শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


'ডিটেনশন ক্যাম্পে মুসলমান নারীদের আটকে রেখে বন্ধ্যা করে দিচ্ছে চীন'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: চীন ডিটেনশন ক্যাম্পগুলোতে ১০ লাখের মতো উইঘুর নারীদের অবৈধভাবে আটক রেখে প্রজনন ক্ষমতা ধ্বংশকারী ইনজেকশন দেয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি আব্দুর রব ইউসূফী।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আব্দুর রব ইউসূফী বলে, মুসলানদের প্রজন্ম ধ্বংশের উদ্দেশ্যে চীন ডিটেনশন ক্যাম্পগুলোতে ১০ লাখের মতো উইঘুর নারীদের অবৈধভাবে আটক রেখে প্রজনন ক্ষমতা ধ্বংশকারী ইনজেকশন দিচ্ছে।

প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও জাপানের নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ গুলবাহার জেলিলোভা নামের এক নারীর বরাতে জানা যায়, মুসলিম নারীদের শরীরে প্রায়ই ইনজেকশন পুশ করা হত।

সুদূর পশ্চিম জিনজিয়াং অঞ্চলে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নামে এই আটক রাখার ক্যাম্পগুলোতে এক বছরেরও বেশি সময় মুসলিম নারীদের বন্ধি রাখা হয়েছিল। দরজার একটি ছোট্ট ফাঁক দিয়ে তাদের হাত বাইরে বের করে ইনজেকশন দেয়ার পর শীঘ্রই নারীরা বুঝতে পারতো তাদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেছে।

আব্দুুর রব ইউসূফী বলেন, এভাবে ইউঘুর মুসীলম রমনীদের প্রজননশক্তি ধ্বংশ করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

চীনের এ মানবাধিকার বিরোধেী প্রদক্ষেপের ব্যাপারে বিশ্বমুবাসীকে আরো সচেতন হতে হবে এবং মানবতা বিধ্বংসী কর্মকান্ড থেকে চীনকে বিরত রাখতে হবে।

মনে রাখা উচিত অতীতেও ফেরাউন নামরুদরা মুসলিম প্রজনন বন্ধ করে মুসলামদের সংখ্যারাশের চক্রান্ত করেছিলো কিন্তু তারাও পারেনি আল্লাহর সৃষ্টিকে রুখে দিতে চীনও পারবে না।

তিনি আরও বলেন, মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। প্রজনন একজন নারীর মানবিক অধিকার এ অধিকার হরণ কোনোভাবেবৈধ হতে পারে না। সুতরাং মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে এব্যাপারে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ