শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


চলছে মাওলানা সাদ অনুসারীদের ইজতেমা; ফাঁকা মাঠ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামিম আরিফ: আলমি শুরার বিশ্ব ইজতেমার শেষে মাওলানা সাদপন্থীদের ইজতেমা শুরু হয়েছে আজ রোববার। তবে ইজতেমা মাঠের সেই জৌলুস দেখা যায়নি। তাছাড়া সকালের বৃষ্টিতে মাঠের সবকিছুই এলোমেলো হয়ে পড়তে দেখা গেছে।

শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কাকরাইলের শুরা প্রধান হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমদের মুনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আলমি শুরার ইজতেমা।

এদিকে আজ রোববার বাদ ফজর তাবলিগের ভারতের মাওলানা ইকবাল হাফিজের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাদ অনুসারীদের ইজেতেমা।

সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় ইজতেমা ময়দানে যেসব মুসল্লি ছিলেন তাদের পলিথিন মুড়ি দিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। লোকজন কম হওয়ায় সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। মাঠের ভেতরেই কেউ কেউ চরিয়েছেন রান্না।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, ইজতেমার পুরো মাঠই খালি। কেবল বয়ানের মঞ্চের সামনে কিছু লোক বসে আছেন। কোথায় কোথাও বৃষ্টির কারণে উপরের সামিয়ানা, চট খুলে পরতে দেখা গেছে।

এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় আলমি শুরার তত্ত্বাবধানে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। সে পর্বে এবার বিশ্ব মুরব্বিগণ অংশ নেন। তাদের মধ্যে ভারতের তাবলিগের প্রবীন ও শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা আহমদ লাট, মাওলানা ইবরাহিম দেওলা ও মাওলানা জুহাইরুল ইসলাম অংশ নেন।

এছাড়াও সৌদি আরবসহ আরববিশ্ব ও অন্যান্য দেশের শুরা সদস্যগণ ইজতেমায় অংশ নেন। বাংলাদেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামগণ ইজতেমায় উপস্থিত ছিলেন। আল্লামা আহমদ শফী, আল্লামা আশরাফ আলী, আল্লামা মাহমূদুল হাসান ও আল্লামা কুদ্দুসসহ শীর্ষ আলেম শরীক ছিলেন আলমি শুরার ইজতেমায়। ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারির সে ইজতেমায় সারা দেশ থেকে লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মানুষ, তাবলিগি সাথী ও উলামায়ে কেরাম অংশ নেন।

মাঠে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয় স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জুমা। জুমার নামাজের ইমামতি করেন মাওলানা জুবায়ের আহমদ। মাঠের বাইরে টঙ্গী, উত্তরা ও গাজীপুরের ব্যস্ত সড়কেও মানুষকে নামাজ পড়তে দেখা গেছে।

গত ২৪ জানুয়ারি ইজতেমা বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে দুই পক্ষের একত্রে ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ইজতেমা মাঠে মাওলানা সাদ অনুসারীরা তাবলিগ ও উলামায়ে কেরামের ওপর হামলা চালালেও তা ভুলে একত্রে ইজতেমা করার সিদ্ধান্ত মেনে নেন উলামায়ে কেরাম ও কাকরাইল মারকাজ। কিন্তু সাদ অনুসারীরা পরে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে এবং আলাদা ইজতেমা করার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে সরকার দুই পক্ষকে দুইদিন করে আলাদা ইজতেমা করার বিষয়ে মত দেয়।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ