আওয়ার ইসলাম: ভারতের ঝারখন্ডে চোর সন্দেহে মুসলিম যুবক তবরেজ আনসারিকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত ১১ আসামির সবাইকে খুনের অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, গণপিটুনিতে নয় বরং হার্ট অ্যাটাকে তাবরেজের মৃত্যু ঘটেছে।
এ বিষয়ে ঝাড়খন্ডের পুলিশপ্রধান কার্তিক এস বলেন, মেডিক্যাল রিপোর্টে খুনের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই আমরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুন তো দূরে থাক অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলাও চালাতে পারবো না।
পুলিশ সূত্রমতে, তাবরেজ হত্যা মামলায় এর আগেও ময়নাতদন্ত চালানো হয়। সেই রিপোর্টেও মৃত্যুর কারণ একই বলে উল্লেখ করা হয়।
ঝাড়খন্ডের পুলিশপ্রধান জানান, প্রথমবার ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর দ্বিতীয়বার তারা আরও উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে মতামত নেন এবং তারাও সেই একই মত দেন।
তবে তাবরেজের পরিবারের অভিযোগ, পিটিয়ে তাবরেজের মাথা থেঁতলে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তাদের দাবি, মেডিক্যাল রিপোর্ট অনুযায়ীই তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন তাবরেজ আনসারিকে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে ভারতের ঝারখন্ডের সরাইকেলা খারসাওন এলাকায় গণপিটুনি দেয়া হয়। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার আগে ১৮ ঘণ্টা ধরে পেটানো হয়। মারধরের সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশ ও দেশের বাইরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি তবরেজকে একটি লাঠি দিয়ে নৃশংসভাবে পেটাচ্ছেন। সে ছেড়ে দেয়ার আকুতি নিয়ে হাত জোড় করলেও তাতে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই ওই ব্যক্তির। উপস্থিত একদল লোক তাকে 'জয় শ্রী রাম' বলতে বাধ্য করছে। ২২ জুন হাসপাতালে মারা যান তাবরেজ আনসারি। এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে একজন আত্মসমর্পণ করেন।
-এএ