আওয়ার ইসলাম: দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বড় বড় রাঘববোয়ালদের ধরে এনে ছেড়ে দিয়ে শুধুমাত্র শিক্ষকদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে দুদক। যেখানে ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়ে যাচ্ছে, সেখানে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকরা স্কুলে যাচ্ছেন কী যাচ্ছেন না তা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে তারা (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার রায়ের পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। হাইকোর্টে আজ কোচিং সেন্টার সংক্রান্ত নীতিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা রিট আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি হয়।
আদালত আরো বলেছেন, কোচিং বাণিজ্য অনুসন্ধান এবং তদন্ত করার এখতিয়ার দুদকের আছে। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি অগ্রাধিকার তালিকা থাকতে হবে। কেননা দুদকের পর্যাপ্ত জনবল সঙ্কট রয়েছে।
আদালত আরো বলেন, কাস্টমস হাউজ, ব্যাংক, বন্দর, ভূমি অফিসের দুর্নীতির বিষয়ে ছোটো পরিসরে তদন্ত বা অনুসন্ধানের কোনো সুযোগ নেই দুদকের। এসব খাতে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। অগ্রাধিকারভিত্তিতে এসবে খাতে নজর দিতে হবে।
সরকারি নীতিমালার বাইরে সব ধরনের কোচিং বাণিজ্য বেআইনি ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে কোচিং বাণিজ্য বন্ধে ২০১২ সালে সরকারের জারিকৃত নীতিমালাকে বৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, সরকার তার জনগণের কল্যাণের জন্য যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের নীতিমালার, নির্দেশিকার ও পরিপত্র জারি করার ক্ষমতা রয়েছে।
-এটি