আওয়ার ইসলাম: প্রধানমন্ত্রীর নামে ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলে গুজব-প্রতারণা ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ৫ জনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল শুক্রবার তাদের ঢাকা চিফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় সাভার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারীর কর্মকর্তা।
শুনানি শেষে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিকা খান তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের কোর্ট পরিদর্শক আসাদুজ্জামান শনিবার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন- মুহাম্মদ ওমর ফারুক (৩০), মুহাম্মদ সাব্বির হোসেন (২৪), মুহাম্মদ আল আমিন (২৭), মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম আমিন (২৫) ও মুহাম্মদ মনির হোসেন (২৯)।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজার, ডেমরা, মোহাম্মদপুর, সাভার ও কেরানীগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করে র্যাব-২।গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে তাদের ব্যক্তিগত ভিন্ন ভিন্ন মডেলের ১২টি মোবাইল ফোন ও ১টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, আসামিদের মধ্যে ওমর ফারুক অত্যন্ত চতুর। তিনি নিজেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামে ৬টি ও তার কন্যা সালমা ওয়াজেদ পুতুলের নামে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। এ ছাড়াও স্পিকারসহ বিভিন্ন নেতাদের নামে ৩৬টি অ্যাকাউন্ট খুলেছে তিনি।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, আসামিরা প্রতারণাকে শিল্পতে পরিণত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নামের অ্যাকাউন্টগুলোতে তারা শেখ হাসিনার নাম-ছবিসহ পোস্ট দিয়েছেন। গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের জন্য সরকারের বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নের ছবি পোস্ট করেছেন।
তাদের পোস্টগুলোতে একটা করে মোবাইল নম্বর দেয়া থাকতো। এটা ছিল ওমর ফারুকের নিজের নম্বর। এই পোস্টগুলো দেখে অনেকেই অনেক সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলার ফোন করতেন। কেউ সমস্যা সমাধানে, কেউ অন্য কারণে কথা বলার জন্য ফোন দিতেন।’
সব ফোন ধরতেন এই চক্রের সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রীর নম্বরে পুরুষ ফোন ধরল কেন? অনেকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতারকরা বলতেন, ‘তারা প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের দায়িত্ব দিয়েছেন ফেসবুকে অ্যাকাউন্টগুলো ম্যানেজ করার জন্য।
তারা বলতেন, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন রকমের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করা হয়।’
সিকিউরিটির কারণে তারা বিস্তারিত কথা বলার জন্য ফেসবুক ইনবক্সে নক করতে বলতেন। ইনবক্সে কথোপকথনের মাধ্যমেই আসামিরা কাউকে চাকরির কাউকে অন্যান্য প্রলোভন দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করতেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।
-এটি