শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


‘মুসলমানকে ধর্ম ও রাষ্ট্র দুটো নিয়েই ভাবতে হবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আরিফুল ইসলাম বাদল: বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) মুন্সিগঞ্জের পঞ্চসার ডিঙ্গাভাঙ্গায় মুজাহিদ কমিটি ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করিম'এর শুভাগমন উপলক্ষে এক বিরাট ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাহফিলটি দাওয়াতি মেহমান আলেম -ওলামা ও সাধারণ মুসল্লিদের মিলন মেলায় পরিণত হয়।

চরমোনাই হুজুরের মাহফিল মানেই বাড়তি উত্তেজনা এবং ব্যাপক জনসমাগম। ব্যতিক্রম হল না মুন্সিগঞ্জের ডিঙ্গাভাঙ্গাতেও। তাইতো আয়োজকরাও মনেপ্রাণে খুশি এমন মাহফিলের আয়োজন করতে পেরে।

দুপুর গড়িয়ে পড়তেই দলে দলে ভক্ত ও মুসল্লিদের আগমন ঘটতে থাকে মায়দানে। এশার সময় হতেই ভরে যায় মাঠ। এলাকাবাসী ও সেচ্ছাসেবক বাহিনীর তৎপরতায় সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় মাহফিল। বয়ান পেশ করেন মুফতি মাহবুবুল হাসান জাবেদ (ঢাকা) ও মাওলানা হুসাইন আহমদ ইসহাকী (মুন্সিগঞ্জ) সহ অনেক ওলামায়ে কেরাম।

বক্তারা প্রথমেই আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান সুন্দর আয়োজনের জন্য। অতপর সুরে সুরে কুরআন-হাদিসের অমীয় বাণী তুলে ধরেন শ্রোতাদের সম্মুখে। মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনতে থাকেন মুসল্লিগণ।

গুনাহের কথা সস্মরণ করে জাহান্নামের ভয়ে চোখের পানিতে ভেসে যায় মুসল্লিদের বুক। দুনিয়া আখেরের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিল শেষ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম।

বক্তারা বলেন, পীর শব্দটি কুরআন হাদিসে না আসলেও তাজকিয়া বা আত্মশুদ্ধির কথা কুরআনে এসেছে। রাসূল সা.এর নবুয়তি মিশনের চারটি দায়িত্বের মধ্যে তাজকিয়া একটি অন্যতম বিষয়। বিশুদ্ধ দ্বীনি ইলম ও আমলের জন্য খাঁটি আল্লাহওয়াওলার সোহবত অত্যন্ত জরুরি।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম বলেন, আমাদের দেশে দ্বীন পালন করে সামাজিক প্রভাবে। আল্লাহকে ভয় করে আমরা দ্বীন পালন করি না। অন্য ধর্মের প্রধানরা শুধু ধর্মের প্রধানই ছিলেন, রাষ্ট্রের প্রধান ছিলেন না। কিন্তু আমার আপনার নবী ধর্মের প্রধান ছিলেন, রাষ্ট্রেরও প্রধান ছিলেন।

তিনি বলেন, কার্লমার্ক্স মাওসেতুংরা শুধু রাষ্ট্রেরই প্রধান, তাদের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই।মেহরাব বলা হয় অস্ত্র রাখার স্থানকে। মেহরাব থেকে যেমন মসজিদ আলাদা করা যায় না তেমনি ধর্ম ও রাষ্ট্রকেও আলাদা ভাবা যায় না। একজন মুসলমান ধর্ম এবং রাষ্ট্র দুটো নিয়েই থাকবে, ভাববে এবং চিন্তা করবে।

আমরা এমন মুসলমান এ সবের কোন খবরই রাখি না। সাহাবা আজমাইন ধর্ম ও রাষ্ট্র দুটোই করেছেন। আমরা একটাকে বাদ দিয়ে আরেকটাকে গ্রহণ করলে সফল হতে পারবো না।

মাহফিলে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেছেন, মুফতি আল আমিন, মাওলানা নোমান, হুমায়ুন কবির মণ্ডল ও আক্তার হুসাইন প্রমুখ।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ