শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


নামের মিল থাকায় গ্রেপ্তার জামসু মিয়ার মুক্তির আদেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আসামি না হয়েও শুধু নামের মিল থাকায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার মুহা. জামসু মিয়াকে (৩৭) মুক্তির আদেশ দিয়েছেন ঢাকা সিএমএম আদালত। গ্রেপ্তারের পর কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা থানার উদিয়ারপাড়ার এ বাসিন্দা কারাগারে ছিলেন। আসামী না হলেও পুলিশের ভুলে গত ৮ আগস্ট থেকে ৩৩ দিন জামসু মিয়া কারাগারে ছিলেন।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মুহাম্মাদ মিল্লাত হোসেন পুলিশ প্রতিবেদন পর্যালোচনা এবং মামলার বাদীর বক্তব্য নিয়ে এ আদেশ দেন।

এদিকে ভুল আসামি জামসু মিয়াকে গ্রেপ্তারের জন্য কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- এই মর্মে কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ মোর্শেদ জামানসহ ৬ পুলিশ সদস্যকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ভুল আসামি জামসু মিয়ার পক্ষে আইনজীবীদের এক আবেদনের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

অপর ৫ পুলিশ সদস্য হলেন- পরোয়ানা তামিলকারী উপপরিদর্শক (এসআই) শামছুল হাবীব ও ফারুক আহমেদ এবং সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল হালিম, উজ্জ্ব ও আজিজুল।

এর আগে আদালতের আদেশ অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার ওসি মোহাম্মাদ মোর্শেদ জামান আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, মূল আসামি মুহা. জামসু মিয়া (সাগর), পিতা- সিরাজ সিয়ার বিরুদ্ধে আদালত সাজা পরোয়ানা পাওয়ার পর তা তামিলের জন্য এসআই শাসছুল হাবীবের নামে হাওলা করা হয়। যা গত ৮ আগস্ট এসআই ফারুক আহমেদ ও তিন এএসআই আব্দুল হালিম, উজ্জ্বল ও আজিজুল সোর্সের দেওয়া তথ্য মতে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন। তবে গ্রেপ্তারকৃত জামসু মিয়া ঢাকার আদালতে কোনো মামলা নেই বলে জানান।

আজ শুনানিকালে তিনি ভুল শিকার করে ক্ষমা চেয়ে গ্রেপ্তারকৃত জামসু মিয়াকে মুক্তির প্রার্থনা করেন। এ সময় আদালতে মামলার বাদী মাহুরা খাতুন উপস্থিত ছিলেন। তিনিও গ্রেপ্তারকৃত আসামি তার স্বামী নন বলে আদালতকে জানান। অন্যদিকে আইনজীবী তানজির সিদ্দিকী রিয়াদ ৩৩ দিন কারাগারে থাকা জামসু মিয়ার মুক্তি এবং দায়িত্বে অবেহলার জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন।

আদালত আদেশ দেয়ার পর উপস্থিত জামসু মিয়ার ছেলে মুহা. তুষার মিয়া এবং বোন জামাই কাঞ্চন মিয়া বলেন, জামসু মিয়াকে গত ৭ আগস্ট রাতে পুলিশ ঘরে ‘নেশা’ আছে বলে ঢুকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। তারা কোনো কাগজ না দেখিয়ে থানায় যেতে বলে। পরদিন সাবেক চেয়ারম্যান ও এক আওয়ামী লীগ নেতাকে নিয়ে থানায় যায় পুলিশ। সেখানে জামসু মিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকায় কোনো মামলা নেই বললেও তারা কোনো যাচাই বাছাই না করেই আদালতে যেতে বলে।

মামলার বাদী মানহুরা বলেন, তার স্বামী জামসু মিয়ার (সাগর) বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে তিনি মামলা করেন। মামলার পর একবার জামিন নিয়ে সে ২০১৬ সালে মারিসাস পালিয়ে যায়। এখনও তিনি সেখানেই আছে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ