শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

টার্গেট ছিলাম আমি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

masudঢাকা: অন্যান্য বছরের মত এবছরও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতে নামাজ পড়াতে সেখানে গিয়েছিলেন ইমাম মওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ।

শোলাকিয়ায় ১৮৯তম ঈদের জামাতে ইমামতি করার জন্য সকাল ৯টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ স্টেডিয়ামে পৌছান ইমাম ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ। ১০ বছর ধরে তিনি দেশের সবচেয়ে বড় এই ঈদের জামাতে ইমামতি করছেন।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন তিনি মনে করছেন শোলাকিয়ায় হামলার টার্গেট সম্ভবত তিনিই ছিলেন।

তিনি বলেন দীর্ঘদিন থেকেই তাকে হুমকিধামকি দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি সবসময়ই জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার- এবং আমার পুরো ইমেজটাকেই আমি শান্তির জন্য ব্যয় করছি। তাই এটা অসম্ভব নয় যে আমাকে তারা টার্গেট করবে বা করছে। এটা শুনছি যে যারা ধরা পড়েছে একথাটাও তারা উল্লেখ করেছে যে আমি তাদের টার্গেট ছিলাম আছি।’

মওলানা মাসঊদ বলেন, সময় বাঁচাতে প্রতিবছরের মত এবারেও ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে কিশোরগঞ্জ গিয়েছিলেন তিনি । হেলিকপ্টার থেকে কিশোরগঞ্জ স্টেডিয়ামে নামার সময় তিনি একটা আওয়াজ শুনতে পান, যেটাকে তিনি প্রথমে তেমন আমলে নেন নি বলে বলেন ।

সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা তখন তাকে জানিয়েছিলেন সেখানে বোমা নিক্ষেপের একটা ঘটনা ঘটেছে। পরে তাকে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলার সার্কিট হাউজে চলে যায়।

সার্কিট হাউসে যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন পুলিশের টহল বাহিনীর ওপর হামলা হয়েছে এবং পুলিশ মারা গেছে। এরপর নিরাপত্তা কর্মীরা শোলাকিয়ার জামাতে তাকে না যাওয়ার পরামর্শ দেন ।

‘ওরা মনে করেছিল আমি হয়ত তাদের টার্গেট হব।’

মওলানা মাসঊদ বলেন, ওরা জনমনে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চায়। ওরা বিলক্ষণ জানে এভাবে সরকার বা সমাজ পরিবর্তন হবে না।

তিনি বলেন তাদের আতঙ্ক সৃষ্টির এই কৌশল নেওয়ার কারণ হল জনগণ যখন আতঙ্কিত হয়ে যায়, তখন আতঙ্কিত মানুষের প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়।

বাংলাদেশে সম্প্রতি বেশ ক'টি গুপ্ত হত্যার প্রেক্ষাপটে কিছুদিন আগে ইসলামের ব্যাখ্যা দিয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হয়। ধর্মের নামে মানুষ হত্যাকারীরা জাহান্নামে যাবে- এ ধরণের দশটির মতো ফতোয়ার উদ্যোক্তা ছিলেন শোলাকিয়ার এই ইমাম।

সূত্র : বিবিসি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ