বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :

স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন, সহযোগী দুই বন্ধু সাজলেন সাক্ষী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: পারিবারিক কোন্দলের জেরে স্ত্রীকে খুন করেন গাজীপুরের বাসিন্দা শাহজাহান মিয়া। তখনই তাকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসেন বন্ধু খোকন ও মুকুল মিয়া। তিন বন্ধু মিলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে গভীর রাতে বাড়ির পাশের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন স্ত্রীর মরদেহ।

প্রথমে বন্ধুর সাহায্য করলেও পরে ঘটনার সাক্ষী বনে যা মুকুল ও খোকন। তারাই পরে স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে গিয়ে বন্ধুর কুকর্মের কথা জানিয়ে দেন। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় শাহজাহান তার স্ত্রীর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিতে দেখেছেন বলেও জানান তারা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সপ্তাহ পার হতেই ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-১। মূল আসামি শাহজাহানসহ আটক করেন সহযোগী খোকন ও মুকুলকে।

গত ৩ জানুয়ারি গাজীপুরের ভাওরাইদ এলাকার নিজ বাসায় স্ত্রী আফরোজা বেগমকে (২৬) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন শাহজাহান। এরপর এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) রাতে ডেমরা এলাকা থেকে তিনজনকে আটক করে র‌্যাব-১।

শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম।

তিনি বলেন, শাহজাহান ও আফরোজার সম্পর্ক ৮ বছর আগের। সুতার মিলে কাজ করার সময়  এ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের তাদের পারিবারিক জীবনে কলহ দেখা দেয়। শাহজাহান সময়ে সময়ে স্ত্রীর কাছে যৌতুক দাবি করতেন। ২০১৬ আফরোজা সৌদি যান এবং গত বছর ফিরে আসেন।

স্ত্রীর কাছে অর্জিত টাকার হিসাব চাওয়ায় তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। গত ৩০ জানুয়ারি স্ত্রীকে বেদম প্রহার করে শাহজাহান। এরপর ৩ জানুয়ারি সকালে বাক-বিতণ্ডার একপর্যায়ে তাদের একমাত্র মেয়েকে পাশের ঘরে রেখে স্ত্রী আফরোজাকে গলা টিপে হত্যা করে শাহজাহান। এরপর খাটের নিচে মরদেহ লুকিয়ে রাখেন।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক বলেন, লাশ লুকাতে সাহায্য করার জন্য বন্ধু খোকন ও মুকুলকে বাসায় ডাকেন শাহজাহান। তিনজন মিলে ওইদিন রাতে বাসার পাশে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন আফরোজার মরদেহ। এজন্য শাহজাহানের কাছ থেকে খোকন ৪ হাজার এবং মুকুল ২ হাজার ৫০০ টাকা নেন।

টাকা নিয়ে খোকন ও মুকুল ভাবে ঘটনার জানাজানি হয়ে গেলে তারা ফেঁসে যাবে। এই ভয়ে তারাই স্থানীয় কাউন্সিলরকে বিষয়টি জানান। তারা কাউন্সিলারকে বলেন, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় শাহজাহানকে সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ ফেলতে দেখেছেন। এরপর মরদেহ উদ্ধার হলে খোকন ও মুকুল হয়ে যান ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক কর্নেল সারোয়ার বিন কাসেম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আইএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ