বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

নিরাপদ অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব নাকচ করেছে মিয়ানমার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সেইফ জোন বা নিরাপদ অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব নাকচ করেছে মিয়ানমার।

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মিয়ানমার প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে ঢাকা-নেপিদো চুক্তির বাইরে কোনো কিছু করার সম্ভাবনা নেই।

তবে, রোহিঙ্গাদের বসবাসের আরো উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা জানিয়েছে মিয়ানমার।

এবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী যে চারটি প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে সেইফ জোনের বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ নেই।

তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বেসামরিক পর্যবেক্ষক মোতায়েন করে, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রস্তাব দেন শেখ হাসিনা।

এর একদিন পর জাতিসংঘের দেয়া ভাষণে মিয়ানমার প্রতিনিধি জানান, নিরাপদ অঞ্চল গঠনের প্রস্তাব বাস্তবসম্মত নয়। তবে রোহিঙ্গাদের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিকে মিয়ানমার অগ্রাধিকার দেবে বলে জানান দেশটির ইউনিয়ন মন্ত্রী।

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ইউনিয়ন মন্ত্রী চিয়াও তিন্ত সোয়ে বলেন, মিয়ানমারের ভেতরে সেফ জোন বা নিরাপদ অঞ্চল তৈরির চাপ রয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দেয়া যাবে না। কারণ এটি বাস্তবসম্মত নয়।

যাচাই-বাছাইয়ের পর, প্রত্যাবাসনের ৩ হাজার ৪৫০ রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমার চূড়ান্ত করলেও, সেখানে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে ব্যর্থ হওয়ায়, দু'দফা চেষ্টার পরও একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠানো যায়নি।

চিয়াও তিন্ত সোয়ে আরো বলেন, ঢাকা-নেপিদো দ্বিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, কক্সবাজারের শিবির থেকে মিয়ানমারে ফিরতে আগ্রহীদের দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে আগ্রহী আমরা।

তবে মিয়ানমারের নাগরিক বলে যারা নিজেদের প্রমাণ করতে পারবে, তাদের পরিচয়পত্র দেয়া হবে। বাকিদের ন্যাশনাল ভেরিফিকেশন কার্ড দেয়া হবে।

২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে সেনা অভিযানে, বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার চাপের মুখে, তাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার রাজি হলেও, নিরাপত্তা কারণে সে উদ্যোগ ভেস্তে গেছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ