শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


রোহিঙ্গা ইস্যু: মুসলিম নয়, হিন্দুদের প্রত্যাবাসনে আগ্রহী মিয়ানমার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার আগ্রহী হলেও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা না থাকায় নিজ ভূমিতে ফেরতে অনাগ্রহ দেখায় বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা। পরে থমকে যায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। তবে মিয়ানমার এবার টেকনাফের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় আশ্রয় নেয়া কয়েকশো হিন্দু ধর্মাবলম্বী শরণার্থীকে নেয়ার জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে, ফের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে তৎপর হয়েছে মিয়ানমার। তবে মুসলিম নয়, তারা কেবল টেকনাফের একটি নির্দিষ্ট এলাকায় থাকা কয়েকশ হিন্দু শরণার্থীকে ফিরিয়ে নিতে ইচ্ছুক। এদিকে শরণার্থী প্রত্যাবাসনের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার জন্য বাংলাদেশকে দুষছে মিয়ানমার সরকার।

বিবিসি বার্মিজ বিভাগের সম্পাদক সো উইন থান বলছেন, মিয়ানমার সরকার মনে করছে, প্রত্যাবাসন না হওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের ব্যর্থতা আছে। কারণ তাদের ফেরত পাঠানোর দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশের। মিয়ানমার সরকার বলছে, তারা ফেরত নেয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু সে দিন একজনও ওপার থেকে আসেনি। তবে আমরা জানতে পেরেছি, মিয়ানমার সরকার এখন বাস্তুচ্যুত হিন্দুদের ফেরত আনা নিয়ে কাজ করছে।

কিন্তু মিয়ানমার সরকার হিন্দু শরণার্থীদের ফেরত নিতে কেন আগ্রহী হচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, মুসলিম রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ফিরতে ইচ্ছুক না হলেও হিন্দু শরণার্থীরা স্বেচ্ছায় ফিরতে চায়। আর মিয়ানমার সরকারও চায় প্রত্যাবাসন শুরু করতে।

উইন থান নিশ্চিত করেছেন, গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারে আসা জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূতকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।

এদিকে বিবিসি জানায়, রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গ্রামগুলি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। সেখানে স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ ব্যারাক, বিভিন্ন সরকারি ভবন এবং শরণার্থী শিবির।

সম্প্রতি মিয়ানমারে এক সরকারি সফর শেষে এ খবর জানিয়েছেন বিবিসি’র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া বিষয়ক প্রতিনিধি। তিনি জানান, একসময় রোহিঙ্গা জনবসতি ছিল স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা এমন চারটি এলাকায় সুরক্ষিত স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিবিসির ওই প্রতিনিধি।

-এএ


সম্পর্কিত খবর