বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


আরাফার খুতবা ১৪৩৭ হিজরি ; খতিব: শেইখ ড. আব্দুর রহমান সুদাইস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

khutbahআওয়ার ইসলাম : হামদ ও ছানা এবং দরুদ পাঠের পর খতীব বলেন, আমি সকলকেই তাকওয়া অর্জনের অসিয়ত করছি। হে মুসলিম জাতি, আল্লাহ তায়ালা সারা বিশ্ব বাসির জন্য অস্ংখ্য নবী পাঠিয়েছেন। তারা মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়েছেন। সবশেণষে আমাদের নবী মুহাম্মদ স. কে পাঠিয়েছেন। তিনি আল্লাহর নির্দেশে মানুষকে হেদায়েতের পথ দেখিয়েছেন। তাওহীদের দীক্ষা দিয়েছেন।সম্মানিত হাজি সাহেবগন, এই মাঠেই আমাদের নবী দাড়িয়েছেন। ইসলামের মূল বিষয়ুগুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন। জাহিলিয়াতের সকল খারাপ বিষয়গুলোকে মিটিয়ে দিয়েছেন। মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেছেন। মানুষকে অন্ধকার ও অজ্ঞতা থেকে আলো ও জ্ঞানের দিকে আহবান জানিয়েছেন। নারির প্রতি সহানুভূতি এবং তাদের সকল অধিকারের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলেছেন। মুসলমানের রক্ত সম্মানিত। এক্ষেত্রে সকলকেই সতর্ক থাকতে বলেছেন।

হে মুসলিম নেতৃবৃন্দ! সারা বিশ্বব্যাপী মুসলমানেদের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে একটু সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে। এ বিষয় নিয়ে প্রয়োজনে আলোচনায় বসতে হবে। মসজিদে আকসাকে মুক্ত করতে হবে।

হে মুসলিম তরুন! বর্তমানে সারা বিশ্বে যে বিষয়টি নিয়ে সবচাইতে বেশী সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে তা হলো সন্ত্রাসবাদ। অনেক তরুণ ইসলমের মূল শিক্ষা ভুলে ভিন্ন স্থান থেকে ইসলাম শিখছে।বিভিন্নভাবে ভিবিষিকা ও উগ্রবাদ ছড়াচ্ছে। অযথাই মানুষকে কাফের বলে দিচ্ছে। হেতরুণ তোমরাই জাতির মেরুদন্ড। অতএব তোমরা সতর্ক হও। অন্যকে যেকোন কিছুতেই কাফের বলা থেকে বিরত থাকো। যেকোন বিষয় তোমরা আলেমদের নিকট থেকে গ্রহন কর। তোমাদের নিকট অনেক প্রত্যাশা। তোমরা সুন্দর আদর্শ গ্রহন কর। নিজেকে বিনির্মান করো।

হে অভিভাবক ও মুরুব্বিগণ! চরিত্র প্রধান এক সম্পদ। ইসলাম এ বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। পরিবারের সকলের চরিত্র বিনির্মানের প্রত্রি লক্ষ্য রাখতে হবে। বিশেষত বর্তমানে যে চারিত্রিক যুদ্ধ সে ব্যাপরে সচেতন হতে হবে। প্রত্যেক সদস্যের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

হে ওলামায়ে কেরাম! আপনার সকলেই রাসুলের উ্ত্তরসূরী। অপনারা মানুষকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত না করে কোরআন সুন্নাহর প্রতি উদ্বুদ্ধে করুন। মানুষকে সঠিক বিষয়টি শিক্ষা দিন।

হে ইসলামের দায়ী ও আহবায়কগণ! আপনারা মানুষের প্রতি সহজ করুন্। দলা দলি মুক্ত থাকুন্। ইসলামের মূল বিষয়গুলোর দিকে ডাকুন। মানুষের প্রতি দয়া করুন, রহমত করুন।

হে মিডিয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ! আপনারা সতর্ক হোন। মানুষের চারিত্রিক বিষয় গুরুত্ব দিন। ইসলামমের শিক্ষা ও দীক্ষা প্রচার করুন।

হে হাজিবৃন্দ! আপনারা শুকরিয়া আদায় করুন। আল্লাহ তাআলা আপনাদেরকে হজের জন্য কবুর করেছেন। এই আরাফায় অবস্থানের তাওফীৗক দিয়েছেন। সাথে সাথে আপনাদের জন্য যারা এই ব্যবস্বথা করেছেন, তাদের জন্য দো্‌াআ করুন। বিশেষ করে খাদেমুল হারামাই মালিক সালমানের জন্য। এবং যারা সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন

হে বায়তুল্লাহর হাজিগণ! আপনারা আরাফায় অধিক পরিমানে দোআ করুন। আরাফার দোআ সব থেকে উত্তম দোআ। এদিন আল্লহ তাআলা গর্ব করেন। অধিক পরিমানে মানুষকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। এখানে জোহর আছর কসর করে জমা করুন। দোআয় লিপ্ত থাকুন। সূযাস্ত পর্যন্ত দোআ করতে থাকুন। এর পর শান্তভাবে মুযদালিফার দিকে রওয়ানা হোন। সেখানে পৌঁছে মাগরিব এশা এক আজানে দুই এক্বামতে আদয়া করুন।
এরপর জামারায় পাথর নিক্ষেপের জন্য যেথে থাকুন্। কোরবানী করুন্। মাথা চেছে বা ছেটে হালাল হোন। এভাবে হজের কার্যক্রম সমাপ্ত করুন।

এরপর শায়েখ দোয়ার মাধ্যমে খুতবা সমাপ্ত করেন। মধ্যখানে শায়খ বলেন মানুষের কৃতজ্ঞতা আদায় করাও আমাদের প্রয়োজন। দীর্ঘ ৩৫ বছর এই মিম্বরে দাড়িয়ে শায়খ আব্দুল আযীয আলে শায়খ খুতবা দিয়েছেন। মানুষকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। নসীহত করেছেন। অসুস্থতার কারণে তিনি আজ খুতবা দিতে সক্ষম হননি। তার জন্য দোআ করি, আল্লাহ তায়ালা তার ইলমে, হায়াতে বরকত দান করুন। তাকে সুস্থতা দান করুন।

এফএফ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ