ ধরণের আরো কারখানা গড়ে উঠলে এলাকার বেকারদের কর্মসংস্থান সৃস্টি হতো বলে মনে করেন তিনি।’

রিপন ক্যাপ প্রেডাক্টসের সত্ত্বাধিকারী শাহাদাত হোসেন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘ঢাকার একটি টুপি তৈরির কারখানায় কাজ শিখেছিলেন। গত দুই বছর আগে গ্রামে ফিরে ছয় লাখ টাকা বিনিয়োগে এ কারখানা চালু করেন। কিন্তু সমিতি থেকে ঋণ নেওয়ার কারণে ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পারছেন না। ব্যাংক বা বিসিক থেকে সহজ শর্তে ঋণ পেলে তিনি ব্যবসা বৃদ্ধি করতে পারতেন। সেইসঙ্গে আরো মানুষের কর্মসংস্থান হতো।’

রিপন আরো জানান, ‘তার কারখানায় যে মানের টুপি তৈরি হয় তা বিদেশে রফতানিযোগ্য। তার এখানে ৩৫ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা মূল্যের টুপি তৈরি হয়। এসব টুপি চাঁদপুরসহ ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিক্রি হচ্ছে।’

তার এখানে তৈরি টুপি মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে রফতানির করার স্বপ্ন দেখন রিপন। তবে অল্প পুঁজির ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হওয়ায় তার সে স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে।

এদিকে জেলার সচেতন মহলের দাবি, রাজধানী ঢাকা ও বাণিজ্যিক নগরী চট্রগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জেলার সাথে চাঁদপুরের সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। এখন এই জেলার শিল্পপতিরা যদি রিপনের মতো এখানকার বেকারত্ব দূর করনে এগিয়ে আসে তবে চাঁদপুর হয়ে উঠতে পারে দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ