শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


ডাকসু নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে লড়বে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ২০১৯ সালের নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিয়েছে দেশের অন্যতম ইসলামী ছাত্র সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন (ইশা ছাত্র আন্দোলন)।

ছাত্র সংগঠনটির নেতাদের দাবি, নির্বাচনে অংশগ্রহণে তাদের কোনো বাধা নেই এবং নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তারা জয় পাবে বলেই আশাবাদী।

তারা আরও জানান, সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণেই নির্বাচন হবে। তবে সব ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণে ঢাবি কর্তৃপক্ষ নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করবে।

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফের মুখোমুখি হলে ‍তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেন, ‘ইশা ছাত্র আন্দোলন ইসলামের মূলনীতিগুলোকে ধারণ করে। একইসঙ্গে স্বাধীনতার মূল চেতনা– সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য নিয়মতান্ত্রিক, গঠনমূলক, ছাত্রবান্ধব রাজনীতি করছে।’

ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এবারের ডাকসু নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে নির্বাচন লড়ার প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা। কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকলে আশা করি ডাকসু নির্বাচনে আশানুরূপ ফলাফল আমরা পাবো। তবে আমাদের ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো জটিলতা নেই, প্রতিবন্ধকতা নেই।’

ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ছাত্র সংগঠনের ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. এ. কে. এম. গোলাম রব্বানি এ বিষয়ে স্পষ্ট করে বলেছেন– ডাকসুর নির্বাচন দলভিত্তিক নয়, ছাত্র সংগঠনভিত্তিক। সব ছাত্র সংগঠনই ডাকসু নির্বাচন করতে পারবে।’

তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভায় গঠনতন্ত্রে এসব সংশোধনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।’

প্রার্থী হিসেবে কাকে নির্বাচন করছেন, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে দায়িত্বশীল পরিবর্তন হতে পারে, তাই এখনো সেটি নির্ধারণ করা হয়নি।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ছাত্র সংগঠন রয়েছে, আমরা তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই সামনে আগাতে চাই। তাই এ বিষয়ে আশা করি কোনো ধরনের জটিলতা সামনে আসবে না।’

জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদি –এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আসলে আমাদের কাজ করার জায়গাটা অনেক বড়। আমরা যদি আমাদের নববি আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে পারি, তাহলে আমাদের কাজ করার জায়গা অনেক প্রশস্ত বলে মনে করি আমি। তাই সে ধরনের ফলাফল পেতে একটু সময় অবশ্যই লাগবে। তবে আমরা ছাত্রদের উৎসাহ ও উদ্দীপনায় অনেকটাই আশাবাদী।’

উল্লেখ্য, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দেশের একটি ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল। ১৯৮৭ সালে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন নামে প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নামেই এ দল নিবন্ধিত। এর নির্বাচনি প্রতীক হাতপাখা। এ দলটির বর্তমান প্রধান হচ্ছেন চরমোনাইয়ের পীর মাওলানা সৈয়দ রেজাউল করীম।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ১৯৮৭ সালে ১৩ মার্চ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বপ্রথম এ সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন নামে আত্মপ্রকাশ করে। তৎকালীন সময়ে সংগঠনটির আমির নির্বাচিত হন মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ ফজলুল করিম ও সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন ব্যারিস্টার কোরবান আলী।

বর্তমানে দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে আছেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ এবং যুগ্ম-মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন। নির্বাচন কমিশনে এটি ৩৪ নম্বর নিবন্ধনভুক্ত দল। বাগেরহাট, খুলনা ও বরিশালে তাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে।

এ দলটির লক্ষ্য, প্রচলিত জাহেলি সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন সাধন করে ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়নের মাধ্যমে খেলাফতে রাশেদা নমুনায় বাংলাদেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা। উদ্দেশ্য হচ্ছে, দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতের মুক্তি লাভের জন্য আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জন।

এটি/কেপি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ