মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
ইরান সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্ষম: চীন বান্দরবানে দুর্গম পাহাড়ে অভিযানে কুকি-চিনের ৯ সদস্য গ্রেফতার আজমিরীগঞ্জে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কমিটি গঠন উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বিজ্ঞাপন নীতিমালা শিগগিরই বাস্তবায়ন : তথ্য প্রতিমন্ত্রী ইরানের হামলা ঠেকাতে ইসরায়েলকে সহায়তা করা নিয়ে যা বলছে সৌদি মিয়ানমারের আরও ১৩ সীমান্তরক্ষী পালিয়ে বাংলাদেশে শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে যোগদান করলেন মুফতি মকবুল হোসাইন কাসেমী খুলনায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন নেতার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার নেতানিয়াহু এ যুগের হিটলার: ওবায়দুল কাদের

নাজিফা জান্নাত’র পাঁচটি কবিতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

NAZIFA1

 

 

 

 বুড়ো আঙুলে শান্তি

মাথার ওপর মস্ত আকাশ
উত্তপ্ত মরু প্রান্তরে হেঁটে চলেছি
বুভুক্ষের মতো খুঁজছি এক বিন্দু শান্তি
বহুকাল আগে কোনো এক শিউলি ফোঁটা ভোরে
শুরু হয়েছিল যাত্রা।

বুকের ভেতর নিঃসঙ্গতার গান নিয়ে হাঁটছি।
সম্মুখে আরো সম্মুখে...
এভাবে অনেকটা পথ পার হয়ে বড্ড ক্লান্ত আমি
ক্লান্তি আমার পায়ের বুড়ো আঙুল
রক্তিম কি যেন ফোঁটায় ফোঁটায় গড়িয়ে পড়ছে।

কোনো যন্ত্রণা নেই!
শুধু বুকের ভেতর আধুনিক ব্যান্ড দলের ড্রাম বিটের হাহাকার।
হঠাৎ কে যেন ছুঁয়ে দিলো আমার রক্তাক্ত আঙুল
থেমে গেলো ড্রাম বিট
শুরু হলো হ্যামিলনের বাঁশিঅলার অতলস্পর্ষী সুর...
বুঝলাম, বুড়ো আঙুলে আমার এক ফোঁটা শান্তি।

 

লাল চশমা
কবি, ইকারাসের ডানা গুলো আমার চাই।
উড়ে যাবো শহর হতে শহর
দেশ হতে দেশ
আর এভাবেই হঠাৎ তোমার
দেশে গিয়ে হানা দেবো।
সেই রান্নাঘর- যেখানে তুমি নির্ঘুম বসে থাকো।
আমিও ঠিক বসে থাকবো তোমার পাশে
ঘুম ঘুম, নিঝুম।

যে সাগরে তুমি অসময়ে ঝাঁপিয়ে পড়ো
গুনে দেখবো সাগরে কতো ঢেউ
লাইফ গার্ডরা যখন বাধা দেবে তোমাকে
বলবো ছেড়ে দিন ওকে,
ও সাগর সন্তান।

তোমার দেশের তুষারপাত পান করবো ধুমায়িত কফির সঙ্গে।
খাটের পাশে রাখা তোমার ডায়েরিগুলোর পাতা ওল্টাবো।
বুড়ো আঙুল দিয়ে ছুঁয়ে দেখবো,
তোমার দেশ কতোটা শীতল!

যাবার বেলা দিয়ে যাবো তোমাকে-
ইকারাসের ডানা আর আমার লাল চশমা।

 

চিঠি
প্রভু, তোমার কাছে চিঠি লিখতে কতো সহস্র-বছর ইচ্ছে করেছে।
ইচ্ছের আগুনে পানি ঢেলে
আত্ম-আত্মাকে বলেছি- এতো বড় স্পর্ধা তোর!
প্রভুকে কতটুকু চিনিস তুই!
অবাধ্যতার ক্ষুর দ্বারা যখন পিষ্ট করিস পৃথিবীর শ্যামল ঘাস,
তখন কি স্মরণ হয়নি প্রভুর কথা!

প্রভু, আজ তোমার পথে তোমাকে খুঁজতে এসে
তোমার পবিত্র বাণীতে তুমি যে শুধালে
তুমি শিরদাঁড়া হতেও অতি নিকটে
তবে কেন দিশেহারা লাগে নিজেকে!

প্রভু, সন্ধানসাধনা দাও
আমার অন্তরে আত্মায়।

 

কষ্ট দিবি

একটু কষ্ট দিবি?
একচিমটি কষ্ট, এরচেয়ে বেশি না,
তোর অতীতের পাথর চাপা কষ্ট সব
কিংবা ধর; ভবিষ্যতের নির্ধারিত কষ্ট
কষ্ট দে না, একচিমটি কষ্ট।

একুশ বছর বুকের মধ্যে কষ্ট জমাই
নাম না জানা ডুঁকরে ওঠা কষ্ট সব
বুকটা আমার ভয়াবহ এক কয়লা খনি
ভয় পাস নে, কয়লা জমেই হিরক হবে
সেই হিরক দেবো তোকে
একটু কষ্ট দে না, একচিমটি কষ্ট।

হিরকগুলো তোর হবে
কষ্টগুলো আমার হবে
কথা দিচ্ছি, ভাগ দেবো না তোকে।
একটু কষ্ট দিবি? একচিমটি কষ্ট।

 

এক জোড়া লাল চোখ
বহুবার অনন্ত দিগন্তের দিকে তাকিয়ে
প্রশ্ন করেছি- ভালোবাসা কাকে বলে!
উত্তর পাই নি।

কবির  সংজ্ঞা, তৃপ্ত করেনি আমায়।
এরপর হঠাৎ জীবনে তুমি উড়ে এসে জুড়ে বসলে
বুঝিনি- ভালোবাসা কাকে বলে!

কোনো এক রাতে তোমার রক্তিম চোখের দিকে তাকিয়ে মনে হলো
মানুষটার ঘুম হয়নি।
আমি যদি কবি হই
ভালোবাসার সংজ্ঞা দেব
ভালোবাসা- এক জোড়া লাল চোখে।

এসএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ