আওয়ার ইসলাম: ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রধান ড. কামাল হোসেন বলেছেন, হামলা নির্যাতনে মরে গেলেও নির্বাচন বর্জন করবো না। যেকোনো ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হোক না কেন ঐক্যফ্রন্ট যেকোনো মূল্যে নির্বাচনে অংশ নেবে।
আজ সোমবার রাজধানীর নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সাথে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন ড. কামাল।
ড, কামাল আরো বলেন, নির্বাচন হবে। মরে গেলেও নির্বাচন বর্জন করবো না। সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব চলছে। কাউকে নির্বাচনী প্রচারণা করতে দেয়া হচ্ছে না। আমার লাশ নিয়ে যাবে ভোট দিতে, হাতে আঙুল তো থাকবে।
তিনি আরো বলেন, বিব্রতবোধ করাই যথেষ্ঠ নয়। কার্যকর ব্যবস্থা ইসিকে নিতে হবে। আমরা অবাধ নির্বাচনের ন্যুনতম পরিবেশ চাই। সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।
প্রতিদিনকার ঘটনা একদিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিকার করতে হবে। ৫৫ বছরের জীবনে আমি এমন পরিবেশ দেখিনি নির্বাচনের।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ইসিকে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, কিন্তু কেন তারা তা ব্যবহার করছে না। তিনি অভিযোগ করেন, কমিশন নিজেদের ওপর ন্যস্ত ক্ষমতার ব্যবহার করছে না।
কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সংস্থাটিকে প্রশ্ন করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান ঐক্যফ্রন্ট প্রধান ড. কামাল।
ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে চার পৃষ্টার একটি অভিযোগপত্র সিইসিকে দেয়া হয় বলে জানা যায়। এর আগে ড. কামালের নেতৃত্বে জোটের একটি প্রতিনিধিদল সিইসির সাথে সাক্ষাৎ করতে দুপুর দেড়টার দিকে নির্বাচন ভবনে গিয়ে পৌঁছান। ড. কামালের সঙ্গে ছিলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মোস্তফা মহসিন মন্টু ও খাইরুল কবির খোকন।
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই: মাহবুব তালুকদার