শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


কুরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন না করার অঙ্গীকার আ.লীগের ইশতেহারে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসলে কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনও আইন করবে না বলে ইশতেহারে অঙ্গীকার করেছে আওয়ামী লীগ।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার কিছু পর রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক আওয়ামী লীগের ইশতেহার ঘোষণা শুরু হয়। এতে এ ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ইশতেহার ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিকের স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার সুনিশ্চিত করা হবে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এই নীতি সমুন্নত রাখা হবে। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশের সমাজ গড়ে তোলা হবে।

সারাদেশে ৫৬০টি মসজিদ-কাম-ইসলামী কালচারাল সেন্টার নির্মাণ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোন আইন করা হবে না।’

ক্ষমতাসীন দলের প্রধান বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতির অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও বিকাশে আওয়ামী লীগ সরকারের অনুসৃত নীতি ও কর্মপরিকল্পনা অব্যাহত থাকবে। বাংলা ভাষা, সাহিত্য, চারু ও কারুকলা, সঙ্গীত, যাত্রা, নাটক, চলচ্চিত্র এবং সৃজনশীল প্রকাশনাসহ শিল্পের সব শাখার ক্রমাগত উৎকর্ষ সাধন ও চর্চার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করার জন্য রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানো হবে।’

তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্যর্পূণ করা হচ্ছে। কওমী মাদ্রাসার দাওয়ারে হাদিস ডিগ্রিকে মাস্টার্স-এর সম-মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির প্রতি আমাদের দৃঢ় অবস্থান অব্যাহত থাকবে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলদারি বন্ধে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হবে।’

এক নজরে আওয়ামী লীগের ২১ দফা অঙ্গীকার-

১. আমার গ্রাম, আমার শহর- প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণ, ২. তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি: তরুণ যুব সমাজকে দক্ষ জনশক্তিকে রূপান্তরিত করা এবং কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা, ৩. দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ, ৪. নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা ও শিশুকল্যাণ, ৫. পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা, ৬. সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ ও মাদক নির্মূল, ৭. মেগা প্রজেক্টগুলোর দ্রুত ও মানসম্মত বাস্তবায়ন, ৮. গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সুদৃঢ় করা, ৯. দারিদ্র্য নির্মূল, ১০. সকল স্তরে শিক্ষার মান বৃদ্ধি, ১১. সকলের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা, ১২. সার্বিক উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তির অধিকতর ব্যবহার, ১৩. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, ১৪. আধুনিক কৃষি ব্যবস্থা- লক্ষ্য যান্ত্রিকিকরণ, ১৫. দক্ষ ও সেবামুখী জনপ্রশাসন, ১৬. জনবান্ধব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, ১৭. ব্লু ইকোনোমি- সমুদ্র সম্পদ উন্নয়ন, ১৮. নিরাপদ সড়কের নিশ্চয়তা, ১৯ . প্রবীণ, প্রতিবন্ধী ও অটিজম কল্যাণ, ২০. টেকসই উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, ২১. সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি।

কেপি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ