শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


ঈদে সুস্থ বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা দরকার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

hijbullahড. হাফেজ এবিএম হিজবুল্লাহ; কুষ্টিয়া ইসলামিক ইউনিভার্সিটির প্রফেসর। খ্যাতিমান লেখক, বিদগ্ধ আলোচক, মসজিদের খতিব ও আন্তর্জাতিক মানের হাফেজ গুণী এ মানুষটি। দেশে এবং দেশের বাইরেও ঈদ উদযাপনের অভিজ্ঞতা আছে তার। ঈদ নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি কথা বলেছেন আওয়ার ইসলাম এর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আহসান শরিফ

আওয়ার ইসলাম : আপনার শৈশবের ঈদস্মৃতি কি মনে পড়ে, কীভাবে তখন ঈদউদযাপন করতেন?
ড. হিযবুল্লাহ: শৈশব কেটেছে ৫০ বছরের বেশি। সেই স্মৃতি মনে করতে একটু কষ্টই হবে। তারপরও একদম যে মনে নেই এমন নয়। ছোট বেলায় বেশির ভাগ সময় মাদরাসায় কাটাতাম। ঈদের সময় বাসায় যেতাম। আব্বাজানের অবস্থা বা পারাবারিক আর্থিক অবস্থা জানা ছিল বিধায় আমাদের তেমন একটা চাওয়া-পাওয়ার ছিল না। আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর মেহেরবাণীতে যা পেয়েছি তার উপরই সন্তুষ্ট ছিলাম। ভাল কিছু দিতে হবে, এধরনের কোন আশা আলহামদুলিল্লাহ আমাদের ছিল না। মোটামোটি এতটুকু মনে আছে।

ঈদের একটা স্মৃতি মনে পড়ে। ঈদ কেন্দ্রিক একটা আলোচনা আসছিলো যে, ঈদের দিন যেদিন ঘোষণা হয়েছে, সেদিন শামছুল হক ফরিদপুরী রহ. বললেন, আজ ঈদ হবে না, ঈদ হবে পরের দিন। আমার আব্বাজান এতেকাফে ছিলেন। মসজিদের কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নিলেন পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী তারা ঈদ করবে। কাজেই মসজিদ খালি করতে হবে। এ জন্য আব্বাজান সে মসজিদ ছেড়ে অন্য একটি মসজিদে আরো একদিন পুরো করেন। মোটামুটি এতটুকুন মনে আছে।

আওয়ার ইসলাম : তখন ঈদের আনন্দটা কেমন হতো?
ড.হিযবুল্লাহ : হ্যাঁ, তখনকার আনন্দটা ছিল একটা বড় মজার ব্যাপার। আসলে যদিও আমি মাদরাসায় পড়তাম ঠিক, কিন্তুু কলনিতে থাকার সুবাদে, স্কুলে ক্লাস ওয়ানে পড়া সময়ে আমার কিছু ফ্রেন্ড-সার্কেল হয়েছিল। ওরা স্কুলে পড়তো আর আমি মাদরাসায় পড়তাম। কিন্ত আমরা একসঙ্গে হলে আমাদের মাঝে কোন ভেদাভেদ থাকতো না। আমরা এক সঙ্গে ঘুরা-ফেরা করতাম। বর্তমানের রমনা পার্ক ছিল তখন চিড়িয়াখানা, কাকরাইল মসজিদের পাশে। ঈদের নামাজ পড়ে বন্ধুদের সঙ্গে বাসায় বাসায় যেতাম। ওরাও আমাদের আসতো বাসায়। সবশেষে দলবেঁধে আমরা চিড়িয়াখানায় চলে যেতাম। দুপুর বেলা অনেকটা পায়ে হেঁটে বাসায় যেতাম। বিকালে আবার আনন্দ করার জন্য দলবদ্ধ হতাম। আমি অবশ্য আসর নামাজে যেতাম। আমি নামাজ পড়তাম, আমার বন্ধুরাও নামাজি ছিল। আসর নামাজ পড়ে আবার ঘুরতে বের হতাম। তখন বসতি খুবই হাল্কা ছিল। রাস্তা-ঘাট ফাঁকা ফাঁকা থাকতো। আমরা সেখান থেকে বিজিবি কলনি, পুলিশ লাইনে যেতাম। সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। আমরা অনুষ্ঠান উপভোগ করতাম। আবার সন্ধ্যায় ফিরতাম। রাতে তো অন্য কিছু হতোই না। মাগরীব থেকে নিয়ে এশা পর্যন্ত মোটামুটি গল্প-গুজবে সময় কাটাতাম। এশার পর সবাই নিজ নিজ বাসায় চলে যেতাম।

আওয়ার ইসলাম : এখন ঈদ কীভাবে কাটান ?
ড.হিযবুল্লাহ: এখন বিভিন্ন ফিকিরই যেন আলাদা একটা বৈশিষ্ট্য হয়ে গেছে। এখনও আনন্দ- উল্লাসে সময় কাটানোর চেষ্টা করি। আল্লাহপাক যতটুকু দিয়েছেন সাধ্যানুযায়ী বাসায় যারা আছে তাদের জন্য নতুন জামা-কাপড়, বাসার জন্য সেমাই-চিনি, মেহমানদের জন্য খাবার ব্যবস্থা করি। আগে যেমন বিভিন্ন বাসায় যাওয়া হতো এখন সেটা কম হয়। তারপরও মেয়েরা আসে, দুইজন দুই জায়গা থেকে। ছোট বেলায় আমি আমার বড় ভাই ও আমার আরেক ভাই মিলে যেতাম বড় বোনের বাসায় এবং ছোট বোনের বাসায়। আমাদের তিনজন মুরব্বি আছেন, তাদের একজন ইন্তেকাল করেছেন আর বাকি দুইজন জীবিত আছেন। তাদের সঙ্গে দেখা করতে যেতাম। দোয়া নিয়ে আসতাম। সেখান থেকে আসতে আসতে বিকেল হয়ে যেত। মাঝখানে যে বাসা পেতাম সেখানে খাওয়া-দাওয়া সেরে নিতাম। বর্তমান সময়টাও অবশ্য প্রায় এভাবেই কাটে। প্রতি বছর যে একই রুটিন চলে এমন নয়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম। আমরা গেলে, মেহমানরা আসেন। আমার ভাই, আত্মীয়-স্বজনরা আসেন। তাদের সঙ্গে আনন্দ-ফুর্তি করি। বর্তমান সময়টা এভাবেই কাটাই।

আওয়ার ইসলাম : ঈদে আমাদের দেশে যে সংস্কৃতি এটা আসলে কী রকম?
ড.হিযবুল্লাহ: আসলে এখন তো অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। কেমন যেন ঈদে এখন আন্তরিকতা বা ‘রুহানিয়্য়াত’ নেই বললেই চলে। এটা ভাটা পড়েছে। মনে হয় সবাই যেন আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। আনন্দ-উল্লাস, ঘুরা ফেরা নেই যে তা নয়, তবে আগে আনন্দ-উল্লাস, ঘুরাঘুরিতে ধর্মীয় একটা পরিবেশ বা অনুভূতি কাজ করতো। এখন সেটা অনেকটাই লোপ পেয়েছে। বিকেল বেলা দেখা যায় ছেলে-মেয়েরা এক সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছে। সেখানে ধর্মীয় পরিবেশ বা অনুভূতি তেমন একটা দৃষ্টিগোচর হয় না। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, ঘর থেকে বের হওয়ার আগে কে কার থেকে বেশি সাজবে, কোন সুন্দর জামা পরবে ইত্যাদি নিয়ে প্রতিযোগিতা করতে দেখা যায়। আগে এক বাসা থেকে আরেক বাসায় যাওয়া-আসা হতো। বর্তমান এ বিষয়টা মুরব্বিদের থেকে লোপ পেয়েছে, লোপ পেয়েছে তরুণদের থেকেও। সবচেয়ে বেশি হচ্ছে দলবেধে বের হওয়া। আনন্দ-ফূর্তি করা, রাস্তায় রাস্তায় ঘুরা, এটাই বেশী হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি মিডিয়ার অশ্লীল প্রোগ্রাম নিয়ে ব্যস্ত থাকা। এই অশ্লীল চিত্র দেখাটা অনেক পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ ওসব নিয়েই পড়ে থাকে। এসব বৃদ্ধির পাশাপাশি আগের মত ধর্মীয় পরিবেশ বা অনুভূতিসূচক কিছুই দেখা যায় না।

আওয়ার ইসলাম : মূলতঃ ঈদের বাস্তব দাবিটা কী?
ড.হিযবুল্লাহ: ঈদের বাস্তব দাবি, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের জন্য ঈদআনন্দের ব্যবস্থা করেছেন। এর একটা দাবি, ইসলামে আনন্দ ও চিত্ত-বিনোদনের কোন সুযোগ নেই, অনেকে এটা বলে থাকেন, এটা আসলে ভুল। বরং আল্লাহ পাক আমাদেরকে ঈদের মাধ্যমে একটা ধর্মীয় অনুভূতির পাশাপাশি আনন্দ-উল্লাসের একটা সুযোগ করে দিয়েছেন। তবে আমরা সেটাকে সঠিক পদ্ধতিতে প্রয়োগ করতে পারছি না বলেই আমরা এর থেকে বঞ্চিত। আমি একটা স্মৃতিচারণ করি। প্রায় পাঁচ-সাত বছর আগের কথা। আমি আমার এলাকাতে রমজান কেন্দ্রিক একটা প্রোগ্রাম করেছি। বেশ সাড়া জাগিয়েছে। সেখানে আগের মত মাঠ না থাকার কারণে আমরা সেটা করতে পারছি না। রমজান কেন্দ্রিক কেরাত প্রতিযোগিতা, হামদ-নাত, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং সর্বশেষ ঈদের দিন ‘ঈদসন্ধ্যা’ নামেও আমরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছি। সেখানে কৌতুক হতো, নাটিকা হতো, হামদ-নাত হতো, দেশাত্ববোধক গান হতো। ছেলেদের জন্য আলাদা এবং মেয়েদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। আমরা পর্দার কোন বেগাত ঘটতে দেইনি। এভাবে যদি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যেত, তাহলে এটা আমাদের ধর্মিয় অনুভূতির সঙ্গে বেমানান হতো না এবং বিরোধীও হতো না। বরং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনেও দেখা যায়, তিনি ঈদের দিন উৎসব মুখর পরিবেশে কাটিয়েছেন। মসজিদে নববীর আঙ্গিনায় হাবশী গোলামরা হামদ-নাত, দরুদ শরীফ পড়ত, খেলা-ধুলা করত, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসব দৃশ্য উপভোগ করতেন। আম্মাজান হজরত আয়েশা রা.ও উপভোগ করতেন। আমরা আগের মতো ঈদসন্ধ্যা নামে অনুষ্ঠানটি করতে পারলে, আমাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য ভালো হতো। আমাদের নিজস্ব স্বক্রিয়তাও ফিরে আসতো।

আওয়ার ইসলাম : প্রোগ্রামগুলো কোথায় করতেন?
ড. হিযবুল্লাহ: এগুলো বাড়ির বাইরে খোলা মাঠ পেলে, সোখানে স্টেজ বানিয়ে করতাম। বেশ ফাকা জায়গা নিয়ে একটা ভাল অনুষ্ঠান করা যায়। এখনও এটা করা সম্ভব, কিন্তু সেই সুযোগ আমাদের সামনে নেই দেখে আমরা করতে পারছি না। তা হলে আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতাম, দেখুন কে বলে আমাদের ঈদ উৎসব বলতে কিছু নেই। এসে দেখে যান।
সেখানে একদিকে কেরাত হচ্ছে, একদিকে হামদ-নাত হচ্ছে, পাশাপাশি কিছু কৌতুক হচ্ছে, শিক্ষামূলক কিছু নাটিকা হচ্ছে। এসব কিছু তো এখন স্থানের সঙ্কুলানের কারণে করা সম্ভব হচ্ছে না। সুযোগ আছে এমন সব এলাকায় উদ্যোগ নিলে এটি সম্ভব। এরকম কিছু করা গেলে আমরা, আমাদের ইসলাম, দ্বীন-ধর্মে যে বৈশিষ্ট্য আছে তা সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারতাম।
আওয়ার ইসলাম : বাংলাদেশের বাইরেও ঈদ করেছেন আপনি, সেখানের অনুভূতির কথা বলবেন?
ড. হিযবুল্লাহ: আমি সৌদি আরব ঈদ করেছি। মাশাআল্লাহ, সেখানে তারা উৎসব মুখর পরিবেশে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেন। তবে সেখানে কোন সাংস্কৃতি চর্চা আমি দেখিনি। আমরা বাংলাদেশীরা একে অপরের বাড়ি আসতাম। একে অপরের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করতাম। বাচ্চারা খুব আনন্দ উপভোগ করতো এবং গাড়ি নিয়ে পার্কে চলে যেত। পেন্টাসি কিংডমের মতো অনেক পার্ক সেখানে আছে। খুব সুন্দরভাবে এগুলোর আয়োজন করা হতো। এখনও সেখানে এগুলো আছে বলে আমি জানি।

মিশরে আমি কোরবানির ঈদ করেছি। সেখানে অবশ্য মিশরীদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করার বেশী একটা সুযোগ হয়নি। আমরা নির্দিষ্ট পরিসরে সেখানে আনন্দ করতাম। তবে মজার ব্যাপার ছিল পার্কিং এর কোনো সুযোগ ছিল না। যে কারণে রাস্তা-ঘাঠে বা সবুজ পরিবেশ দেখলেই পরিবার বা বন্ধু-বান্ধব নিয়ে বসে যেতো। ছেলে-মেয়েরা সবাই এসে জমায়েত হতো। একে অপরের জন্য যার যার মতো খাবার-দাবার নিয়ে আসতো। অন্যরকম একটি পরিবেশ গড়ে উঠতো।

আওয়ার ইসলাম : সৌদিয়ানরা প্রবাসিদেরকে কেমন দেখতো?
ড. হিযুবুল্লাহ: এখন কী অবস্থা বলতে পারবো না। আমরা যখন ছিলাম, সৌদিয়ানরা আমাদের কে প্রবাসি বলে খুব একটা দেখতো না। কী বাংলাদেশী, কী ইন্ডিয়ান, কী শ্রীলংকান! যারা কর্মচারি ছিল তাদের সঙ্গেও তারা মোসাফাহা করতো।
তবে একটা মজার ব্যাপার ছিল সেখানে চকলেট বিতরণ হতো। সবাই পকেটে পকেটে চকলেট নিয়ে আসতো। দেখা হলে সালাম বিনিময় করে আলীঙ্গন করে একটা চকলেট দিত। এভাবেই দেশী-বিদেশীদের সুন্দর একটা পরিবেশ ছিল।
লন্ডনেও আমি ঈদ করেছি। সেখানে ঈদের নামাজ হওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবে মুসলিমরা ঈদের নামাজের পর মসজিদে জমায়েত হতো। সেখানে মসজিদ নামে কমিউনিটি সেন্টার থাকতো। সংগীতের আয়োজন করা হতো। নাওয়া খাওয়ার ব্যবস্থা হতো। দেশী-বিদেশী বলে কোন ভেদাভেদ ছিল না। মিল ছিল বলে সব পরিবারের লোক আসতো। সবাই মিলে আনন্দ উল্লাস করতো। বাংলাদেশীরা এটি উপভোগ করতো। বিকেলে বাংলাদেশী সবাই মিলে কমিনিউটি সেন্টারে খাবারের আয়োজন করতো।

আওয়ার ইসলাম : ঈদে সরকার ও নেতৃস্থানীয় আলেমরা অসহায়দের জন্য কী ভূমিকা রাখতে পারে?
ড. হিযবুল্লাহ: অনেক ভাল ভূমিকা রাখতে পারে। ঈদ কেবল সরকার, আলেম কিংবা নির্দিষ্ট কোন জনগোষ্ঠির জন্য নয়। ঈদ সবার জন্য। সরকার যদি ভালো কোন ভূমিকা রাখে তাহলে ভালো। এছাড়া এলাকার সামর্থ্যবানরাও নিজ উদ্যোগে সাধ্যানুযায়ী টাকা-পয়সা, অর্থ-সামগ্রী সংগ্রহ করে গরীব অসহায়দের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারে। এটা সম্ভবও। আলহামদুলিল্লাহ! আমাদের একটি সোসাইটি আছে, এর মাধ্যমে বাড়িওয়ালাদের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে জামা-কাপড়, সেমাই চিনি, ইত্যাদি গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দিতাম। এভাবে আমরা গরিবদেরকে আমাদের সঙ্গে আনন্দে শরীক করতে পারি। এতে গরীবরাও আনন্দ করার সুযোগ পায়। তারা ভাবে, আমরা গরীব না। আমাদের বিত্তশালীরা আমাদেরকে সাহায্য-সহযোগীতা করে। এতে পারস্পরিক একটা সম্পর্ক গড়ে উঠে। ছোটরা বড়দের দিকে নজর দেয় আর বড়রাও ওদের দিকে নজর দেয়। এটাই তো শিক্ষা। মহানূভবতা।

শ্রুতিলিখন : শিহাব শারাফাত

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম /আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ