মুফতি তাউহিদুল ইসলাম।।
মুফতি, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া সাত মসজিদ মোহাম্মদপুর ঢাকা।
বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। এ পরিস্থিতিতে দেশের জামে মসজিদসমূহে মহামারীর কারণে মুসল্লি সমাগম নিষিদ্ধ। মসজিদের বাইরেও জনসমাগম নিষিদ্ধ। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ ঘরে জোহর নামাজ আদায় করবেন।
নিজ ঘরে বাড়িতে ফ্ল্যাটে ছাদে উঠানে গ্রাম পাড়া বা মহল্লার কোনো মাঠে কোথাও মুসল্লী সমাগম করে জুমা পড়া ঠিক হবে না। ঘরে ঘরে জুমার নামাজ আদায় করলে জুমার গুরুত্ব থাকে না। সাহাবায়ে কেরামের কোনো কারণে জুমা ছুটে গেলে তারা ঘরে জোহর আদায় করতেন।
যেসব অবস্থায় জুমা ওয়াজিব থাকে না কিংবা জুমার গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য থাকেনা, এমন জুমা না পড়ে মূল নামাজ জোহর পড়তে হবে। অপারগতা ও নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঘরে নামাজ পড়েও আগ্রহীরা জুমা ও জামাতে নামাজ পড়ার সওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ।
আর এমন কোনো জায়গা যেখানে আগে জামাত হতো। যেমন মক্তব, মাদরাসা ইত্যাদী সেখানে জুমার শর্ত মেনে লোক সমাগম না করে জুমা পড়লে আদায় হয়ে যাবে। এ ছাড়াও কারো বাড়িতে যদি তিনের অধিক লোক থাকে। তারা জুমা আদায় করতে চায়। যোগ্য ইমামও থাকে। সবার আসার অনুমতি থাকে। তখন জুমা পড়লে আদায় হয়ে যাবে। তবে এভাবে ঘরে ঘরে জুমা না পড়ে জোহর পড়াই উত্তম।
এ সংকট সাময়িক। এর উদাহরণ অতীতে পাওয়া যায় না। এটি মহামারী না জীবাণু অস্ত্র সেটাও পরিষ্কার হতে সময় লাগবে। মুসলিম অমুসলিম সবাই কমবেশি আক্রমণের শিকার। বাংলাদেশেও দেশব্যাপী আক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা শোনা যাচ্ছে। এখানে ধারণা কল্পনা আবেগ অজ্ঞতা বা অসঙ্গত কথা কিংবা আচরণ বাদ দিয়ে আমাদের মান্য ও বিশ্ববরেণ্য উলামায়ে কেরামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমল করতে হবে। বিপদ দূর হয়ে গেলে আবার সব স্বাভাবিক নিয়মে ফিরে আসবে বলে আমরা আশা করি। এ পরিস্থিতিতে বেশি বেশি ইস্তিগফার দোয়া জিকির এর আমল করা।
সূত্র: ফতহুর বারী শরহে বুখারি, ২/৬৩৫; শরহুল মুনইয়াহ ৫৫১; আলবাহরুর রায়েক ২/১৫১৷
-এটি