শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


‘হিলারিকে জেতাতেই মসুল যুদ্ধ’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

GTY_hillaryআওয়ার ইসলাম: হিলারি ক্লিনটকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতানোর জন্যই ইরাকের মসুলে হামলা চালানো হচ্ছে— যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আরেক প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সর্বশেষ প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কে এ কথা বলেছেন।

মসুলকে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) দখলমুক্ত করতে গত সোমবার থেকে ইরাকের সেনাবাহিনী ও কুর্দি পেশমেরগা বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের বিমানবাহিনী ও উপদেষ্টারা এ বাহিনীর হয়ে কাজ করছেন। আইএস হটানোর এ যুদ্ধকে ট্রাম্প বলছেন, হিলারিকে জেতানোর যুদ্ধ। ট্রাম্পের দাবি, ‘তারা (মসুলগামী আইএসবিরোধী বাহিনী) এ কাজ করছে, কারণ তিনি (হিলারি) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন। তারা তাঁকে দৃঢ়চেতা হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়। নির্বাচনে জেতার জন্য তিনি ইতিবাচক ভাবমূর্তি দেখাতে চান। এ জন্য তারা যুদ্ধ করছে।’

প্রতিদ্বন্দ্বীর এমন মন্তব্যে হিলারির জবাব, ‘নির্বাচনে আমাকে সাহায্য করার জন্য ইরাক সরকার, আমাদের মিত্ররা এবং অন্য সবাই মসুলে হামলা চালাচ্ছে, তাঁর এ রকম মনে হওয়ায় আমি বিস্মিত। ডোনাল্ড এভাবেই চিন্তা করেন। আপনারা তো জানেনই, উনি সব সময় কোনো না কোনো ষড়যন্ত্র খোঁজেন।’

সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে সরকার ও তাদের মিত্র রাশিয়ার অব্যাহত বিমান হামলায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও হতাহতের দিকে সঞ্চালক ট্রাম্পের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘ভুল সিদ্ধান্তের কারণে তারা (আলেপ্পোবাসী) হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে।’ সাধারণ মানুষের হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে রাশিয়ার দায়দায়িত্ব নিয়ে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হলে তিনি রাশিয়ার প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান এবং বলেন, ‘আলেপ্পো একটা বিপর্যয়। এর অনেকটাই ঘটেছে হিলারি ক্লিনটনের কারণে।’

সিরিয়া প্রসঙ্গে হিলারি বলেন, ‘আমি মনে করি নো ফ্লাই জোন মানুষের জীবন রক্ষা করতে পারে এবং যুদ্ধে দ্রুত সমাপ্তি টানতে পারে।’ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তপ্ত সম্পর্কের মধ্যে কী করে রাশিয়ার সরকার ও রুশ মিত্রদের সঙ্গে নো ফ্লাই জোনের ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব, এ ব্যাপারে হিলারি বলেন, ‘এর জন্য অনেক আলোচনার দরকার হবে এবং ভূভাগে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করাটাই আমাদের উদ্দেশ্য, সেটা সিরীয় ও রুশদের কাছে স্পষ্ট করতে হবে।’ কিন্তু কাজটা এত সহজ হবে না বলে মনে করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘তাঁর (হিলারি) ও ওবামার চেয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ অনেক বেশি কঠিন মনোভাবাপন্ন এবং অনেক বেশি বুদ্ধিমান।’ আসাদ সম্পর্কে ট্রাম্প আরো বলেন, ‘দুই-তিন বছর আগে সবাই ভেবেছে, তিনি ক্ষমতা হারাচ্ছেন। তিনি রাশিয়ার সঙ্গে জোট বেঁধেছেন। তিনি ইরানের সঙ্গেও জোট বেঁধেছেন, যাদের আমরাই ক্ষমতাবান বানিয়েছি।’

সূত্র : এএফপি, সিএনএন।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ