শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


আদিত্য আনামের দুটি কবিতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

aditta-anam

ইদানিং

দৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দুটা যখন জণ্ডিসাক্রান্ত রোগীর মতোন হলুদ হয়ে যায়
কিংবা খোঁড়া পাখিটার মতোন কদাচিৎ আড়াল হয়ে যায় চোরাচালানে,
তখন খুব নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় বিশ্বাসের বাইপাসে।
চোখের তারায় একে একে ভিড় জমায়
তুমুল অনাদরে জমতে থাকা বিদেহী শ্রাবণ।
সাত'শকোটি মানুষের ভাসমান জাহাজে
দু'এক ডজন মুখস্তমানুষ ছাড়া বাকিগুলো অজ্ঞাতবৃক্ষদল কিংবা
বিভৎস অরণ্যের মতো লাগে।
জঞ্জাল আর জঙ্গল কাঁধে নিয়ে প্রত্যহ নিক্তি দিয়ে মাপি
গন্তব্যের পথে কুড়িয়ে পাওয়া প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির নুড়িপাথর।
কে যেন সান্তনার ইস্টিশনে আমাকে নহরধারার জল খাওয়াবে বলে

দু'মিনিট ওয়েটিং রুমে বসিয়ে রেখে
আর কোনোদিন ফিরে না আসার ক্ষুদেবার্তা টেক্সট করে প্রতিট্রেনের হুইসেলে।
অলিখিত আকাশ পথে হাটুরে মেঘদের হেঁটে যাওয়া দেখে

হঠাৎ মনে পড়ে যায়, 'আমি এক পর্যটকপাখির যাত্রাবিরতি সখ্যতা'।

বিষন্নতায় নিমজ্জিত লোকটিকে

তোমার শীতার্ত অঞ্চলে জমে গ্যাছে কয়েক লক্ষ মিলিয়ন হিম।
তোমাকে দেখলেই কেবল মনে পড়ে তোমাদের কথা।
কি দুঃসহ নির্জনতা নিয়ে বেঁচে আছো!
কি নির্মম পাথরের নীচে ফেলে রেখেছো তোমাদের প্র্যাগমেটিক স্বপ্নাবলি।

অথচ, এইসব স্বপ্নেরা একদিন ভীষণ স্বপ্নময়ী ছিলো
মাছের চোখের মতো তোমাদের চোখেরা
একদিন ঝলমল করতো উল্লসিত আনন্দের ইশারায়,
কিন্তু আজ তোমাদের চোখজুড়ে ভেসে ওঠে
স্যাঁতসেঁতে মাটির মতো ঘিনঘিনে নর্দমার প্রতিবিম্ব।

অনন্ত দুঃসপ্নকে ফেলে দিয়ে দু'হাত পাতো
এই নাও মেজাজি গৃষ্মের দুর্দান্ত আলো
উষ্ণতা নাও, উষ্ণতা ছড়াও,
আর বেঁচে থাকার পল্লব গজাও ভগ্নাংশ বৃক্ষের মতো নবরুপে

আরআর

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ