আওয়ার ইসলাম: নির্বাচনি প্রচারে যাওয়ার সময় ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় নির্বাচন কমিশন বিব্রত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
আজ বুধবার সকালে নির্বাচন ভবন অডিটরিয়ামে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিবের গাড়িতে হামলা হয়েছে, যেটা অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ঘটনায় আমরা কিন্তু বিব্রত। এটা কখনও কাম্য হতে পারে না। একটা মানুষের জীবন সমস্ত নির্বাচনের চেয়ে মূল্যবান। সারাদেশে যে ৩০০টি আসনে নির্বাচন হবে; সেটার যে মূল্য, আমরা মনে করি, একটা মানুষের জীবনের মূল্য তার চেয়ে বেশি। সহিংসতার কারণে সেই জীবন চলে গেলো, এটা কারও কাম্য হতে পারে না। এই অবস্থা থেকে আমাদের উত্তরণের পথ খুঁজে বের করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতাপূর্ণ। কিন্তু প্রতিযোগিতা যেন সহিংসায় পরিণত না হয়, সেদিকে আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’
সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মী, প্রার্থী, ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী সবার প্রতি অনুরোধ, আপনারা ধৈর্যশীলদের আচরণ করবেন। নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলবেন। কারও নির্বাচনি প্রচারণায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেন না। একে-অন্যের গণতান্ত্রিক অধিকার, মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাবেন।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। মানুষকে আশ্বস্ত করতে হবে যে, নির্বাচন সহিংসতার জায়গা নয়, ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জায়গা। ধৈর্য্য ও একে অন্যের প্রতি সম্মান দেখিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে।’
কে এম নূরুল হুদা বলেন, এবারের নির্বাচন বৈশিষ্ট্যপূর্ণ তো বটেই, সবদিক দিয়ে আলাদা নির্বাচন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আগের কোনও নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। প্রতিটা কেন্দ্রে গড়ে প্রায় ছয় জন প্রার্থী, দেশে এক হাজার আটশ’র বেশি প্রার্থী মাঠে থাকবে, প্রতিদ্বন্ধিতা করবে।’
কেপি