শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

সময়ের সহযাত্রী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা মাহমুদ হাসান সিরাজী
প্রিন্সিপাল, জামিয়া ওসমান ইবনে আফফান রা.

মুফতি ফয়জুল করীম র‌্যালিতে গেছেন, বিজয় দিবস উদযাপন করেছেন বিষয়টি নিয়ে অনেকে অনেক রকম ভাবতে পারেন। আমি মন থেকে খুব প্রজেটিভভাবেই দেখি।

দেশের মানুষের সাথে একাকার হওয়া ছাড়া এ দেশে ইসলামি রাজনীতি সম্ভব নয়। শুধু এ দেশ কেন? কোনো দেশেই সম্ভব নয়।

চার দেওয়ালের মাঝে বন্দী থেকে শুধু নির্বাচণ আসলে নৌকা আর ধানের শীষ নিয়ে কাড়াকাড়ি করার কোনো অর্থ হয় না। জনমানুষের রাজনীতি করতে হলে জনমানুষের সাথে মিশতে হবে। তাদের ভাষা বুঝতে হবে। সাথে সাথে সময়েরও চাহিদা উপলব্ধি করতে হবে। সময়কে নিজের মাঝে ধারণ করা শিখতে হবে। নিজস্ব বলয় গড়ে তুলতে হবে। স্বকীয়তা ধারণ করা জানতে হবে।

আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি, মুফতি ফয়জুল করীম সাহেব এভাবে এগিয়ে যেতে থাকলে ইসলামি রাজনীতিকে অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবেন।

আমার কাছে তিনি ৩ উদীয়মান রাজনীতিবীদের অন্যতম একজন। আমি মনে করি আগামীর তিন তরুণ ও উদ্দীপ্ত রাজনীতিবিদ হলেন। মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী ও মুফতি ফয়জুল করীম।

তাছাড়া বর্তমানে ইসলামী আন্দোলন এককভাবে যতটুকু করতে পেরেছে তা নিরপেক্ষতার চশমা দিয়ে দেখলে ঠিকই সহজভাবে আন্দাজ করা যায়। তাদের নিজস্ব ভোটব্যাংক রয়েছে। রাজনীতিতেও নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে।

সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে, সাংগঠনিকভাবে জামায়াতে ইসলামী থেকে তারা কম শক্তিশালী নয়। হয়তো অনেক সময় আমরা তাদের শক্তির অস্তিত্বটা উপলব্ধি করতে পারি না।

ইসলামী আন্দোলন এখন চাইলেই প্রতিটি জেলা শহরে লক্ষ লক্ষ লোকসমাগম করে একেকটা জনসভা দিতে পারবে এবং সফলও হবে। যা আওয়ামী লীগ বিএনপির জন্যও অনেকটা কষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা।

এ নির্বাচনে তারা ২৯৯ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। একটু ভাবুন, ২৯৯ আসনে মনোনয়ন দেওয়ার অর্থ হল, সব আসনে তাদের এজেন্ট দেওয়ার মত কর্মীও নিঃসন্দেহে রয়েছে। আর একেকটা আসনে কতটা ভোট কেন্দ্র থাকে? কতটা বুথ থাকে?

হিসাব করলে প্রগতিশীল অনেক রাজনৈতিক দলের এতজন সমর্থকও পাওয়া যায় কি না সন্দেহ রয়েছে।

আরেকটা ব্যাপার হল, মুফতি রেজাউল করীম পীর সাহেব আর মুফতি ফয়জুল করীম বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে সারা বছর যেভাবে সাংগঠনিক কাজে বাংলার একপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে দৌড়ে বেড়ান এক মামুনুল হক সাহেব ছাড়া এ গুণটা আর কারো মাঝেই পাওয়া যায় না বা দেখা যায় না।

গতকাল ফয়জুল করীম সাহেব বিজয় দিবসের র‌্যালিতে গেছেন এবং বেইজ ধারণ করেছেন আমি মনে করি, তিনি এটা জনমানুষের একজন যোগ্য নেতার কাজটাই করেছেন। ইসলামী রাজনীতিকে এভাবেই এগিয়ে নিতে হবে। নতুবা সামনে আমাদের জন্য ভয়াবহ বিপদ আসবে।

জয় হোক ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের। জয় হোক এ দেশের প্রতিটি ইসলামী রাজনৈতিক দলের।

কেমন দেখছেন ভোটের মাঠ?

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ