শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


লাখো মানুষের স্রোত বিশ্ব ইজতেমায়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে লাখো মানুষের সমাবেশ ঘটেছে ইজতেমা ময়দানে। বৃহস্পতিবার বাদ ফজর আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হওয়া ইজতেমার আজ দ্বিতীয় দিন। গতকাল মাওলানা আবদুল মতিনের আম বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় এবারের বিশ্ব ইজতেমা। শনিবার বিশেষ মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ইজতেমা।

ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে টঙ্গীর তুরাগ তীর ভরে উঠেছে আল্লাহ ওয়ালা মানুষের উপস্থিতিতে। তাদের জিকির আজকার, বয়ান ও রোনাজারির আওয়াজ এখন পুরো এলাকাজুড়ে।

বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে আজ সর্ববৃহৎ জুমা অনুষ্ঠিত হবে ইজতেমা মাঠে। সে লক্ষ্যে ইজতেমায় উপস্থিত মুসল্লি ছাড়াও আশ পাশের কয়েকটি জেলা থেকে লোকজন আসছেন ইজতেমার দিকে।

বিশ্ব ইজতেমায় প্রতিবারই সর্ববৃহত জুমা অনুষ্ঠিত হয়। এবার একপর্বে ইজতেমা হওয়া স্মরণকালের বৃহৎ জুমা অনুষ্ঠিত হবে বলে বলছেন আয়োজকরা। প্রতিবছর জুমার নামাজের ইমামতি করে থাকেন কাকরাইলের শীর্ষ মুরব্বি হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমদ। এবারও তিনিই জুমা পড়াবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে জুমার নামাজে শরিক হওয়ার কথা রয়েছে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফী। তিনি আজ মাঠে কিছুক্ষণ অবস্থান করবেন বলেও জানা গেছে।  এছাড়াও বাংলাদেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামগণ গতকালই ইজতেমায় শরীক হয়েছেন।

এবারের ইজতেমা উপলক্ষ্যে বুধবার রাত থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ইজতেমা ময়দানে জড়ো হয়েছেন মুসল্লিরা। বৃহস্পতিবার বাদ ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর আম বয়ান হয়। বাদ মাগরিব বয়ান করেন তাবলিগের অন্যতম শীর্ষ মুরব্বি ভারতের মাওলানা আহমদ লাট।

বিশ্ব ইজতেমা থাকা আমাদের প্রতিনিধিগণ জানিয়েছেন, টঙ্গীর তুরাগ তীরের ১৬০ একর বিস্তৃত বিশ্ব ইজতেমা ময়দান বৃহস্পতিবারই কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে। দেশ-বিদেশের মুসুল্লিরা অবস্থান নিয়েছেন তাদের নির্ধারিত তাঁবুর নিচে। তারা জিগির-আজগার এবং আল্লাহর ইবাদতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পুরো উম্মতকে দীনের জন্য এক করতে তারা ফিকির করে যাচ্ছেন।

বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও বিআরটিসি মুসুল্লিদের আনা-নেয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশন তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ইজতেমা মাঠের সংস্কার কাজ এবং সেবামূলক কার্যক্রম নিশ্চিত করেছে। বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য ইজতেমা মাঠে পাঁচটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশন, গাজীপুর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, র‌্যাব, আনসার ও ভিডিপির কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের ১৫টি ওয়াচ টাওয়ার, র‌্যাবের ১০টি ওয়াচ টাওয়ার, মুসুল্লিদের জন্য ৩৫০টি অস্থায়ী শৌচাগার নির্মাণ, ওজু, গোসল, পয়ঃনিষ্কাশন ও সুপেয় পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ১৩টি গভীর নলকূপ থেকে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, প্রতিদিন তিন কোটি ৫৪ লাখ গ্যালন সুপেয় পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছে আকাশ ও নৌ-পথে পুলিশ, র‌্যাবের নিয়মিত টহল। নিরাপত্তা চাঁদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে টঙ্গী শিল্পনগরী পুরো শহরটিকে।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ