শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


যাকারিয়া কান্ধলবী রহ. এর ছেলে মাওলানা ত্বলহা গুরুতর অসুস্থ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তাওহীদ আদনান
ইন্ডিয়া থেকে

তাবলীগ জামাতের প্রসিদ্ধ কিতাব ফাজায়েলে আমালের লেখক শাইখুল হাদীস মাওলানা যাকারিয়া কান্ধলবী রহ.-এর ছেলে ও সুযোগ্য খলীফা, খানকায়ে যাকারিয়া রহ.-এর জানেশীন, ভারতের ঐতিহ্যবাহী ইসলামী বিদ্যাপিঠ মাযাহেরে উলুম সাহরানপুরের রুকনে শুরা মাওলানা ত্বলহা কিছুদিন যাবৎ গুরুতর অসুস্থ৷ বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন সৌদি আরবের একটি হাসপাতালে৷

জানা যায়, বেশ কিছুদিন পূর্বে তিনি সাহরানপুরে তার নিজ বাসবভনে থাকাবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ অসুস্থতা তীব্র থেকে তীব্রতর হলে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেয়া হয়৷ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডাক্তারগণ তার অবস্থায় আশঙ্কা প্রকাশ করে তাকে হাসপাতাল থেকে ফেরত দিয়ে দেন৷

হাসপাতাল থেকে ফেরত দেয়া হলে কিছুদিন তার নিজ বাসবভনে রেখেই উল্লেখযোগ্য ডাক্তারদের মাধ্যমে চিকিৎসা চলতে থাকে৷ পরবর্তীতে তিনি সৌদিতে চলে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে তাকে তৎক্ষণাৎ বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সৌদিতে নিয়ে যাওয়া হয়৷

তিনি বহুদিন যাবৎ হৃদরোগসহ আরো গুরুতর কয়েকটি অসুস্থতায় আক্রান্ত ছিলেন৷ তদুপরি তিনি কঠিন অসুস্থতা নিয়েই দ্বীনের খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছিলেন নিয়মিতই৷ তিনি অসুস্থ এটা বলতে চাচ্ছিলেন না কোনো মতেই৷ অসুস্থতা তীব্র থেকে আরো তীব্রতর হলে তখন অনেকটা জোরপূর্বকই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে৷

হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় অসুস্থতার গভীরতা প্রকাশ পেলে ডাক্তারগণ তার ওপর আশঙ্কা প্রকাশ করে তাকে রিলিজ করে দেন৷ এরপর তাকে হাসপাতাল থেকে এনে বাসায় রেখেই চিকিৎসা চালানো হয় কিছুদিন৷

অবস্থার কোনো উন্নতি না হলে তাকে বহিঃবিশ্বে উন্নত কোনো হাসপাতালে নেয়ার কথা চলতে থাকে৷ ইতিমধ্যেই তিনি স্থায়ীভাবে মক্কায় চলে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেন৷ ফলে তাকে অন্য কোথাও না নিয়ে সরাসরি মক্কাতেই নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার উদ্দেশ্যে৷

জানা গেছে, তিনি মক্কায় যাওয়ার পর এ পর্যন্ত চারবার হার্টএট্যাক করলে তাকে সেখানকার একটি হাসপাতালে ইমার্জেন্সি বিভাগে ভর্তি করা হয়৷ ইমার্জেন্সি বিভাগে ভর্তির পর থেকে এখনো পর্যন্ত তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন সে হাসপাতালেই৷

চিকিৎসার উদ্দেশ্যে চলে যাওয়ার প্রাক্কালে তার বাবার রেখে যাওয়া মিশনকে এগিয়ে নিতে তিনি খানকায়ে যাকারিয়া রহ.-এর যিম্মাদারী বুঝিয়ে দিয়ে যান সাহরানপুর মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ সালমানকে৷ তাকে তিনি খানাকায়ে যাকারিয়া রহ.-এর জানেশীনও ঘোষণা করে গেছেন যাওয়ার আগে।

উল্লেখ্য, শাইখুল হাদীস হযরত যাকারিয়া রহ. তার শেষ বয়সে এসে স্থায়ীভাবে মক্কায় চলে যান৷ মক্কায় যাওয়ার প্রাক্কালে তিনি দ্বীন ও ইসলামের খেদমত আঞ্জাম দিতে তার মিশনের কার্যক্রম সোপর্দ করে যান পরিবারের কাছে৷ তিনি তার পরিবারের কাছে নিজ খানকার সকল যিম্মাদারীও বুঝিয়ে দিয়ে যান তখন৷

শাইখুল হাদীস মাওলানা যাকারিয়া রহ.-এর অনুপস্থিতে সেই সময় থেকে দীর্ঘকাল ধরে মাওলানা ত্বলহা তার বাবার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে বাবার রেখে যাওয়া মিশনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন সাহরানপুরে থেকেই৷

তিনি সাহরানপুরে থেকে বাবার খানকার যিম্মাদারী পালনের পাশাপাশি মাযাহেরে উলুম সাহরানপুরের মজলিসে শুরার সদস্য হিসেবে যুক্ত ছিলেন দীর্ঘকাল৷ তার অসুস্থতায় সাহরানপুর মাদরাসাসহ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সুস্থতার জন্য একাধিকবার দোয়ার আয়োজন করেছেন বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকগণ। তিনি সুস্থতার জন্য দোয়াও চেয়েছেন সবার কাছে৷

কেমন দেখছেন ভোটের মাঠ?

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ