শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


কুরআন তেলাওয়াতের ব্যাপারে শয়তানের ধোঁকা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

quran 2কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক, অতিথি লেখক : কিছু কারী অধিক পরিমাণে কুরআন তেলাওয়াত করেন, কিন্তু তারতিল তাজবিদের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেন না। অথচ এটা শরিয়াসিদ্ধ পন্থা নয়। এখন প্রশ্ন হতে পারে, পূর্ববর্তী ওলামাদের একদল তো দিনে এক খতম কিংবা প্রতি রাকাতে এক খতম কুরআন পড়তেন। এর জবাবে বলা যায়, তাদের থেকে এরূপ আমল কখনো কখনো প্রকাশ পেত। আর সর্বদা এভাবে তেলাওয়াত যদিও জায়েজ, কিন্তু তারতিল ও তাজবিদ রক্ষা করে কুরআন তেলাওয়াত আলেমদের কাছে মুস্তাহাব। রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি তিন দিনের কমে কুরআন খতম করে, কুরআন বোঝা তার পক্ষে সম্ভব হয় না।’ মুসনাদে আহমাদ

একদল কারীর অবস্থাতো এমন, যারা গভীর রাতে মসজিদের মিনারে আরোহণ করে উচ্চ আওয়াজে কুরআন তেলাওয়াত করে, আর শয়তানও এ বিষয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করে। তাদের জেনে রাখা উচিত, এমন তেলাওয়াত দু’ ধরনের গুনাহকে অন্তর্ভুক্ত করে। ১. মানুষের ঘুমে বিঘ্ন ঘটিয়ে কষ্ট দেয়ার গুনাহ। ২. তেলাওয়াতের উদ্দেশ্য লোক দেখানো হওয়ার অহঙ্কারের গুনাহ।

তাদের কেউতো এমন, যারা লোক দেখানোর উদ্দেশে আজানের সময় মসজিদে তেলাওয়াত করেন, কেননা তা হচ্ছে লোক সমাগমের সময়।
আল্লামা ইবনুল জাওজি বলেন, এসব কারীর যে বিষয়টি আমাকে অবাক করেছে তা হলো, এক কারী ইমাম জুমআর দিন ফজর নামাজের পর মুসল্লিদের অভিমুখী হয়ে সুরা ফালাক ও সুরা নাস পড়ে কুরআন খতমের দোয়া করতেন। উদ্দেশ্য হলো, মানুষ যেন মনে করে, তিনি কুরআন খতম করেছেন। এমন কারীদের জেনে রাখা উচিত, আমাদের পূর্বসূরিদের রীতিনীতি এরূপ ছিল না, বরং তারাতো ইবাদত করতেন অতি গোপনে। কেউ তাদের ইবাদত দেখুক কিংবা ইবাদত সম্পর্কে অবগত হোক, এটা তারা মোটেও পছন্দ করতেন না।

রাবি বি খুছাইম তো সব আমলই গোপনে করতেন। যদি দেখতেন কুরআন পড়া অবস্থায় কেউ তার ঘরে প্রবেশ করেছে তাহলে কাপড় দিয়ে কুরআন ঢেকে ফেলতেন; যেন তার কুরআন তেলাওয়াতের বিষয়টি আগন্তুক বুঝতে না পারে। ইমাম আহমদ বিন হাম্বল তো অধিক পরিমাণে কুরআন পড়তেন, অথচ কখন তিনি কুরআন খতম করেন তা কেউ জানতেন না।
[আল্লামা ইবনুল জাওজি প্রণীত ‘তালবিসে ইবলিস’ অবলম্বনে]


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ